দেশে মোট ফার্মেসীর সংখ্যা ২ লাখ ৩ হাজারের কাছাছাছি। গতবছর ৫ মাসে নিবন্ধন দেয়া হয় ৪৬ হাজারের বেশি ফার্মেসী। দেশের ১৮/১৯ কোটি মানুষের জন্য ঔষধ বাজারজাত করা হয়, বিদেশেও রপ্তানী করা হয় ' ঔষধ প্রসাশন অধিদপ্তর তাই হয়তো বলবে নিয়ম মেনেই নিবন্ধিত করা হয়েছে।তবে ঠিক জনসংখ্যার অনুপাতে ফার্মেসীর সংখ্যা কত থাকতে হবে তা জানা যায়নি।
ফার্মেসী ব্যবসায় কি বেকারত্ব দূর হচ্ছে? আমার পরিচিত একজন ছিলেন নিজের ছেলের জন্য সরকারী চাকুরীর জুতা ক্ষয় করে ফেলেছিলেন, পরে বুদ্ধি করে ছেলেকে ফার্মেসীতে রেখে নিজে ফার্মেসী দিয়ে ছেলেকে বসিয়ে দেয়।কিছুদিন আগে দেখা হতেই, এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উনি বলে এ ব্যবসার যুগ চলে গেছে,বাকির খাতার পৃষ্ঠা সংখ্যা বাড়াতে হয়, না হয় ক্রেতা অন্য দোকানে চলে যায়। এখন নাকি সাধারণ মানুষ আর বোকা নেই, সবাই ঔষধ চিনে, দাম জানে, ঠকানো যায় না। অনেকেই দেখেছি লাইসেন্স নেবার জন্য লাইনে গিয়ে দাড়ায়, মানে ফার্মেসী বাজারে আসছে আরও।
ঠকানো যাচ্ছে না জাতির স্বাস্থ্যের অবস্থা কেমন? নিশ্চই ভালো, করোনা কি করতে পেরেছে? ইম্যুনিটি যে লেভেলে গেছে আশেপাশে এত এত ফার্মেসী ইম্যুনিটি দেখলে, রাগ করতে পারে।নিজের কাজ বন্ধ করে মুড়ির মত ঔষধ খেতে বাধ্য করতে পারে। এন্টিবায়োটিক সাজেস্ট করা আর্টের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। ভেজাল খেয়ে ঔষধের চাহিদা বাড়ছে, সেই ঔষধেও ভেজাল বাড়ছে;আমি আপনি সুস্থ আছি, অসুস্থ হচ্ছি।
আপনারা নিশ্চই একমত হবেন যে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ডাক্তার প্রজাতি এ দেশে বাস করে, সংখ্যা আরও বাড়বে যে হারে নিবন্ধন শুরু হয়েছে। নিজের বাসার সদস্য থেকে শুরু করে মোড়ের টেম্পুচালকও ডাক্তারী বুুঝে। ঔষধ সাজেস্ট করতে পারে বা পরিচিত ফার্মেসী সাজেস্ট করতে পারে। দেশের মানুষের চিকিৎসা ব্যবস্থা সামলায় ভারত,থাইল্যান্ড,লন্ডন, ও আমেরিকা। বাজারের মরিচ বিক্রেতাও দেশের ডাক্তারদের ভরসা করতে চায় না ;তবুও বিভিন্ন কোম্পানী মেডিকাল প্রমোশন অফিসারদের রিপোর্ট করায় ডাক্তারদের চেস্বারে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:০৫