মগজের নিউরোকেমিক্যালের মধ্যে ডোপামিন একটি, এটা বর্তমানে গবেষণার জন্য ভালো টপিক। এটা মূলত মানুষকে সুখী থাকার ও রাখার মাধ্যম।মানুষ ধীরে ধীরে বুঝতে পারছে মগজে এটার পাথওয়ে,কাজ ( মোটিভেশন,এ্যাকশন,ড্রাগ ক্র্যাভিং,টিকটক ফেসবুক এডিকশন), ডোপামিনের ক্ষতিকর দিক এটার ব্যবহারের উপর নির্ভর করছে।বিভিন্ন সোর্স থেকে পাওয়া আনন্দের মাত্রা বের করা সম্ভব হচ্ছে টেকনোলজী ব্যবহার করে।যেমন - নিকোটিন, কোকেন থেকে মেথ ড্রাগের আনন্দের মাত্রা বেশি,সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌছে ডোপামিন লেভেল দ্রুত ড্রপ করে বেইজলাইনের নিচে চলে যায়, যা পরবর্তীতে মগজের বা টোটাল জীবনযাত্রার মানে ব্যাঘাত ঘটায়।
ডোপামিন নিয়ে বিভিন্ন বই লেখা হয়েছে, কিছু বই হয়তো পপুলার হয়েছে। পপুলারিটির কারণে ডোপামিনের সঠিক প্রয়োগ করতে মানুষ আগ্রহী হচ্ছে। এটার উপর নির্ভর করে মানুষের সুখী থাকার মাপকাঠি বের করা হচ্ছে,।ব্যাপারটা এমন বলা হচ্ছে যে, ডোপামিন কন্ট্রোল করে আপনি পৃথিবীতে রাজ করতে পারবেন। কন্ট্রোল বলতে: ইনস্ট্যান্ট সুখের বদলে পরিশ্রম করে গোলে পৌছানোতে টার্গেট সেট করা,প্রপার ঘুম ও সকালের সূর্যের আলো গায়ে লাগানো এবং বিভিন্ন সোর্স থেকে ডোপামিন নিঃসরণের রাস্তা তৈরী না করা।
সময় ছিলো, আদিম মানুষের মগজে এই নিউরোকেমিক্যাল ঠিকই ছিলো,উনারা এটা নিয়ে জানতেন না, বুঝতেন না। ব্যাখ্যায় গড়মিল দেখা যেতো, ভবিষ্যৎ 'এ এমন হবে ড্রাগ দিয়ে ডোপামিন নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে, সবাই সুখী হবার দিকে ঝুকবে।জানতে ইচ্ছে হয় চেঙ্গিস খানের মগজে ডোপামিন কীভাবে খেলা করেছে,উনি কচুকাটার তকমা গায়ে মাখিয়েছে।ধর্মপ্রবর্তকের মাথায় কেমন নিঃসরণ হয়েছে?লেনিন,মাও, চে-দের মগজের নিঃসরণ মাত্রা কিরুপ? বর্তমানের হিটলারের ছায়া মাড়ানো পুটিনের মাথায় তা কীভাবে খেলা করে? এটমিকের মালিক পাকিস্তানীদের মগজের সুখের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।ঢাকাবাসী ভালোমত এটা অনুভব করতে পারার কথা,ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে বসে থেকে সময়মত বাসায় গিয়ে ইফতার করতে পারলে বোধহয় ডোপামিনের কারণে সুখ অনুভূত হয়। আপনি ডোপামিন সংক্রান্ত বই পড়ে,শুনে নিজের জীবনে প্রয়োগ করে দেখেছেন, যদি থাকেন তাহলে ফলাফল কি?
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৫২