কিছু স্বপ্ন মৈথুনে সাগরের সাথে নিত্য সহবাস
ভেতরে ভেতরে জেগে ওঠা চর আনমনে ছড়ায় দিপ্তী
ছুঁয়েও না ছুয়ে যাবার সরল গণিত
একদা পুরুষেরই ছিল যার একচ্ছত্র অধিকার
এসবেক্লান্ত ছিলাম আমি
প্রাণহীন মন্থন যে তীব্র ক্লান্তিকর
জানান দিচ্ছিল বুকের গহীনে
অধরা অন্যমনষ্কতায় ডুব দিয়ে নিবের্াধ শান্ত ছিলাম
অথচ স্পষ্ট ছিল যে ঝড়ের কেন্দ্র সবসময়ই স্থির
অনেকটা নিয়তর মত, নিয়তিকে ছাড়িয়ে
কারওয়ান বাজারে লাশ হয়ে যাবার মত প্রাজ্ঞ
আর উন্নয়ন পদক্ষেপের শাণিত হাসির চেয়েও তীব্র
আমি আশাহত ছিলাম
পুনরাবৃত্ত বীজগণিতে ভরে উঠছিল জরায়ু
আর ধমনীতে জানান দিচ্ছিল
ক্লেদাক্ত সহমর্মিতা, ভালো ছাত্রের গোছানো উত্তর
ধরিত্রী কখনোই সমবেদনার নয়
বেঁচে থাকা জীবনের মতই অর্থহীন
অধিকাংশই শুয়ে আছে মরা লাশ হয়ে
অনেক ভুলে গেছে হোঁচট খাবার দিন
তবুও কি অভিনব অনির্ণিত সংঘর্ষে সৃষ্টি হয় নতুন সন্তান
আমার জরায়ু ভেদ করে, সুঠাম কাঠামোকে গুড়িয়ে
সম, বিষম, ত্রৈসম অনন্ত নিরবিচ্ছিন্ন আনন্দে
মেঘ বালিকার ডানায় ভেসে, মেঘেদের ভিজে ওঠার ছন্দে
এর কোন পিতা নেই, তাই অভিভাবকও সংকীর্ণ উপাখ্যান
এর কোন স্থান নেই, তাই সে সবগুলো অবস্থিতির গান
এখনো জানিনা আমি হয়ত নি:শেষিত হব আর দুটো নি:শ্বাসের পরেই
হয়ত আমি মুছে যাব তীব্র বিস্ফোরণের তোড়ে
হয়ত এখনই বিক্ষিপ্ত হবে মর্গের শরীর গণনা
কিংবা এখনই লুপ্ত হবে প্রসব চেতনা
তবে,আমি চাইনা আমার লাশের সৎকার
প্রিয় পরিচিত বেদনা উন্মুখ চোখ
আমি চাই না তরল জ্যোতি
আমি শুধু পেতে চাই অসমাধিত গণিতের সুখ

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



