১.গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই, থানা পুলিশ ও সৈয়দ আমীর আলী হলের আবাসিক ছাত্রদের সাথে মোবাইলে ফোনে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার সংবাদটি তৈরী করছিলাম। অফিস থেকে ফোন দিয়ে ২০ মিনিটের মধ্য এই সংবাদটি তৈরী করে পাঠাতে বলা হয়। আরেকটি সংবাদ তৈরী করছিলাম পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় তালেবান কর্তৃক কিশোরী মালালা ইউজুফ জাইকে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে আমাদের বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধন নিয়ে । সংবাদ তৈরী করার সময় প্রচন্ডো মানসিক চাপ সহ্য করতে হয়। যে মানববন্ধনটি নিয়ে সংবাদ তৈরী করি ওটাতে আমি নিজে আজ সকালে অংশগ্রহণ করি। ক্লাস শেষে আমাদের ১৩তম ব্যাচসহ অন্যান্য ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মালালার উপর হামলার ঘটনায় মানববন্ধনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ করি। সংবাদ দুটি তৈরীতে যখন ব্যস্ত তখন সময় ১৬ অক্টো, মঙ্গলবার, বেলা সাড়ে ১২ টা। এদিকে আবার আমার বন্ধু রুবেল পারভেজ আমাকে বার বার ফোন দিচ্ছে বেলা দু’টার ট্রেণ ধরার জন্য। আজকে কুষ্টিয়ার কুমারখালিতে লালন সাইঁজিতে যাওয়ার কথা। ক্যাম্পাসের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে প্রকাশিত ষান্মাষিক পত্রিকা ‘ম্যাজিক লণ্ঠন’ পত্রিকার উদ্যোগে লালন সাঁইজির ১২২ তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ৫দিন ব্যাপী লালন মেলায় যাওয়ার কথা। আমি ও তাদের সাথে যাব এ কথা দিয়েছিলাম। একদিকে সংবাদ তৈরীতে ব্যস্ত আরেকদিকে ২ টার ট্রেন ধরা চাপে আছি। রুবেল ফোন দিয়ে বলছে আমরা সবাই কাজলাতে উপস্থিত রেইল স্টেশনে যাওয়ার জন্য, তুই আসছিস না কেন? আমি ব্যস্ত আছি বলে ওদেরকে রেল স্টেশনে চলে যেতে বলি আর বলে দিই রেল স্টেশনে ট্রেন ছাড়ার ৫ মিনিট আগে গিয়ে আমি পৌছব। যথারীতি সংবাদদুটি অফিসে পাঠিয়ে দিয়ে এটিএম বুথ থেকে টাকা নিয়ে রওয়ানা দিই রেল স্টেশনের উদ্দেশ্যে । সময় তখন দুপুর ১টা বেজে ৩৩ মিনিট। খাওয়ার সময় তো হয়ে উঠল না। স্টেশনে গিয়ে পৌছি ১টা ৫৩ মিনিটে। আসাদ ভাই আর রুবেল ৩ নং প্লাটফরমে দাড়িয়ে আছে। আমরা যাচ্ছি মোট ৮জন। সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক কাজী মামুন হায়দার রানা, আসাদুর রহমান, জিয়াউল হক সরকার, ইমরান হোসেন মিলন, গোলাম কিবরিয়া জুয়েল, মাজিদ মিঠু, রুবেল পারভেজ ও আমি। যথাসময়ে ট্রেন ছাড়ল। এক অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছে। ক্যাম্পাসে খুব ব্যস্ত সময় কাটাই। একটা একঘুয়েমি ভাব চলে আসছিল। ট্রেন চলছে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় । সেই ট্রেনে চলছি আমরা ৮জন। ট্রেনের সিটে বসে আড্ডা যে কত মজার তা বলে বুঝা যাবে না। এদিকে পেটের ভেতর ক্ষুধা নিয়ে বিদ্রোহ শুরু করে দিয়েছে। বিদ্রোহ শাস্ত করতে রুটি খেয়ে কিছুটা শান্ত পরিস্থিতে নিয়ে আাসি। রুবেল আমার খুব কাছের বন্ধু। ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে ফার্স্ট ইয়ার থেকেই ওর সাথে আমার পরিচয় হয়। ও খুব বন্ধবাৎসল্য। আড্ডার এক ফাকে আমি আর ও ট্রেনের দরজায় গিয়ে বসি। আর দেখছি প্রাকৃতিক দৃশ্য। দেখছি গাছ-গাছালি, রেলের পাশ দিয়ে সাইকেল, হেটে চলছে মানুষ, কিছু মানুষ কাজে ব্যস্ত, দূরে দেখা যায় নর্থ বেঙ্গল পেপার মিল, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, লালন শাহ সেতু, বিশাল বিশাল কলা বাগান। গ্রামের ওপর দিয়ে সিংহের মতো গর্জন করে যখন ট্রেন চলে যায় তখন গ্রামের নানা দৃশ্য দেখতে আমার খুব ভাল লাগে। সাড়ে তিন ঘন্টা পর আমরা কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়া, কুমারখালি’র লালন একাডেমীতে পৌছলাম বেলা সাড়ে পাঁচটায়।
২. ছেউড়িয়ার কুমারখালি’র লালন একাডেমির মাঠে লোকে লোকারণ্যে। বিশাল এক স্টেজ। আমরা প্রথমেই লালন একাডমির ভবনটি ঘুরে ঘুরে দেখি। একাডেমির সর্বত্র লালন ভক্তদের পদচারণায় মুখরিত। ভবনের আখড়ায় বাউল সাধকরা বসে আছেন। লালনের মাজার, লাইব্রেরী, মিউজিয়াম, কনফারেন্স কক্ষ সবই দেখলাম। একাডেমির গেট ঘেসে বেশ কয়েকটি স্টল রয়েছে যেখানে লালনের মূর্তি, হাতের চুরি, মালাসহ নানা নিত্য ব্যবহার্য পণ্য রয়েছে। সন্ধ্যা ৬টায় লালন ভক্ত বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, কবি, প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার নির্মিত আখড়াবাড়িতে বসে দৈন্য গান। ফরহাদ মজহারকে আমি চিনি একজন তুখোড় কলামিস্ট হিসেবে । কলেজসময় থেকে আমি নিয়মিত পত্রিকায় তার প্রকাশিত কলাম পড়ি। তার চিন্তা চেতনা-জীবন দর্শন, মূল্যবোধ আমি পছন্দ করি। উনি যে লালন ভক্ত, লালনের জীবনদর্শনে বিশ্বাসী এটা আমার জানা ছিল না। এখানে এসে তাকে সরাসরি দেখতে পারলাম। আমরা ওখানে গিয়ে ফরহাদ মজহারের উপাস্থপনায় সাধকদের অনেক গান শুনি। মোকাব্বির, কাদির, কুদ্দুস এবং ফরহাদ মজহার নিজে গান পরিবেশন করেন। গান চলে সন্ধ্যা রাত ৮ পর্যন্ত। এদিকে লালন মেলার মূল মঞ্চে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা থেকে উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান চলছিল। ওখানে আলোচক ও উদ্ভোক ছিলেন আওয়ামীলিগের নেতা মাহবুব আলম হানিফ। আলোচনা শেষে শুরু হয় গান পরিবেশনা। এখানের গান পরিবেশনা আমার অতটা ভাল লাগেনি। তাঁর মেয়ে, কোন বাউল সাধকের মেয়ের বান্ধবী, খালার মেয়ে, চাচার মেয়ে, কতসব মেয়ে সাজুগোছু করে গান পরিবেশন করেন। এদের মধ্যে কোন বাউল বা লালনের আদর্শ ফুটে ওঠেনি। তারা গান শুনাতেই এসেছেন। না গলা ভাল, না আছে গানে কোন ম্যাসেজ, যে যেভাবে পারেন সেভাবেই গেয়েছেন। কোন সাধককেই গান গাইতে দেখিনাই। বুঝতে বাকি রইল না এখানেও রাজনৈতিক হানা পড়েছে। শেষ রাতে কয়েকজন গায়ককে গান গাইতে শুনা যায়। তবে প্রকৃত লালন ভক্ত বাউলকে গাইতে দেখিনি। আমরা বেশ কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করি। ক্লান্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু থাকার কোন ব্যবস্থা নাই। পরে সবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে