আপনি এমন এক সমাজে বাস করছেন,আপনি সামাজিক স্ট্যাটাসে তলানীতে খাবি খেলে আপনার মেয়ে ধর্ষণের শিকার হবার সম্ভবনা বেশি থাকবে,তারপর মানসিক ট্রমায় চলে যাবে বা সমাজের বিকৃত মানুষের আচরণে সুইসাইড করে বসতে পারে। ঘটনা এখানে শেষ হলেই হতো ; কিন্তু যখন মর্গে গিয়ে মৃত লাশ যদি আবার ধর্ষণের শিকার হয়, তাহলে আপনি কার কাছে বিচার দিবেন? প্রাচীন মিশরীয়রা এ ভয় থেকেই মেয়েকে নিজ বাসায় ৩/৪ দিন রেখে, তারপর মমির পথ বেছে নিতো।রাজতন্ত্রের সময়কার নালিশের পার্থক্য নিশ্চই এখনকার থেকে যথেষ্ঠ অনুন্নত ছিলো।
এদেশের সরকারী মেডিক্যালের মর্গে লাশ ধর্ষণের হাফ সেন্চুরীর রেকর্ডও বহাল আছে; কেউ কেউ রেকর্ড ভাঙতে চাইছে।কিন্তু ব্যাপারটা জানাজানি হলে, সে আশায় গুড়েবালি দেখা দেয়।পাকিস্তানে তো মেয়ের বাবা-মা মর্গের,কবরস্থানের পাহারাদের চাকুরীর দায়িত্ব নিজের কাধে তুলে নিয়েছিলো,এই ভেবে যে আমি থাকলে হয়তো আমার মেয়ে ধর্ষণের স্বীকার হবে না। মর্গে,গোরস্থানে এমন ঘটনা ঘটে গেলেও কেউ কিছু জানতে পারবে না,এটা এ রোগের সুবিধাজনক অবস্থান।
এ ধরনের যৌন আচরণ ঠিক সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের মাথায় ভালোমত আঘাত করতে পারার জন্য যথেষ্ট, বাস্তবতা হলো এ রোগের রোগী কম,তাই চিকিৎসার সুবিধা কম ও আইন কানুনে চোখ বুলিয়ে শাস্তি দেবার প্রবণতা কম থাকতে পারে। ইউরোপে নেক্রোফেলিয়া বৈধ করার ভাবনাও মানুষের মাথায় কাজ করেছে,সরকার তেমন আমলে নেয়নি।
এ রোগ সম্পর্কে মানুষ তেমন জানে না মানে সহজে বিস্তার ঘটানো সম্ভব নীরবে, নিভৃতে।মেয়েদের নিশ্বাস নেবার সময়ও শান্তি নেই, নিশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলেও শান্তি নেই। ফলাফল কেউ না কেউ ভোগ করবেই।আপনার আশেপাশে 'এ রোগের বাহক চোখে পড়েছে? আপনার অভিজ্ঞতা পর্যবেক্ষণ থেকে কিছু কি বলতে চান? করোনাকালীন সময়ে মিডিয়া মারফত সোনার বাংলায় এ রোগ সম্পর্কে জানতে পেরে আপনার কেমন অনূভুত হয়েছিলো?
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:১৬