
গরীব দরিদ্র শ্রেণী বলতে যা বুঝায়, তাদের জীবনযাপন যে লেভেলে এসে ঠেকে তাদের পূর্বের অতিবাহিত জীবন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তারা মৌলিক অধিকার থেকে কোনো ক্রমে বন্চিত হয়ে, খেয়ে পড়ে বাঁচার জন্য একটা কর্ম জোগাড় করেছে।সেই কর্ম থেকে পাওয়া অর্থ শুধু দিনই কাটে ভবিষ্যৎ বলে তেমন কিছু থাকে না, তাছাড়া বিভিন্ন ভুল চিন্তাভাবনার কারনে এ জটিল ফাঁদ থেকে বের হবার কেনো দিগন্তরেখাও দেখা যায় না।দিন আনে দিন খাওয়া মানুষের পক্ষে প্রকৃতিও সঠিক আচরণ করবে না,করে না। পিষে মারতে চায়।
রমজান মাস চলছে, সাথে তাপমাত্রার যে তীব্রতা ঢাকার মত সিটিতে অর্থ উপার্জন করতে নেমে ঠিক কতভাগ রোজা পালন করতে পারে?অথচ এই ভাগের শতকরা হারই বেশি। তাদের ভেতর যদি সুপার মোটিভেশন কাজ করে যেমন- আরবের মুরুভূমিতে ইসলাম ধর্ম আসার পর ধর্ম নিয়ে কোনো আপোস করা হয়নি, এমনি আমাদের নবী থেকে শুরু করে অনেক সাহাবীই পেটে পাথর বেধে রাখতে বাধ্য হয়েছে ক্ষুধার যন্ত্রণায় ;তাহলে হয়তো রোজা পরিপূর্ণভাবে পালন করা সম্ভব হবে।তা নাহলে, বাস্তবতার নিরিখে জীবন সংগ্রাম ধর্ম পালনে সামান্য সমস্যা সষ্টি করতে পারে; পেটে খাবার ঢুকানোর লোভে নামাযের সময় গত হয়ে যেতে পারে।
দরিদ্র ও নিন্ম মধ্যবিত্তদের মাঝে সবসময় ঈমান ঠিক থাকবে ইস্পাতের মতন,নামায/রোজায় সমস্যা সৃষ্টি হবে।যাকাত নিতে গিয়ে পদদলিত হবে, প্রায়ই পদদলিত হয়ে নিহতের খবর পাওয়া যায়।ভবিষ্যৎ'ও এমন নিউজ রেডি হচ্ছে সম্ভবত; তাছাড়া শেষ স্তম্ভ হজের বেলায়ও তাদের তীব্র ইচ্ছা, আকাঙ্খা থাকলেও হজ্বেও যাওয়া হয় না, খরচের উর্দ্ধোমুখী গ্রাফের কারণে।হয়তো সময়ের ব্যবধানে জীবনযাত্রার মানে উন্নতি হলে পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে প্রথম চারটি ঠিক থাকলেও, শেষ স্তম্ভটি অধরাই থেকে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