দুটি পাটি ক্রয়করা হয়। দুই পাটিতে আটজন গাদাগাদি করে শুয়ে পরি। খুব ক্লান্ত শরীর নিয়ে পাটিতে শুয়াতে কিছুটা ভাল অনুভব করলাম। তারপর শুরু হল পাটিতে শুয়ে রাতের আড্ডা। উপরে খোলা আকাশ। তার মাঝে দেখা যাচ্ছে তারা। আমি আর আসাদ ভাই পাশাপাশি শুয়ে আছি। আসাদ ভাইকে বললাম ভাই- বলেনতো আকাশে কয়টি তারা আছে। উনি আমাকে বললেন –আমি গুনে দেখিছি ওখানে ৭ লক্ষ ২২হাজার ২৪২ টি তারা রয়েছে। বিশ্বাস না হলে গুনে দেখ। আমি বললাম না ভাই..তারা আছে ৬ লক্ষ ২২হাজার। বিশ্বাস না হলে আপনি গুণে দেখতে পারেন। দু’জনে চাপা মারলাম। গাদাগাদি করে শুয়া যাচ্ছিল না। খুব কষ্ট হচ্ছিল। এরই মধ্যে আমরা আসার আগে ওইদিন সকালে বিভাগ আরো চারজন এসে লালন মেলায় আসে। উনারা আমাদের সাথে এসে যোগ দেন। মোট হল ১২ জন। দুই পাটিতে শুতে হল ১২জন কে। বালিশ তো নাই । কারো পেটের উপর, কারো পায়ের চিত, কাত, বাকা হয়ে, কুজো হয়ে শুয়েছি ৮ জন। বাকি চারজন ঘুড়তে বেরিয়েছে। নিয়ম করা হল প্রতি ২ ঘন্টা পর চারজন শুবে । যারা ঘুমিয়েছিল তারা আবার ঘুরতে বেরোবে। অর্থাৎ যারা ঘুমায়নি তাদের জন্য থাকার জায়গা করে দেয়া।
৩. আমি আর রুবেল একা একা ঘুড়তে থাকি। অসংখ্য লোকের মাঝে বেশকয়েকজন হিজড়া আনাগোনা আমাদের চোখে পড়ল। রুবেল আমাকে বলল -দোস্ত চল, আমরা হিজড়াদের সাথে একটা সাক্ষাৎকার নিই। আমি বললাম মন্দ না। চল কাজে নেমে পড়ি। ছোটবেলা থেকে হিজড়াদের দেখেই আসছি। কেন তারা হিজড়া, তারা আমাদের সোসাইটিতে কি ধরনের ভোগান্তিতে পড়েন, কেন পড়েন। এসব জানার আগ্রহ নিয়েই রুবেলের কথায় সায় দিলাম। কথা হয় মুন্নি নামের এক হিজড়া আপুর সাথে। তিনিসহ আরো চারজন ঢাকার বঙ্গ বাজার থেকে এসেছেন। এতদুর থেকে কেন লালন মেলায় আসছেন জিজ্ঞেস করতেই বলেন-লালনকে ভাল লাগে, তার গান ভাল লাগে, লালনের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালবাসা এই জন্যই এতদুর চলে আসা। তার সাথে থাকা অন্যান্যদের নাম হল-রিয়া, মিলনীও নুরী। মুন্নি আপু বলেন-আমরা অসস্বিবোধ করি যখন রাস্তা দিয়ে হেটে যাই তখন নানাজন আমাদেরকে টিটকারী করে, বাজারে গেলে মানুষ জড়ো হয়ে দেখে। আমরা তো চিড়িয়াখানার পশু নই। আমরাওতো মানুষ। কথাগুলো তিনি খুব আক্ষেপের সুরে বললেন।
আরো কথা হয় আব্দুস সালাম সাজু নামের আরেক হিজড়ার সাথে। তিনি একটি সংস্থায় কাজ করেন। সংস্থাটির নাম-বীঢ়বহফরহম ঐওঠ-অওউঝ ঢ়ৎবাবহঃরহম রহ ইধহমষধফবংয রিঃয সধষব যধারহম ংবী রিঃয সধষব ( গঝগ) ্ ঐরুৎধ । তিনি কুষ্টিয়া জেলা সরকারী স্কুল থেকে এস.এস.সি পাশ করেন। এস.এস.সির পর তার পরিবার থেকে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। যদিও তিনি নিজেই ছোটকাল থেকেই বুঝতেন তার লিঙ্গগত সমস্যা রয়েছেন। তারপর তিনি এইচএসসি পাশ করেন । এবং ঐ সংস্থায় কাজ নেন। তার সাথে কথা বলে অনেক কিছু জানতে পারলাম। প্রথমেই আমরা জানলাম -মেলায় প্রায় সাড়ে ৩০০শ হিজড়া দেশের নানা প্রান্ত থেকে এসেছেন। এত সংখ্যক হিজড়া মেলায় আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি