ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রোগ্রাম চলছে, আমি যে এলাকায় আছি এই এলাকায়। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মোড়কে বিভিন্ন মেসেজ দেবার চেষ্টা চলছে আলতো করে, দর্শকদের ফিডব্যাকও দেয়া হচ্ছে, ইসলামিক শাসনতন্ত্রের দিকে যেতে চাইছে তারা। সরকার পতনের ঝাঝ এখনো কাটেনি, রঙ্গলীলা চলছে পুরোদমে যা কবিতা, নাটক, গান ও ভাষণে বুঝা যাচ্ছে।তবে আশেপাশে ব্যবসা চলছে ভালোমত, বিভিন্ন খাবারের দোকান এবং উপড়ে পড়া মানুষের ভীড়। এটা ফ্রী প্রোগ্রাম তাই হয়তো ; যাদের টাকা আছে তারা হয়তো আর্মি স্টেডিয়ামে আতিফ আসলামের গান শুনতে গিয়েছে, যারা যেতে পারেনি তারা অন্য কাজে বের হয়ে জ্যামে ভোগান্তিতে পড়েছে।
৩/৪ টা বইয়ের স্টলে সব ধর্মীয় বই ছিলো, মোটামুটি ভিড় ছিলো। পরিচিত বই সব তাই সবাই নেড়ে চেড়ে দেখছে, ডিসকাউন্ট হিসাবের চেষ্টা করছে। আমার পরিচিত একজন, অল্প দামে একটা বই কিনলো " দৈনন্দিন জীবনের সব দোয়ার বই ' ঘুমাতে যাওয়ার দোয়া,ঘুম না আসলে আসার দোয়া, বাথরুমে যাবার দোয়া ; উনি খুব খুশি,বালিশের পাশে দোয়ার বই থাকবে ও তুর্কি সিরিজ দেখবে,ঈমান সমুন্নত থাকবে।
আমার পরিচিত কয়েকজন ছাত্রশিবিরে ছিলো, তার মধ্যে একজন অনেকবছর আগে হরতাল স্বার্থক করতে গিয়ে নিহত হয়ে শহীদ হয়ে গিয়েছিলো,এখন যারা আছে তাদের আচরণে অনেক পরিবর্তন এসেছে সরকার পতনের পর।মিষ্টিও খেয়েছি, দেখে মনে হয় বুক ভরে নিশ্বাস নেয়া যাচ্ছে এখন।আগে শিবিরে সাথী হবার জন্য কিশোরআলো নামের একটা ম্যাগাজিন দেয়া হতো, এখন ওরা নতুন কোনো পদ্ধতি অবলম্বন করে কিনা কে জানে ; বই স্টলে কিশোর আলোও দেখেছি আজ।অনেক প্রচলিত কথা চালু আছে যে, শিবিরের পোলাপানগুলো নাকি অনেক মেধাবী হয়, অনেক ফিল্টার করে ওরা দলের সাথী বানায়। তবে এটা ঠিক আমি পেছনের বেন্চের পোলাপানদের তেমন দেখেনি এই দলে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৩