somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসরায়েলের ইন্ধন ধরে ফেলায় মায়ানমার ও ভারত বাংলাদেশের উপর যেভাবে ক্ষ্যাপা

১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সমর শক্তিতে বাংলাদেশ যত এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্ব রাজনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান তত শক্তিশালী হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অঙ্গীকার করার পরও কেন ভারত আমাদের সীমান্তে বাংলাদেশীদের উপর গুলি চালায়? পুরো পৃথিবী থেকে এত্তো এত্তো চাপ সত্ত্বেও মিয়ানমার কোথা থেকে অস্ত্র পেয়ে রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার চালায় যার ফলে বাংলাদেশে শরনার্থিদের চাপ সৃষ্টি হয়? এসব প্রশ্নের কিছু উত্তর দিবো আজ।

বাংলাদেশ চীন থেকে সাবমেরিন নিয়েছে খুব একটা বেশি দিন হয়নি। স্ট্র্যেটেজিক্যালি চীন ভারতের শত্রু দেশ। এই কারণে ভারত বেশ ক্ষ্যাপা ছিলো বাংলাদেশ সরকারের উপর। এর উপর সাবমেরিন কেনার পরে একটি ঘটনা ঘটে। একদিন বাংলাদেশের সাবমেরিনগুলোর রাডারে ধরা পরে কিছু অচেনা উড়োজাহাজ বাংলাদেশের আকাশ সীমার উপর দিয়ে চলাচল করছে। ট্র্যাক করে ধরা পড়ে সেই আকাশ যানগুলো ভারতীয় বিমান বাহিনীর অস্ত্রবাহী উড়োজাহাজ!

তোলপাড় শুরু হয়ে যায় বাংলাদেশের ডিফেন্স কাউন্সিলে। বেসরকারি সংস্থার কোন রাডারে কিংবা বিমানবাহিনীর কোন রাডারে এই ভারতীয় উড়োজাহাজগুলোর অস্তিত্ব ধরা পড়লো না কেন! পরবর্তীতে তদন্ত করে দেখা গেলো, বাংলাদেশে ব্যবহৃত রাডার সিস্টেম অনেক পুরনো। আর, ভারতীয় বিমান যে এরো ডায়নামিক্সের সূত্র ব্যবহার করা টেকনোলজি ব্যবহার করে বাংলাদেশী রাডার ফাঁকি দিচ্ছে তা ইসরাইল থেকে পাওয়া।

সাথে সাথে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবাদ জানানো হয়। এভাবেই ধরা পড়ে যায় ভারত - ইসরায়েল ষড়যন্ত্র। যদিও ভারত এখন বাংলাদেশের উপর প্রচণ্ড ক্ষ্যাপা, কিন্তু চীনের দেওয়া সাবমেরিনের কারণে বাংলাদেশ বেঁচে যায় আন্তর্জাতিক এক ষড়যন্ত্র থেকে।

======
পরবর্তী পর্বে বলবো মায়ানমার কীভাবে বাংলাদেশ সীমান্তে গোলাগুলি করছে
================================================
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২২
১২টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পাকিস্তান ও চীন কি ভারত-বাংলাদেশ যুদ্ধ বাধাতে চায়?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩১



ভারত-বাংলাদেশ যুদ্ধে পাকিস্তান ও চীনের লাভ আছে। যুদ্ধে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্থ্য হলে ভারত বিরোধীতায় তারা সহজে বাংলাদেশীদের তাদের পাশে পাবে। বাংলাদেশের নিরাপত্তার অযুহাতে এখানে তারা সামরিক ঘাটি স্থাপনের সুবিধার... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রচুর ব্লগিং করুন, কিন্তু......

লিখেছেন জটিল ভাই, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৫৯

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)


(ছবি নেট হতে)

তা... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিরাতাম মুসতাকিমের হিদায়াত হলো ফিকাহ, কোরআন ও হাদিস হলো এর সহায়ক

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:০৮



সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাত্রলীগের লুঙ্গির নিচে ছিল শিবির, এখন শিবিরের লুঙ্গির নিচে ঘাপটি মেরে আছে গায়ে বোমা বাঁধা সশস্ত্র জঙ্গিরা

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১৫


"তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আদেশ: চোখে যা দেখেছো, কানে যা শুনেছো, সেগুলো সঠিক নয়, সেসব ভুলে যাও।" - জর্জ অরওয়েল

অনেকদিন ধরে একটি পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই। এতদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী-লীগের ছায়া দায়িত্ব নিয়ে তারেক জিয়া এখন দেশে

লিখেছেন অপলক , ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৬



সংবাদের টাইটেল অনেক কিছু বলে দেয়। ভেতরেটা না পড়লেও চলে। বস্তুত: এতদিন ধরে ভারতের গ্রীন সিগনাল পাচ্ছিলেন না, তাই তারেক জিয়া দেশে আসার সময় বারবার পিছাচ্ছিলেন। এখন চুক্তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×