
টাকা, ডলার, রুবল,ইয়েন,ইউরো,রিংগিত,দিনার,রুপী টিস্যু হিসেবে ব্যবহার করা দরকার।আর দেখতে চাই না মুদ্রার অপরিসীম ক্ষমতা।মুদ্রা দেবতার আসনে বসতে অনেক সময় নিয়েছে যা সভ্যতার ইতিহাসে স্পষ্ট। মুদ্রায় কি থাকে?জাতির জনকের ছবি, সংখ্যা,দেশের কিছু নিদর্শন, গভর্নরের স্বাক্ষর,অনেক হাত বদল হলে থাকে জীবাণু। টাকার গন্ধ টাকশাল বের হয়ে একরকম থাকলেও,মানুষের ব্যবহারে পরিবর্তিত হয়। নিদির্ষ্ট সাইজের এক টুকরো কাগজ, অনেক গুলো কাগজ একসাথে করলে বান্ডেল, তারপর মানসিক প্রশান্তচিত্ত উন্মোচিত।
টাকার উপর অগাধ বিশ্বাস, ক্রয় ক্ষমতার বাহাদুরী, ষড়রিপুর সংমিশ্রণে মানুষ নিকৃষ্ট জীব হয়; মসজিদের ইমাম,মন্দিরের পুরোহিত,গির্জার ফাদার সবাই নিজের হাত এক পাত্রে রাখতে বাধ্য,যদি টাকার গন্ধ নাকে আসে। মানুষের ভাবনায় দাসত্বের প্রভাব পড়লে টাকা আসে, ভাবনায় আদিমতা থাকলে টাকা আসে, ভাবনায় বিপ্লবী কর্ম থাকলে টাকা আসে।
টাকার ধর্ম কি? মানুষের ভাবনায় যে ধর্ম ধরা পড়ে টাকায় সেটা প্রতিফলিত হয়,টাকা বুঝে না অপরাধ/ নৈতিকতা, মানুষ বুঝে টাকাকে ব্যবহার করে, টাকা হাসিমুখে ব্যবহৃত হয়। এক বাচ্চা কালো টাকা জানতে চাওয়ায় বলেছিলাম, টাকায় কালো রং থাকে, যা হাতে লেগে যায়, ঐ হাত মুখে লেগে গেলে দেখতে খারাপ লাগে,মানুষ খারাপ বলে। তাই কখনো কালো টাকায় হাত দিতে নেই, বুঝেছো?
মুদ্রা ব্যবস্থা বিবর্তিত হচ্ছে; নিদির্ষ্ট রুমে অনেক কম্পিউটার কাজে লাগিয়ে মাইনিং করে ক্রিপ্টো বানোনো হচ্ছে; যারা এসবের পেছনে তাদের কাছে মাইনিং'এর শব্দটা অমৃতের মত লাগে ; যদিও কোনো ফিজিক্যাল এনটিটি নেই, ধরা যাবে না, ছোয়া যাবে না ; নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে অনুভব করা যাবে আমি উক্ত মুদ্রার মালিক।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৪২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




