আমার ডিসঅর্ডারের শিকড়ে পুষ্টিগুণ ছিলো না, বিষ মাখানো ছিলো। ধীরে ধীরে বিষ পৌছে যাচ্ছে মগডালের সবুজ পল্লবে। শত চেষ্টা করেও শিকড় উপড়ে ফেলা যাচ্ছে না,পরিণত মগজের বিপ্লবী ভাবনা রুপকথার মত কাজ করছে না, চোখের সামনে বাচ্চা নিমগাছ অশরীরী হয়ে প্রকৃতিকে মোহাচ্ছন্ন করে রাখছে, মধ্যদুপুরে কাকের ভোজ সীমিত আকারে আনন্দ দেয় না আগের মত। সস্তা কাগজে কলমের কালির লেপনে মগজের নিউরোকেমিক্যাল বেঈমানী করে অবলীলায়। বহুপদী রোগীর মূত্রথলির পানি শহরের রাস্তায় ভেসে ভেসে গন্ধ ছড়িয়ে ছড়িয়ে মিলিয়ে যায় বাতাসে। শহর জুড়ে ভাসতে থাকা গালিসমুহ আগের মত টানে না,আপনি অন্ধকার ঘরে নীল কালিতে আর কত সুইসাইড নোট লিখবেন?
বেওয়ারিশ লাশঘরে যৌনতার লালসা কাব্যিক রুপ নেবে না, আন্তঃনগর ট্রেনের বগিতে ঝিমুতে থাকা মধ্য বয়স্ক কেউ জীবনের মায়ার দোলন দৌদল্যুমান থাকে ট্রেনের সাথে পাল্লা দিয়ে।তোমার ভালোবাসায় আমি কখনো পাপ খুজিনি, তবুও তুমি কেন প্যান্ডোরার বক্স খুলে আমাকে তা উপহার দিয়েছিলে? গৌধুলির সময়টায় আমাকে ডাকা হয় বহু দূর থেকে, মৃত্যুর হাতছানি আমাকে ফিরে নিয়ে যায় দেব-দেবীদের গ্রহে। টেলিস্কোপে ধরা দেওয়া গ্যালাক্সিতে স্রস্টার আবেদন মেপে আমি হারিয়ে যাবো জাপানের সুইসাইড ফরেস্টে এবং এমিব্যা হয়ে মগজ খাওয়ার চেতনায় ডুকরে কেঁদে দিবো স্বয়ং আত্নার সাথে।
শ্বাস:প্রশ্বাস চালু থাকলেই আমি দেখে যেতে পারবো আশপাশের বিচ্যুতির ভাবনার ধ্বংসলীলা। হিংসার জ্বলনে পুরো মানবজাতির পরিণতি বহু আলোকবর্ষ থেকে দেখতে পাবে বুদ্ধিমান প্রানীরা।এখনো উনারা এত আলোকবর্ষ দুরে থাকে যে, আলো পৌছানোর অভাবে আজও পৃথিবীতে উনারা ডাইনোসর প্রীতি দেখে;ওরা চিন্তাপরাধে রেখেছে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের সাথে সাথে আমাদের হিংসার কুটিল বীজ বৃক্ষে পরিণত হবার বাসনা দেখার পরিতৃপ্তিতে ঢেকুর তুলবে, ঘুরে ফিরবে গ্যালাক্সি থেকে গ্যালাক্সীতে; আমরা নিঃশেষ হয়ে যাবো আদিমতম কামনা বাসনায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৩৬