ইবাদতের মধ্যে নামাযের পরিমাণ বাড়ছে আসন্ন রমজানে, প্যার্টান অনুযায়ী প্রথম কয়েকদিন উপচে পড়া ভিড় থেকে মুসল্লি কমতে শুরু করবে, তারপর জোয়ার দেখা যাবে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ রাতে।সবই ঠিক থাকবে, হয়তো আহারের পরিমাণ কমবে, ভাবনায় আগামীদিনের কথা থাকবে।মসজিদের প্রথম ২/৩ কাতার হয়তো রিলাক্সে ইবাদত করবে, পরের গুলোর ফোকাসে বিঘ্ন ঘটাবে। কথা হলো, দেশের ব্যবসায়ীদের ঘুম ভাঙছে, ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি থেকে বিপদজনক আগ্নেয়গিরির রুপ দেখা যাবে সহসাই।
দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় দুআ করা হবে, দেশে রহমত বিরাজ করবে। কিন্তু সিন্ডিকেট প্রথা ভাঙবে কিভাবে? সিন্ডিকেট নিজেও দুহাত উপরে তুলে কল্যাণ কামনা করবে, সিন্ডিকেটও চায় কল্যাণ হোক, আমরাও চাই। কিন্তু দাম রকেট সায়েন্স ফলো করে উপরেই যাচ্ছে। রমজানে মধ্যপ্রাচ্যে আরবদের মাঝে সহনীয় ভাব কাজ করে যেনন দরদাম নিয়ে ভাবনা যেন কাজ না করে ; পরকালের জন্য ভালো ব্যবস্থা যেন নেয়া হয়। আর এখানে দেখেন, হরমোনযুক্ত মুরগী খাবে তাও নাকি কেজি ২০০ টাকার উপরে; সাদা বিষ খেতে হবে বেশি দামে।মানুষের ভাবনায়, ভেজাল খাবো তাও বেশি দামে, আমরা কম দামে কেনো ভেজাল কিনতে পারছি না, কি চমৎকার ভাবনা।
রমজানের বাজার নিয়ে পত্রিকায় বিভিন্ন লেখা আসছে, সারাংশ হলো : সরকার, প্রশাসন ও ব্যবসায়ী বাদে বাকি মানুষগুলো ভালো নেই। ব্যাপারটা এমন যে , ব্যবসার সাথে যুক্ত সব লেভেলের মানুষের লজিক্যাল রিজন আছে ; তবে যুক্তিবিদ্যার বইয়ে এসবের কেমন অস্তিত্ব থাকবে তা দেখতে হবে। মানুষ বাংলার এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে না; যদি আল্লাহ চায় আমার বান্দারা পূর্ণ মনোযোগে আমার ইবাদত করতে পারছে না, আমিই একটা ব্যবস্থা করি, তাহলে হয়তো ইদে ভালোমত হাসতে পারবে বাঙালীরা।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:০৭