আমাদের বলেন-আমাদের চিন্তা-আদর্শ, আরা লালন এর চিন্তাকে এক মনে করি। আমরা আরো মনে করি। লালনের যে আধ্মাতিকতা ছিল সেটি আমাদেরও রয়েছে। লালন যেমন মানুষকে ভালবাসেন, সবাইকে এক ধর্মের মানুষ মনে করে দেখেন। আমরাও ঠিক তাই মনে করি। আমরা শুধু লালনের মেলাতেই সবাই একত্রিত হই। দেশের নানা প্রান্ত থেকে হিজড়ারা এখানে আসলে আমরা একে অপরকে জানতে ও চিনতে পারি সহজেই। আমাদের নতুন সম্পর্ক তৈরী হয়। আমরা এখানে সবাই সবার দু:খ-সু:খ শেয়ার করি। হিজড়াদের নিজস্ব গঠন নিয়ে অনেক কিছু জানা হলো। আমরা সাধারণত জানি লিঙ্গগত কারণে হিজড়া দু ধরনের। অনেক মেয়ে হিজড়া হয়, আবার ছেলে থেকে হিজড়া হয়। ধারনাটি ভুল। ছেলে থেকে হিজড়া হয়। তবে মেয়েদের মধ্য থেকে ১ শতাংশ হিজড়া হওয়ার ঘটনা ঘটে। আমরা যাদেরকে দেখি মেয়েলী ভাব নিয়ে চলাফেরা করে। তাদের সবই ছেলে। অথচ দেখতে মনে হয় মেয়ে । আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ছাত্র ও একইসাথে রির্পোটার এই পরিচয় পাওয়ার অত্যন্ত খোলাখুলিভাবে কথা বলতে তিনি স্বাচ্ছন্দবোধ করলেন। তিনি বলেন-যখন একটি ছেলে বুঝতে পারে তার লিঙ্গগত সমস্যা রয়েছে তখন ছোট কাল থেকেই তার নিজের মধ্যে একটি মেয়েলী ভাব নিয়ে চলে। শাড়ি, চুরি, কাপর, সেলোয়ার, কামিজ, পরিধান করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। মেয়েলী ঢংয়ে কথা বলা, চলা, মেয়েলী আচার আচরণ করতে তারা অভ্যস্ত হতে চায়। তারা তাদের বুককে উন্নত করে, ইনজেকসন, মায়া বড়ি খেয়ে। একসময় নিজেদেরকে পুরোপুরি মেয়ে ভাবতে থাকে। আবার অনেকে অপারেশন করে লিঙ্গ পরিবর্তন করে।
৪. পরের দিন সকাল ৬ টায় লালনের আখড়া বাড়িতে যাই গোষ্ঠ গান শুনতে। গোষ্ঠ গান হল লালন সূর্য ওঠার আগে যে প্রার্থণামূলক গান গাইতেন। ওখানে ফরহাদ মজহার নিজেসহ আরো অনেকে গান পরিবেশন করলেন। তবে ফরহাদ মজহারের গান পরিবেশন আর সেই গানের প্রেক্ষাপট বর্ণনায় আমিসহ আমাদের সবাই অভিভূত। সেই সাথে তিনি বর্তমানে বাউল সাধকদের প্রকৃতি নিয়ে বেশ কিছু কথা বললেন। সাধক মানে হলে যারা মানুষের কল্যাণে কাজ করেন। এখন অনেকে একহাতে মদ আরেক হাতে একতারা নিয়ে লালনের বেশ ধরেন , আবার অনেকে একহাতে একতারা, আরেক হাতে গাঁজা সেবন করেন তিনি কড়া সমালোচনা করেন। ভাব তৈরীর জন্য নেশা করতে হয় না। নিজের ভাবার নেশাই তার নিজের মধ্যে ভাব তৈরী করে দেয়। তিনি লালনের মূল ম্যাসেজ বুঝাতে ইসলামের বেশ কিছু উদাহরণ টেনে সুন্দর করে উপাস্থপন করেছেন। এক পর্যায়ে তিনি বলেন-আল্লাহ মানুষ তৈরী করেননি, তৈরী করেছেন প্রতিনিধি। যাদের মাঝে আল্লাহর গুণাবলী থাকবে। প্রতিনিধি বলতে তাই বুঝায়। মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরী করতে হবে, তাদের সেবা করতে হবে, মানুষ সেবাই বড় সেবা। আমাদের হাত ও মুখ দ্বারা যেন কোন মানুষ কষ্টের শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তবেই মানুষের সেবা নিশ্চিত হবে।
শাকির ইকরাম
১৯ অক্টোবর ১২
সময়: ১২:০০
শের-ই-বাংলা হল

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



