somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঈদ বাজার সতর্কতা: আপনারা প্রস্তুত তো?

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মা বোনকে নিয়ে শপিং এ গিয়েছি। একদম ফেরার সময় শেষ দোকানটায় ঢোকা। এমনসময় খেয়াল করলাম সস্তা মেকাপ দিয়ে চারজন নারী মেয়েদের কেনাকাটার অংশে ঢুকেছে। এবং তারা একভাবে আমাকে ঠেলে দিচ্ছেন। আমি স্বভাবতই মা'কে মাঝখানে রেখে সরে আসছি। প্রথমে ভেবেছিলাম গার্মেন্টস কর্মী, ঈদের সাজুগুজু করে শপিং এ এসেছেন এবং মধ্যবিত্ত পরিবেশে অস্বস্তি বোধ করছেন, আর এজন্যই এত কৌমভাব। সবাই তাদের কিভাবে গ্রহণ করছেন (বা নাক সিঁটকাচ্ছেন) সেটা নিয়ে বেশি আত্মসচেতন এবং অস্বস্তিতে আছেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণের সাথে সাথে খেয়াল করলাম যে তাদের মধ্যে একরকমের সিনক্রোনাইজেশন যেন আছে। এবং ক্রমাগতভাবে তারা এগ্রেসীভ আচরণ করছেন। ঠেলছেন, সচেতন আব্রুর রিফ্লেকশনে এক ধরণের ডোমিনেন্ট আবহ তৈরি করছেন ( অর্থাৎ কোন পুরুষের/নারী/অন্য মানুষের গায়ে গা লাগার বিষয়টিতে যেভাবে ভদ্র মানুষ একটু কুঞ্চিত হন সেরকম, নারী/পুরুষ নির্বেশেষে)। একসময় খেয়াল করলাম দরজা দিয়ে বের হবার সময় তারা আমার মা'কে প্রায় কোনঠাসা করে ফেলেছেন। পিছনে তিনজন এবং সামনে একজন। তারা একটা কৃত্রিম দুলুনিও তৈরি করেছেন। যাতে সাধারণভাবে মনে হয় এটা আসলে ভিড়ের ধাক্কা আদতে যা নয়। (যেমন সতর্ক মেয়েরা/ছেলেরা মাত্রই জানতে পারেন কোন স্পর্শটি ইনটেনশনাল আর কোনটি নয়)। মজার বিষয় হল আমার বোনও সেটা খুব ভালোভাবে লক্ষ করেছেন। তিনি আসলে সামনে থেকেই সেটা খেয়াল করছিলেন। দরজা দিয়ে ঠেলে বের হবার সাথে সাথে আমি ঝট করে সামনে যেয়ে মাকে বললাম ব্যাগ চেক করতো। তিনি ততক্ষণে কিছুটা হৃতবিহ্বল এবং দেখা গেল তার হ্যান্ড ব্যাগের ভেতর থেকে লম্বা পার্টসের অর্ধেকটা প্রায় বেরিয়ে এসেছে। আমি বেশ জোর গলায় যখন বললাম, "মা তোমার ব্যাগট্যাগ ঠিকমত দেখোতো" তখনি দেখি চারজন নারীর সেই দলটি আর নেই। আমার বোনকে ঘটনাটা জানাতেই তিনি বললেন, "মোক্ষম মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিছু করলেই হাতেনাতে ধরতাম।" ইতোমধ্যে তারা বেশ কয়েকটি লিপিষ্টিক ও ছোটখাটো জিনিসও যে দেহের উপরের অংশে লুকিয়ে ফেলেছে, সেটাও জানালেন। ফেরত আসার ঠিক আগ মুহূর্তে দেখলাম দলটি আবার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং সতর্ক হয়ে গেছে আমাদের তৎপরতায়। মেয়েদের কোন দলকে ধরতে হলে ছেলেরা প্রস্তুত থাকুন, সাথের মেয়েদের সাহায্য নিন, সঠিক কৌশল অবলম্বন করুন তা না হলে আপনারা একই সাথে মলাস্টার হবার ট্রাপে পড়তে পারেন। ছেলেদের কোন দল হলে মেয়েরা পরিচিত ছেলেদের জানান, কোন সিন তৈরি হবার আগেই নিজে সিন তৈরি করুন। সঙ্গে সঙ্গে কাউন্টার স্ট্র্যাটেজী নিন, পরিচিতদের ফোন করুন।

অপরাধী গোষ্ঠী লিঙ্গীয়, শক্তিমত্তা, গোষ্ঠীবদ্ধতা, নিষ্ঠুরতার সকল কৌশল নিয়ে ঈদের বাজারে নেমেছেন, আপনারা প্রস্তুত তো?

ব্লগার কাল্পনিক ভালোবাসা আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সামনে এনেছেন, আমি হুবুহু তুলে দিলাম :

১। আপনার অবর্তমানে কেউই যেন বাসায় না ঢুকতে পারে সেই ব্যাপারে বাসার দারোয়ান এবং এপার্টমেন্টের ইনচার্জকে বলে যাবেন। কারন সম্প্রতি মহানগর পুলিশ এমন বেশ কিছু ডাকাতির অভিযোগ পেয়েছে যেখানে কোন ব্যক্তি বাড়ি চলে যাওয়ার পর, একজন খুব স্মার্ট ব্যাক্তি তার বাসার দারোয়ানকে গিয়ে বলেন, ঐ বাসায় তার আত্মীয় থাকেন। তাঁরা ভূলে কিছু জিনিস ফেলে গিয়েছেন। তাকে চাবি দিয়েছেন, তিনি যেন সেই সব জিনিস নিয়ে চলে যান। এই ক্ষেত্রে ফোনও দেয়া হয়। কিন্তু সেই ফোনের আওয়াজ অনেক কম শুনা যায়। ফলে ভয়েস আইডেন্টিটি ঠিক ভাবে হয় না।

তারপর ঐ ব্যক্তি বাসায় ঢুকে মূল্যবান গহনা ও অন্যন্য জিনিসপত্র নিয়ে যায়।

২। মার্কেটে যখন কোন শপিং ব্যাগ কোন দোকানে গচ্ছিত রাখবেন, তা ফেরত নেয়ার সময় ভালো ভাবে দেখে নিবেন। কারন সেখানে প্রতারনার মাধ্যমে ব্যাগের ভিতরে অন্য জিনিস গছিয়ে দেয়া হয়।

৩। নানাবিধ প্রতারনা আছে, সেই সকল কথা বলতে গেলে মনে হবে আমরা বুঝি জাতি হিসেবে প্রতারনা প্রবন জাতি। তবে নিজে যদি সচেতন না থাকি তাহলে কিছুই হবে না। তাই নিজে সচেতন হন। এটাই পারে আমাদেরকে এই ধরনের অনাকাংখিত ঘটনা থেকে রক্ষা করতে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
৬৬টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×