বৌদ্ধধর্মের গৌতমের বাবা-মা গৌতমকে চার দেয়ালে বন্ধি রেখে জীবনের মানে শিখাতে পারেনি,গৌতমের জীবন হবে সুখ আর সুখ, তা দিয়ে চারপাশ ঢাকা থাকতে হবে তেমন ব্যবস্থা করেছিলেন ওর বাবা-মা,বিয়েও দিয়েছিলেন।কিন্তু দেয়ালের বাইরে গিয়ে ভিন্ন জগৎ দেখে রাজপরিবারের মোহ নিমিষেই ভুলে গেলো এই ভেবে যে, সত্য আমি চারদেয়ালের ভিতর পাবো না।ফলাফল :বিভিন্ন গুরু ধরে কাজ না হওয়াতে নিজেই গাছের নিচে বসে দর্শনের জন্ম দিয়েছে,সবাইকে জানানোর ব্যবস্থা করেছে,জানিয়েছে এবং মানুষ এখনো তা ধরে রেখেছে, পালন করছে ধর্ম হিসেবে।গৌতমের সত্য গৌতমকে ভালো রেখেছে নিশ্চই বাকি উনার অনুসারীগণ কতটুকু ভালো থাকতে পেরেছে?গৌতম নিজেও মানুষের ভালোর জন্য বসেনি গাছের নিচে,পরে দিব্যজ্ঞান জ্ঞান লাভ করে মানুষের ভালো চেয়েছে সম্ভবত।
সমাজতন্ত্রীরা অনেক চেষ্টা করেছে মানুষকে ভালো রাখতে,বই লেখা হয়েছে, বাস্তবতা বুঝে বিপ্লব সাধিত হয়েছিলো,একসময় পৃথিবীরব্যাপী বিপ্লবের বীজ বোনা হতো। লেনিন দিয়ে শুরু হয়ে ইউনিয়ন গর্বাচেভের হাতে সমাপ্তি ঘটনো হয়। মেডিক্যালের ছাত্র চে পৃথিবীটাকেই নিজের আইডোলজির আতুরঘর বানাতে চেয়েছে,সফলতা/ব্যর্থতায় জীবনাবসান হয়েছে।চে টিশার্ট ক্যাপে জীবিত আছে এখনো, যা তরুনপ্রজন্মের রক্ত গরম করতে পারে না; এমনকি নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা আজকাল অকোজো হয়ে গেছে মনে হয়।চে 'কে আটক করা বলিভিয়ার জেনারেল আজ মৃত্যুবরণ করেছে। বিপ্লবের যুগে মানুষের ভালো যারা চেয়েছে, বর্তমান সময়ে ঠিক কত ভাগ মানুষ অন্য মানুষের ভালো চায়?? এখন ক্যাপিটালিজম ধোয়ায় নিশ্বাস নিতে শিখতে হয়, নিশ্বাসবন্ধ হয়ে গেলেও কিছু করার নেই।
কিছুদিন আগে ডা.জাফরউল্লাহ মারা গিয়েছে,দেশব্যাপী সবাই উনার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে; যুদ্ধের জন্য পড়াশোনো বাদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করা জন্য তিনি চলে আসে।এই ঘটনার সাথে একটু মিলিয়ে দেখি,করোনার সময় দেশে বাসায় বসে স্কিল অর্জন করার পরামর্শ দেখা যেতো যা করোনা পরবর্তী সময়ে কাজে আসবে।কিন্তু তেমন কেউ বাইরে বের হয়ে মানুষের সাহায্যের কথা ভাবেনি, ভেবেছে নিজের ও পরিবারের।কিছু ঘটনা থাকতে পারে যা ব্লগারদের কমেন্টে আসতে পারে। জাফরউল্লাহ এক ইন্টারভিউতে একবার জিয়াকে বলেছিলো,আপনি ছোট কাজ সিগারেট ছাড়তে পারেননি,মানুষের জন্য বড় কাজ করবেন কীভাবে?
আপনি আপনার জীবদ্দশায় মানুষের ভালোর জন্য কত মিনিট ব্যয় করেছেন; পার্লামেন্টের বিলগুলোয় মানুষের ভালোর জন্য কিছু চোখে পড়েছে।মানুষ আছে নিজেকে নিয়ে, নিজেকে কেন্দ্রে রেখে পরিবার পর্যন্তই বলয়।এর বাইরের কিছু কখনো চোখে পড়ে না সমাজ ও রাষ্ট্রের।নিজে ভালো থাকতে গিয়ে প্রকৃতির সাথে অবিচার, বিশৃঙ্খলা,অরাজকতার জন্ম দিয়ে, সমাধানকে অধরা রাখা হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:২১