
উনার স্ত্রী ব্লগে সাহায্য একান্ত না পারতেই চেয়েছেন, যা উনি ব্লগে উল্লেখ করেছেন। উনার সময়টা খুবই খারাপ যাচ্ছে,যারা উনার প্রথম পোস্ট পড়েছেন, বুঝতে পেরেছেন। সবাই সমব্যাথী, সবাই উনার জন্য দুয়া চাইলো সাহায্য করবার ইচ্ছাও পোষণ করলাো,কিছু প্রশ্নও করলো। উনার সাথে যারা যোগাযোগ করেছে উনি বলেছে, সবাই আন্তরিকতার সাথে ব্যবহার করেছে। একমাত্র উনার দরজায় নক দেয়া ব্লগার গোফরান ছাড়া এমনকি প্রতিবাদী পোস্ট উঠে এসেছে ; বিষদভাবে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ চলেছে। কি দরকার এসবের?
ব্লগার গোফরান ভাই আপনার দরজায় নক দিয়েছিলো, শুধুমাত্র ডকুমেন্টস যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জোগাড় করে, এডমিনকে দেয়া। তাহলে ব্লগে পোস্ট স্টিকি হলে, টাকা সংগ্রহ শুরু হবে ; কারণ ব্লগের সবার মনের ভেতরেই একটুখানি খারাপ লাগা কাজ করছিলো,সাহায্য করবার জন্য উন্মুখ হয়ে উঠেছিলো; কেউ কেউ ব্যাংক পর্যন্ত চলে গিয়েছিলো টাকা পাঠানোর জন্য। ছবি ছেড়ে কেউ কেউ স্মৃতি রোমন্থনও করেছিলো।ডকুমেন্টস না পেয়ে গোফরান ভাই হতাশ হয়,মনে প্রশ্ন জাগে।তাহলে কি হবে এখন? উনি তো আলমারী ভর্তি ডকুমেন্টস চায়নি, আপনি কয়েকটা আনুন,ছবি তুলি।হাসিমুখে বিদায় হই ; বের হতে হতেই যেন পোস্ট লেখা হয়ে যায় ব্লগে।
সবদিকেই দেখি হিউম্যান ন্যাচারের ক্যাচাল।ইমোশনাল গেম,কথাবার্তায় পছন্দ না হওয়া ; ব্যাপারটা এমন যে,আপনি প্রথম দর্শনে একজনকে পছন্দ না করলে, সে সুরা তেলাওয়াত করলেও পছন্দ করতে চাইবেন না; পূনর্জন্ম হলেও পছন্দ করবে কিনা সন্দেহ। শুধুমাত্র গৌতম বুদ্ধের মত গাছের নিচে বসলে সম্ভাবনা আছে।
পুরো ব্লগ সাহায্য করতে চায়,ব্লগার গোফরানও চায়।আপনি প্রতিবাদী পোস্ট না দিয়ে,গোফরান ভাইকে ডকুমেন্টস দেবার একটু চেষ্টা করলে ভালো হতো না, পোস্ট জুমার নামাযের আগে স্টিকি হয়ে যেতো। অবশ্য আপনি স্টিকি বুঝার কথা নয়,বুঝবেন শুধু, কেন উনি আপনাদের এখনকার খরচ কীভাবে চলছে তা জানতে চাইলো।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


