ঢাকা মেডিকেল কলেজের শহীদ মিনার সংলগ্ন গেইটের সামনেই পিঠা বিক্রি করেন চাঁপাই নবাবগন্জ থেকে আসা আয়নাল।আমি,আমার রুমমেট এবং এক বন্ধু মিলে ঢাকা আর্ন্তজাতিক বই মেলা চক্কর দিয়ে প্রচন্ড ক্ষুধার্ত ছিলাম।আশে পাশে খাবারের ভাল দোকান না পেয়ে শীতের পিঠা খেতে আয়নাল মিয়া দোকানে বসে গেলাম আমরা তিনজন।আমার রুমমেট মুশফিক প্রথমে পিঠা খেতে চাইলেন না।যখন দেখলেন আমি আর আমার বন্ধু একাধারে পিঠা খেয়েই যাচ্ছি তখন তিনি পরপর দুটি পিঠা খেলাম।আমি খেলাম পাঁচটা,আমার বন্ধু চারটা আর মুশফিক দুইটা।চিতই পিঠার সাথে ছিল ধনিয়া ভর্তা,শুটকীর ভর্তা,সরিষার ভর্তা।অসাধারণ স্বাদ বলে বুঝানো যাবে না।যারা বই মেলায় যাবেন তারা আয়নাল খানের পিঠার স্বাদ নিতে ভুলবেন না।আজকে শুধু ওনার এখানে চিতই পিঠা ছিল।আয়নাল বললেন,আমার এখানে শীতের সবধরনের পিঠা পাবেন,আজকে শুধু চিতই পিঠা বানিয়েছি।
পঁচিশ বৎসর ধরে এখানে পিঠা বিক্রি করছে সে।এটা তার বাবার পেশা সে এবং তার মা এটা আঁকড়ে ধরে আছে।আয়নাল আরও বলল সে পিঠা বিক্রি করতে করতে ক্লান্ত।সে এখন অন্য কোন পেশা বেছে নিতে চায়।আয়নাল মুক্তিযুদ্ধার সন্তান।সে আমাকে মুক্তিযুদ্ধার সন্তানে একটা কার্ড দেখাল।সে বলল,খুব শীঘ্রই সে একটা চাকুরী পেতে পারে।এক ঘেঁয়েমীতা দূর করার জন্য হয়ত সে চাকুরী খুজঁচ্ছে।জীবনের নতুন একটা স্বাদ গ্রহণ করতে চায় সে।আয়নালের জন্য সুভকামনা থাকল।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




