সংবিধিবদ্ধ সর্তকীকরণ বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা দেশের উন্নয়নে, অগ্রগতিতে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে, অত্যন্ত ক্ষতিকর, ধ্বংসাত্মক। যে শিক্ষা ব্যবস্থা বিদ্যমান আছে, যে পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় তাতে পাসকৃত শিক্ষার্থীরা দেশের উন্নয়নে কোন অবদান রাখতে পারছে না। রাখবেই বা কি করে যেখানে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার কয়েকদিন আগে তোতা পাখির মতো পড়া মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় বমি করে দেয়। আর এখানে যাদের হাতের লেখা সুন্দর, হুবহু বইয়ের বিষয়গুলো লিখতে পারবে তারাই মেধাবী হিসেবে পরিগণিত । কিন্তু এভাবে শিক্ষার্থীরা দেশ গঠনে কোন অবদান রাখতে পারছে না। হতে পারছে না সৃজনশীল । পরীক্ষায় দেখাদেখি করলে বা ঘাড় ঘুড়ালে বা নকল পাওয়া গেলে শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেয়। অন্যদিকে বহির্বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার্থীরা বই দেখে দেখে পরীক্ষার খাতায় লিখা হয়। অদ্ভুত আমাদের দেশের পরীক্ষা পদ্ধতি!!!আমাদের এই শিক্ষা ব্যবস্থা না করছে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে না পারছে দক্ষ জনশক্তি গড়তে। আমাদের দেশের তথাকথিত মেধাবীরা বাইরের দেশ থেকে পিএইচডি ডিগ্রী নিয়ে আসে। এই পর্যন্তই শেষ। এই ডিগ্রী অর্জন তো যে দেশ থেকে গ্রহণ করা হয় ঐদেশেরই লাভ হয়। সেদেশের সমস্যা সর্ম্পকিত বিষয় নিয়ে গবেষণা করা হয়। আমাদের দেশের তাতে কি আসে। বিদেশের দেশগুলোতে কারিগরি শিক্ষার হার ৭০ সেখানে আমাদের এই হার মাত্র ১ ভাগ। দেশের উন্নয়ন ঘটবে কিভাবে। ৪০ বছর আমাদের দেশের বয়স। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমরা একটি শিক্ষানীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে পারলাম না। অথচ আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছিলাম নিজস্ব শিক্ষানীতি প্রনয়ন করে দক্ষ জনশক্তি তৈরী করে একটি উন্নত , সভ্য জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাড়ানো।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



