বিশ্বে আসলে কি হচ্ছে? আপনি কি টের পাচ্ছেন যে, পুরো বিশ্বে একটি ক্ষমতার হাতবদল চলছে? আপনি কি জানেন সাম্রাজ্যবাদের অগ্রযাত্রা এখন অতীত বিষয়? একটা সময় ছিলো, লাল পতাকার দেশকে চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিলো। সেই বেড়াজাল ভেঙ্গে বেরিয়ে এসেছে লাল পতাকার দেশ। সংগে রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকা। অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী দক্ষিণ আমেরিকা এখন লাল পতাকার পাশে।
আফ্রিকাও পিছিয়ে নেই। সাম্রাজ্যবাদীদের অরাজকতা আফ্রিকাকে যেভাবে বেঁধে রেখেছিলো তাতে মনে হয়েছিলো তার হাত থেকে আফ্রিকা রক্ষা পেতে কয়েক জেনারেশন অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু, লাল পতাকার বিজয় দৌরথ সেখানেও সাম্রাজ্যবাদীদের পিছু হটতে বাধ্য করেছে।
এই পরিস্থিতিতে, ছায়াযুদ্ধের ক্রীড়ানক হিসেবে ব্যস্ত থাকা দেশগুলোর কি হবে? এখানে খুবই জটিল একটি সমীকরণ কাজ করছে। যুদ্ধের দামামা বাজছে দক্ষিণ এশিয়ায়। এখানে, বিশ্বের পরাশক্তি হতে চাওয়া দেশগুলোর পারম্পরিক স্বার্থের খেলা চলছে বলে মনে হচ্ছে। আমেরিকা - চীনের মারপিটে পাকিস্তান পুরনো বন্ধু চীনকে ভুলে কি আমেরিকার দিকে ঝুঁকে পড়ছে? ভারত কি রাশিয়ার সাথে ঐতিহাসিক সম্পর্ক ভুলে কি আমেরিকার দিকে চলে যাবে? এটা হলে চীন বিপদে পড়বে। লাভ হবে আমেরিকার।
এবার, বাকি থাকলো বাংলাদেশ। ভারত - পাকিস্তানকে হারালে দক্ষিণ এশিয়ায় নিজের চিহ্ন টিকিয়ে রাখতে চীনের হাতে একমাত্র পথ হচ্ছে- বাংলাদেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। অন্যদিকে, বঙ্গোপসাগরের স্ট্র্যেটেজিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশকে হারাতে চাইবে না আমেরিকা।
তাহলে? এখন বাংলাদেশ কি করবে? কার সাথে সম্পর্ক রাখবে? বর্তমানের অস্তাচলে চলে যাওয়া পরাশক্তির সাথে, নাকি ভবিষ্যতের পরাশক্তির সাথে? সিদ্ধান্তটা বাংলাদেশের জনগণের।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




