
মোটের ওপর মানুষের জবানবন্ধি থেকে বুঝতে পারা যায়, উনারা বিরক্ত, ছেড়ে যেতে পারলে বাঁচি। আমজনতা থেকে কমিটি গঠন করে,ঢাকার দোষগুণ মাপতে দিলে, দোষের পাল্লা সবসময় ভারী হবে। ঢাকা মানুষের ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টিতে ঢুকে কেমন আকৃতি ধারণ করছে? যেমন- গান, গল্প,কবিতা,নাটক, মুভীতে ঢাকার চেহারা কি মেকআপ সদৃশ দেখা যায়।আমার মনে হয়,কবিতা বাদে বাকি সবগুলোতে ঢাকাকে একটু সমস্যাপূর্ণ মেগাসিটি হিসেবে দেখানোর প্রবণতা থাকতে পারে।চিরকুট ব্যান্ডের এক এলব্যামের নামই তো " যাদুর শহর"; কিসের যাদু এটা? কিভাবে মানুষকে মুরগী বানানো যায় নাকি নিজে শিয়াল হওয়া যায়। নাটকের সময় কেটে যায় দালানের ভেতর বা হালকা সবুজ হয়ে থাকা গাছপালার ভেতর,ভাড়ামী/প্রেম /সস্তা সেন্টিমেন্টালে ঢাকা ঢেকে থাকে।
এলিটদের ঢাকা নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই,যেমন: বৃটিশ ভারতবর্ষে পার্মানেন্টলি থাকতে চাইনি বলেই, ভারতবর্ষ লন্ডন হয়নি;এলিটরা তেমন প্যার্টানেই ভাবতে পারে, কোনো এক জায়গার বহুদিন থাকলে অভ্যস্ততার কারণে যে টান কাজ করে , তা ভালোবাসার অন্যরুপ হিসেবে বলা যায়।ঢাকার এলিটভাব যারা যাদের ভিতর বজায় রাখে, তাদের বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে আমাদের ভাবনা কলুষিত হয়; ফলে ঢাকার মেকআপ নষ্ট হয়ে ভৌতিকরাশিতে পরিণত হয়।
ঢাকায় সূর্যের আলো ঢুকলে সূর্যও রাগ করতে পারে, কারণ তাপমাত্রা বের হবার জায়গা নেই।রাস্তাঘাট থেকে দালান সব সযত্নে ধরে রাখে। অনেকদিন পর ঢাকা ছাড়ছি, লাস্ট যখন ছেড়েছিলাম, তখন ছিল শীতকাল, কুয়াশার কারণে বাস বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলো চালক; আজ যখন ঢাকা ছাড়ছি মানুষ গরমে হাসফাস করছে ; বাসের প্রতিটি সিটের সবার হাতেই পানির বোতল। চমৎকার দৃশ্য। আমি ঢাকাকে ভালোবেসে হয়তো ফিরবো না,ফিরতে হবে কারণ রিজিক নাকি এ শহরে আটকে থাকে বেশি। আপনি ঢাকাকে ভালোবাসেন? নাকি ভিসার জন্য এম্বাসী দোড়াদোড়ি চলছে?
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:১৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




