বলছি, নিখোজ হয়ে যাওয়া মালয়েশিয়ান বিমান ৩৭০ 'কথা।বিমানটি বেইজিং যাবার জন্য উড়াল দিলে, দেড় ঘন্টা পর রাডারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে হারিয়ে যায়। সরকারের পক্ষ থেকে ইনভেস্টিগেশন টিম বিমান খুজে পেতে মিলিটারীর রাডারের সাহায্য নিয়ে একটা দিক খুজে পায়, যা ছিলো উত্তর সুমাত্রার দিক;বুঝতে পারে যে, রাডার বিচ্ছিন্ন হবার পরেও বিমান ৫/৬ ঘন্টা আকাশে উড়েছিলো। পরবর্তী সূত্রটি আসে স্যাটেলাইটের সিগনাল থেকে যা ভারত মহাসাগরের একটা স্পেসিফিক জায়গা, যার ফলে মিলিটারীর রাডারের তথ্য পেছনে পড়ে যায়। দুই সপ্তাহ কিছু না পেয়ে টিম নজর দেয় ব্ল্যাক বক্সের ডাটার দিকে, ঐ খান থেকে সিগনাল পেয়ে পরে নিউক্লিয়ার টেস্টের টেকনোলজী হাইড্রোফোন বসিয়ে খুজে বের করতে চেষ্টা করে এবং দেখা যায় সিগন্যাল আসছে সার্চিং জোন থেকে হাজার মাইল দূরে। টেকনোলজি নামাতে সমস্যা হবে বিধায় স্মার্ট টেকনোলজী( পানি সরিয়ে মাটি দেখার ব্যবস্থা) ব্যবহার করে সমুদ্রের তলদেশ দেখার কথা চিন্তা করা হয়। ইতিমধ্যে বের করা হয় বিমানের লাস্ট মিনিটে সম্ভবত কি ঘটেছে, বের হয় লোকেশন ও কমে আসে সার্চিং জোনের দুরুত্ব।কিন্তু ১৫ মাস ২৩ হাজার বর্গমাইল তলদেশ ডিটেইলস স্ক্যানিং করে পাওয়া যায় না কিছুই এমনি কোনো চিন্হও, বরং পায় জাহাজ,ফিশিং ট্রলার।
অন্যদিকে কিছু দ্বীপে ভেসে আসে বিমানের পাখা সদৃশ কিছু, যা বোয়িং কোম্পানী কনফার্ম করে এটা ফ্লাইট ৩৭০ জিনিস বরং তা ছিলো আসল সার্চজোন থেকে ৪৫০০ মাইল দূরে। ইনভেস্টিগেশনের ফোকাসে পরিবর্তন আসে,ফোকাস চলে যায় ভেসে আসা বস্তুর দিকে; বস্তুর ডাটা এন্যালাইজ করে ( বস্তুটি পানিতে ভাসিয়ে দিয়ে) নতুন লোকেশন বের করা।রাতদিন কাজ করে ৩ টি লোকেশন পেয়ে গিয়ে ১.৫ বছরে ভাবছে শুরু করে, এই বোধহয় পেলাম। ইনভেস্টিগেশন কর্তৃপক্ষ মাঝখান থেকে ঘোষণা দেয় ইনভেস্টিগেশন পর্ব শেষ,সবাই বাড়ি যান। তাই অন্য এক প্রাইভেট কেম্পানী ইনভেস্টিশনে ডুকে পড়ে ৩ টি লোকেশনের লোভে। ৫ মাস পর ৯২ হাজার বর্গমাইল তলদেশ স্ক্যান করেও কোনো চিন্হও পাওয়া যায়নি।পরে দু পক্ষ হতাশ হয়ে গেলে মালয়েশিয়ান সরকার ইনভেস্টিগেশন চূড়ান্ত বন্ধ ঘোষণা করে।
সর্বমোটে ৩,৪৬০০০ বর্গমাইলব্যাপী খোজাখুজি করেও কিছু না পেয়ে পরে সান্তনাসূচক প্রেডিক্টট্যাবল টাইপ বিমান ক্রাশের ভিডিও বানায় ও ব্যাখ্যা করে।এভ্যিয়েশন ইতিহাসে সবচেয়ে রহস্য হয়ে এখন পর্যন্ত টিকে আছে মালয়েশিয়ান ৩৭০ বিমান ভ্যানিশ হয়ে যাওয়া।টেকনোলজির আপগ্রেডের সময় প্রায়োগিক দিকের যে ব্যাপারগুলো মাথায় রাখা হয় ও পরবর্তীতে ভিন্ন টেকনোলজীর সমন্বয়ে আইডিয়া বের করে কাজ করেও হতাশ হতে হয়েছে,বাস্তবতা ধরা দেয়নি।তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ভ্যানিশ হয়ে যাওয়া বিমানের ইনভেস্টিগেশনের সাথে যারা যুক্ত ছিলো তাদের মগজের চমকপ্রদ ব্যবহার করে এমন নতুন নতুন পথ বের করতে পেরেছে যা ভবিষ্যৎ'এ এমন মামলা সমাধান করতে পারবে পান্তাভাতের মতন।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৪২