ছোটবেলায় পরিবেশ পরিচিতি সমাজ/বিজ্ঞানে মুখস্থ ছিলো একটা লাইন: আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তা নিয়েই আমাদের পরিবেশ। পরিবেশের সহজ ডেফিনিশন ঠিক আছে, তারপর কি। ব্লগে দেখলাম, আকাশে বিমান চালাবে সেখানেও দুুনীর্তি ডুকেছে,উনি ককপিটে বসে গন্ধ ছড়াবে, সে গন্ধে দূর্ঘটনাও হতে পারে। একজন দেখলাম টিকেট কাটতে ভয়ও পেয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে ; আচ্ছা দেশে এখন কয়টা তদন্ত কমিটি জীবিত অবস্থায় আছে? মিথেন গ্যাসের জমাটের র্যাংকিং এ বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থায়ই থাকবে, যেমনটা থাকে বাতাসের কোয়ালিটিতে তলানীতে।
আশপাশের পরিবেশের সবাই উৎ পেতে বসে আছে গলায় তলোয়ার রাখার জন্য, হোক সেটা মতের অমিলে,খাদ্যের আয়োজনে,শিক্ষার ব্যবসায়,চুরি ও ছিনতাইয়ে। জীবনানন্দের বনলতার মত দুদন্ড শান্তি পেতে উপাসনালয়েও গিয়ে দেখবেন, হাতাহাতি চলছে, উনাদের ফতোয়া জিততে হবে,দলিল প্রিন্ট হচ্ছে দোকানে।কিছুদিন আগে একজনের সাথে কথা হলো, উনি রাজণীতিতে নাম লিখিয়েছে, তাজা টাকার গন্ধ পাচ্ছে ব্যবসায়, গায়ে গতরে বিলাশী ভাব এসেছে ; ব্যবসা হলো উনি দেশের পপুলার মাদকের ডিলার।উনি আমাকে অনেক উপদেশ দিলো, মনে হলো পাবলো এসকোবার।সারাংশ হলো: সবার মত কচুরীপানার মত ভেসে যেতে,দূর থেকে দাড়িয়ে দেখে লাভ নেই।
ব্লগারেরা দুনীর্তির সিস্টেমে ডুকে পড়লে, অবশ্যই ভালো করতে পারার কথা ; কাক/পক্ষী টের পাবে না কার্যহাসিল হয়ে যাবে।আমি জানতে চাই, ব্লগারেরা দুনীর্তিতে কতভাগ একটিভ? ভিকটম হয়ে কেঁদে কেটে লাভ নেই,লিডে থাকেন, দেশটাকে ভোগে পাঠানো অন্য কারো থেকে আপনার জন্য সহজ।সুলতানের কাচ্চিতে আপনি ডাইনোসর মিশিয়ে জনগণকে পাগল বানিয়ে দিবেন,দুনীর্তি উপভোগ করুন,বাংলার আকাশ, বাতাস ও পানি তা উপভোগ করছে। বাঙালীরা সুযোগ পেলে পুরো সৌরমন্ডল বেঁচে দিবে, জালিয়তি করে স্বর্গের দরজায় চেয়ার বসিয়ে টোল আদায় করবে।ব্লগের পরিবেশ উঠানামায় থাকে, রাডারে ধরা পড়ে; তবে এখনো নিশ্বাস নেয়া যায়।নিঃশ্বাস নিতে নিতে ভাবছি দূনীর্তিগ্রস্ত ব্লগার বলে কিছুর অস্তিত্ব আদৌ আছে?
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:০১