আষাঢ়ের প্রথম সপ্তাহ চলছে, এত এত পানি বৃষ্টির আকারে মাটিতে পড়ছে বন্যার রুপ ধারণ করেছে,যোগ হয়েছে প্রতিবেশীর পাহাড়ীঢল। মানুষ চরম অশান্তিতে,বিপদে। স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশগুলোতে এসব মানুষের কষ্ট ফিল্ম আকারে দেখানো দরকার , তাহলে ওরা হয়তো বলতে পারবে সুখের আসল ডেফিনিশন ; ওদের দেশ সুখের ইনডেক্সে শীর্ষে থাকে। আমাদের দেশের কালচার,ভাষা, সামর্থ্য জানার চেষ্টা করলে ওরা বুঝতে পারবে যে,আপনি আজ ক্যালেন্ডার নিয়ে বসলে ৩ মাস পর প্রথম মাসে ধান যাবে,তারপর ঘর যাবে ও শেষ মাসে গরু যাবে শুধুমাত্র বন্যার পানিতে।তারপর বাঙালীরা সুখী কিনা সিদ্ধান্তে আসতে পারবে।বিদেশ বাদ দিলে সঠিক দেশের কে পারবে?কারা পারবে?
ঢাকার এলিট এলাকায় সিরামিকের প্লেটে ওয়েস্টার্ন ফুড নিয়ে বসে, চোখ বড় করে বড় পর্দায় নেটফিক্স দেখা নাগরিকরা বুঝবে? বন্যার এলাকায় টুকটাক মাছ ধরা জমির মিয়া মাছ বাদ দিয়ে মানুষ ধরে পারাপারের দায়িত্ব পেয়েও "৫ গুণ ভাড়া হাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসে, উনি বুঝবে? মোমবাতির দাম বাড়ানো সওদাগর বুঝবে? বিভিন্ন বাসা বাড়িতে উত পেতে থাকা চোরেরা বুঝবে? মানবতা বাংলায় কোন ভার্সনে আছে? কে,কিভাবে বুঝতেছে?
অন্যদিকে, গর্বাচেভের নোবেল বেঁচে প্রতিষ্ঠা করা সংবাদপত্র "নোভোয়া গেজেটের রুশ সম্পাদক দিমিত্রি মুরাটভ নিজের নোবেল নিলামে তুলছে ইউক্রেনের শরণার্থিদের জন্য; অনেক বছর টিকে থাকার পর পুটিনের আইনে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় নোভোয়া গেজেটের।দিমিত্রি মানবতা ঠিকমত বুঝতেছে?
বাঙালীরা খাবারে বিষ মিশিয়ে শরীর খারাপ করে ফেলে,তারপর ফার্মেসীতে গিয়ে ময়দার ট্যাবলেট কিনে খায়।কার্বাইড মিশিয়ে আম বেঁচে লাভ করে,ফরমালিনযুক্ত মাছ কিনে বাসায় ফেরে। জটিল দুষ্টচক্রে আটকে আছে জাতি, বন্যার পানি আর এমন কি!!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৮