প্রতিদিন সড়কে মানুষের রক্ত পড়ে থাকে, তাজা প্রাণ বেড়িয়ে যায়।মোটামুটি পুরোপরিবার নিহত হয় প্রাইভেটকার,মাইক্রোবাসে ও অটোরিকশায় থাকলে ; একটি পরিবারের ছোট থেকে বড় সবাই কথা বলা বন্ধ করে দেয়, আশেপাশের মানুষ স্তব্ধ হয়ে যায়, একে অপরের দিকে তাকায়। কষ্ট পায় দাড়িয়ে থাকা মানুষগুলো? কিছু মানুষ গড়িযে পড়া রক্ত, বেড়িৃযে যাওয়া মগজে পিপড়ার হাটা সহ্য করতে পারে না। সড়কের লাশ বেওয়ারিশ হয় কতভাগ? সড়কে সংসদ সদস্য মৃত্যুহার কেমন? স্বজন হারিয়ে এই বাংলায় একমাত্র দুঃখী সম্ভবত নায়ক ইলিয়াস ; বাকিরা এই দুঃখী, এই সুখী।
নৌ দূর্ঘটনায় পানির জন্য নিশ্বাস নেয়া যায় না, হাসঁ ফাঁস করে মারা যায়,লাশ ফুলে ভেসে উঠে, মাছের খাবার হয়। এ যাবৎ কালের সবচেয়ে বড় নৌ দূর্ঘটনা কোনটা? আপনি হয়তো একটা ড্রোন কিনে নদী পাড় গেলেন, খুব ভালোর ছবি আসলো, সুন্দর ক্যাপশন দিয়ে আপলোড দিলেন।কিন্তু সেই ছবির ভীড়ে ছোট ছোট নৌকা,লন্চ আজীবন ফিটনেসহীনতা ভুগছে , কাল তাজা প্রাণ ভোজ করবে, সেইটা আপনি জানেন না।
বিমানে সম্ভবত উড়াতে থাকতেই টের পাওয়া যায়, অর্ধেক মারা যায় খবর শুনেই,সেই সময় মানুষের ধর্মীয় আবহ বিমানে কেমন বিরাজ করে? প্যারাসুট দিয়ে জাম্প দিয়ে বেঁচে ফিরে সেই অনুভুতি জানিয়েছিলো কেউ আপনাকে? সড়ক,নৌ-তে ঝামেলা থাকলে মানুষ জেনেও উঠে তবে বিমানে জানার তেমন সুযোগ নেই ; উঠে বসো,সিটবেল্ট বাধো,ক্রাশ করার আগে আল্লাহ, আল্লাহ করো। বাংলাদেশের বিমান নিখোজ হবার সুযোগ আছে কখনো? চলুন বিমান নয় বিমান বন্দর নিখোজ করে দেই, যা অব্যবস্থাপনা।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪৯