
শতবর্ষী বটবৃক্ষ জীবনে অনেক কিছু দেখেছে,বহু ফাসি দিয়েছে,বহু গাছ থেকে পড়ে পঙ্গু হয়েছে, অনেক পাখি বাসা বেঁধেছে তবুও অন্তরঙ্গতা গড়তে পারেনি।কীটপতঙ্গ পছন্দ করতো,ওরা বটকে সহজে ছেড়ে যেতো না তাই। বাসা বেঁধেছিল,সাপের নাকি আজকাল বিলুপ্ত।হাজার হাজার মানুষ বিশ্রাম নিয়েছে, নিচে বসে বহু মানুষ বটকে অশীরিরি বলেছে, অথচ বট নিজেও কখনো জানেনি ঐ গাছে জ্বীন ভুত, পেত্নী বাসা বেধেছিলো কিনা।
যারা আত্নহত্যা করতে আসতো,আত্নহত্যা করার সময় নাকি অনেক বার হাতজোড় করে অনুরোধ করেছিলো বটবৃক্ষটি, কেউ কোনো কথা শুনেনি ; যদিও ফাসঁ দেবার আগ মুহূর্তে অনেকে ফাস দেয়নি,কিন্তু এটা নিশ্চিত এটা বটবৃক্ষের অনুরোধের জন্য নয়।১০০ বছরে অনেক উত্থান পতন দেখেছে, অনেকবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার হয়েছিলো,৬০ ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো,তবুও বটবৃক্ষটি বেঁচে ছিলো। কত শত প্লানের মধ্যে পড়ে গায়ে কুঠারের আঘাতও পেয়েছে। তখন মনে হতো এই বুঝি জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটলো।
কত সুপ্ত প্রতিভা নষ্ট হয়েছে তার হিসাব নেই,এই গাছের গোড়ায় নেশা করতে গিয়ে। বটবৃক্ষের একটাই আক্ষেপ কখনো কেউ এখানে এসে শপথ করে ভালো পথে চলেনি, যখনি কাউকে বৃক্ষের দিকে আসতে দেখে তখনি আশায় বুক বাঁধতো বৃক্ষটি।জীবনের মধ্যবয়সে হতাশা ভুগেছিলো, আমি কেন ফল দেই না ;পরে অনেক ধীরে ধীরে হতাশা কেটে আলো দেখা গিয়েছিলো।
আর কতবছর বেঁচে থাকবে জানে না,তবুও প্রতিটি সকালে সূর্যের আলোকে কাজে লাগিয়ে খাবার জোগাড় করে বিচিত্র সমাজ দেখতে খুবই আনন্দ অনুভব করে ; তবে এখনো আশায় বুক বাঁধে মানুষ গাছের গোড়ায় এসে,গাছকে স্পর্শ করে শপথ নিবে 'ভালো মানুষ হবার।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৩৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




