দেশের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে সবারই কমবেশি বুঝ আছে। শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রতিনিয়ত আপনি আপনার পোস্টমর্টেম করতে চাইবেন না। দেশের এলিটদের ছেলেমেয়ে বিদেশে পড়াশোনা করে, দেশের ম্যাক্সিমাম ভার্সিটির উপাচার্য বিদেশ থেকে পড়াশোনা করে আসা। তবুও উনাদের বাড়ি ঘেড়াও চলে নামে বেনামে; দফার রীতিনীতি পোস্টারে দেখা যায়। প্রাথমিক বৃত্তির রেজাল্ট পরিবর্তন হলো,মেডিক্যালের প্রশ্ন ফাঁসের জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছে। অনশনে ছেলেমেয়েরা বসলে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে জাফর ইকবালকে উড়ে আসা লাগে,না হলে অনশন ভাঙানো যায় না ; ব্যাপারটা ইসলাম প্রচারের সময় বিলালের বুকে পাথর রাখার মত পরিস্থিতি।
দেশের সরকারের টাকায় শিক্ষকতা করা মানুষগুলো, বেসরকারী শিক্ষকদের জন্য কিছু করেছে কিনা জানি না। বেসরকারী শিক্ষকরা রাস্তাঘাটে পত্রিকা বিছিয়ে আন্দোলন করতে দেখা যায়,দাড়িয়ে মানববন্ধন করে। আন্দোলনের সেই বৃক্ষে কখনো ফল ধরে না, ফুলও দেখা যায় না। বিভিন্ন ভার্সিটির স্টুডেন্টসদের তাদের শিক্ষকদের নিয়ে কিছু বলতে দেন, দেখবেন আপনি হতবাক হয়ে যাবেন,সবচেয়ে চুপচাপ থাকা ছেলেটাও ননস্টপ বয়ান দিতেই থাকবে ক্যারেক্টারের সার্টিফিকেট দিতে।বেশিরভাগ প্রাইভেটে ভার্সিটির ম্যাডামদের নিয়ে আজকাল ফ্যান্টাসিতে ভুগে।এটা সেটা উল্টাসাহিত্য লিখে জানাতে চায়, আমি আছি, বয়স শুধুমাত্র একটা সংখ্যা মাত্র।
আমি স্কুলে থাকাকালীন অনেক শিক্ষকের মাঝে দ্বন্দ দেখেছি, একজন ছিলো এসব ক্যাচাল এড়িয়ে চলতো উনি হিন্দুধর্মের ছিলো। তবে সবার থেকে উনার বেশি গ্রহণযোগ্যতা ছিলো, স্কুলে থাকাকালীন উনার কথার সুরে একটু আধটু অভিমান চোখে পড়তো, তবে এত বুঝতাম না। পরে ব্যাপারটা ক্লিয়ার হলো, যখন উনি সপরিবারে ভারত চলে যায়।প্রথম থেকে আশপাশ থেকে ফিডব্যাকের কারণে উনাকে একটু অন্যরকম দেখতাম, একটুখানি ভয়,একটুখানি সম্মান, উনি আমাকে মোটামুটি পছন্দ করতেন এবং উনার ব্যাক্তিত্ববোধ ভালো লাগতো; তখন উনার ব্যাক্তিত্ববোধ মাপার একটা ব্যাপার কাজ করতো " কেউ কখনো উনাকে খারাপ বলতে শুনিনি, তাছাড়া উনি কখনো কোনো শিক্ষক নিয়ে সমালোচনা করেনি । তবে উনি কিছুটা একপেশে ছিলেন, শিক্ষার্থীর মেধা অনুযায়ী ওভাবে পড়াতেন। যেমন- যার যোগ্যতা ১-২০ মুখস্ত করার, উনি কখনো ২১ শেখাতে চাইতেন না, বলতেনও না। এর পর ঐ রকম বা ঐ লেভেলের শিক্ষক চোখে পড়েনি, ভালো লাগেনি।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:১৯