আমাদের দেশের একটা বড় সমস্যা হলো যখনই কোন ধর্ষনের ঘটনা ঘটে তখন সবাই ওই ধর্ষকের রাজনৈতিক পরিচয় খুঁজে। কেউ আওয়ামিলীগ, কেউ বিএনপি বলে টানাটানি করে। এটা একটা নিকৃষ্ট সমাজ ব্যবস্থার প্রতিফলন। ধর্ষকের রাজনৈতিক পরিচয় কেন খুঁজতে হবে? একজন ধর্ষককে কেন ধর্ষক হিসেবে বিবেচনা করা হবে না? রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে তার অপরাধকে কি হালকা অথবা ভারী করার কোন সুযোগ থাকে?
ধরেন একজন ধর্ষক আওয়ামিলীগ অথবা বিএনপি করে। তাহলে সে সরকারদলীয় হলে তার কি কম সাজা হওয়ার সুযোগ আছে অথবা বিরোধীদলীয় হওয়ায় বেশি সাজা হওয়ার কোন সুযোগ আছে? এই পরিচয় নিয়ে টানাটানি করাটাও একটা রাজনীতি। অর্থাৎ এদেশের কালচারে ধর্ষণের মত একটা নিকৃষ্ট ঘটনা নিয়েও রাজনীতি করা হয়, সবাই সুযোগ খুঁজে!
অপরাধীকে অপরাধের চোখে দেখার সংস্কৃতি হলো সুস্থ সমাজের প্রতিচ্ছবি। খুনী মানে স্রেফ একজন খুনী, চাঁদাবাজ মানে একজন চাঁদাবাজ, ধর্ষক মানে একজন ধর্ষক এভাবে চিন্তা করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। তাহলে ভুক্তভোগী ন্যায়বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নইলে অপরাধ নিয়ে রাজনীতি করার যে কালচার তা চলতে থাকবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


