হাতঘড়ির ডায়ালে ভেসে ওঠে অগণিত মৃতের পরিসংখ্যান
আর যান্ত্রিক প্রাচ্যে উঁকি দিয়ে যায় ক্লান্ত সূর্য্যের নি:শেষিত বয়ান
অথচ নাম না জানা নদীতে এখনো ভেসে যায় রক্তাভ কিমানো
বুনটে বুনটে নিপূণ বিষাদ আর স্মৃতির মুক্তো ছড়ানো
জানিনা কবে, দূর ওসাকার গ্রামে প্রথম জেগে উঠেছিল তার দু্যতি
একটা ধারালো বনফুল, পাহাড়ের গায়ে জমাট বাঁধা কষ্ট
আর ঝর্ণার পানিতে জমে ওঠা শোকের অপূরণীয় নগ্ন ক্ষতি
শাঙরিলার নীল চাঁদ উপত্যকা তখন ভেসে যাচ্ছিল বেগুণী পূর্ণিমায়
আর প্রেমিকার মৃত মুখ বুকে চেপে বনফুল কাঁদছিল নিষ্ঠুর শান্তির আশায়
তখনি জেগে উঠেছিলে তুমি
ছাইরংআ শোকের ভেতর থেকে
একটা সুপ্ত আগ্নেয়গিরি
একটা অনিবার্য প্রতিশোধ
একটা খাপখোলা সামুরাই
এরপর শতকে শতকে জেগে উঠেছ তুমি
নাফ নদী ভেসে গেছে লাখেলাখ মেরুদন্ডহীনের স্রোতে
অশ্রুবিন্দুগুলো একত্র হয়ে জ্বলে উঠেছে অগি্নশিখা
আর বুকের গহীন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েছে শাণিত সামুরাই
এখন একবিংশের প্রেয়সী বুকে চেপে ভুলিয়ে দিতে চায় সব শোক
নিরন্তর বয়ে চলা অগি্নগিরির নিরন্তর উদ্গিরণের ক্ষত
আমি নিশ্চিত ভুলে যাব প্রেয়সী
ধুয়ে মুছে ফেলব কিমানোর জ্বলজ্বলে রক্তিম আঁশ
শুধু একবার কথা দাও
কোন নদীতেই আমি আর দেখব না তোমার মরে যাওয়া স্বপ্নের লাশ
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০০৬ দুপুর ২:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



