সবসময় দেয়ালের অপর পার্শ্বের ঘাসকে অধিক সবুজ বলে মনে হয়। প্রতি পক্ষকে, নিজের বন্ধুকে, প্রতিবেশীকে, কলিগকে চারপার্শ্বের সব মানুষকে মনে হয় সে যেন আমার কাছ থেকে খুব ভাল অবস্থানে আছে। আসলে কী তাই? নিজেকে তাদের চেয়ে হীন মনে করে নিরবে নিভৃতে কাদতে দেখা যায়। প্রকৃতি চিত্র কিন্তু পুরোটাই ভিন্ন। আমি অন্যকে খুব ভালো মনে করি। আবার অন্যরাও আমাকে খুব ভালো অবস্থানে আছি বলে মনে করে। পৃথিবীটা এভাবেই চলছে। আনিসুজ্জামান। সাংবাদিক। দৈনিক ইত্তেফাকের রাজশাহী প্রধান প্রতিবেদক। এই পদকে ব্যুরো বলা হয়। আজকে সকালে ভাইয়ার সাথে দেখা করতে গেছিলাম। কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে .অমি কী হবো ভবিষ্যতে। জানালাম সাংবাদিক হওয়ার আমার প্রবল আকাঙ্খা। তিনি বলেন “খবরদার কখনো এ পেশয় আসবে না। আমি এখানে এসে নিরবে নিভৃতে কাঁদছি। আমার বন্ধুরা ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকার বেতনে চাকরী করছে। অনেক ভালো অবস্থানে আছে” টাকা দিয়েই সবকিছু বিবেচনা করা কী ঠিক? আমার কাছে মনে হচেছ সে খুব ভালো জীবন যাপন করছে।এটি ামার ধারণা। কি জন্য ধারণা ...কারণ সে এতো এতো টাকার বেতনে চাকরী করে। আমি এটাকে সমর্থন করিনা। তিনি আমাকে অন্যকিছূ হওয়ার পরামর্শ দিলেন। ভার্সিটি টিচার। বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরী । গর্জিয়াস জীবন যাপন। আমার একটাই ইচ্ছা সাংবাদিক হবো।
আজ বিকালে চারুকলা বিভাগে গেলাম। বড় ভাইেদর সাথে । মাজহারও সোহাগ, আমার বন্ধু শাওন, সোহাগ, আহমেদসহ আরো অনেকে। সোহাগ ভাই আমাদের কে চারুকলায় বৈশাখী মেলায় বসা দোকান থেকে খাওয়ালেন। খুব মজা হল। ঘুরে ঘুরে স্টল দেখলাম। সোহাগ ভাই খুব রশিক মানুষ। মেধাবীও। এআাইএস থেকে এমবিএ ও আইবিএ’র এমবিএ করছেন। খুব সুন্দর কথা বলেন। সমাজের নানা অসঙ্গতি উঠে আসে তার কথায়। প্রতিটি বিষয়ে তার রয়েছে মৌলিক জ্ঞান। তার কথা শুনতে ভালো লাগে। অনেক কিছু শেখাও যায়। মাজহার ভাই এআইএস থেকে ইতোমধ্যে এমবিএ শেষ করেছেন। তিনি আমাদেরকে খাওয়ার স্পন্সর করলেন। মেলা থেকে তিনি আমাকে ও শাওনকে দুটি বাশিঁ কিনে দিলেন। আমরা তা বাজালাম। চারুকলা থেকে হলে আসা পর্যন্ত আমরা বাশি বাজালাম। মনে হল ছোট বেলায় মেলায় গেলে যে একটা উৎসব ভাব আসতে। এই ভাব্টা তখন চলে এসেছিল।
সন্ধ্যায় জিয়া হলের সামনে সবাই চা খেলাম। পরে সজিব ভাইয়ের সাথে দেখা। তিনি এক ব্যাচ সিনিয়র। আমাদের মার্কেটিং বিভাগেই। জিয়া হলে থাকেন। তার সাথে আড্ডায় মেতে উঠলাম হলগেটের সেলুন দোকানে। নানা বিষয় নিয়ে কথা হল। আড্ডা আমার ভালো লাগে। আড্ডাকে আমি শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করি। অনেক না জানা কথা জানা যায়। মতামত শেয়ার করা যায়।
শাকির ইকরাম
১৫ এপ্রিল ২০১১
সময় ১১:৫৫
শের-ই-বাংলা হল

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



