somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিজেকে নিয়ে, নিজের বাইরে (পর্ব ১: ঢাকা-সাফারী পার্ক)

২২ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শুরুটা যেভাবে
প্রথম কথা হল, ইন্টারনেট থেকে দূরে থাকতে পেরেছিলাম পুরো একটা দিন, মানে চব্বিশ ঘন্টারও বেশি। আর পরের কথাগুলো হল: গতকাল ভোর
সাড়ে পাঁচটায় উঠে সিদ্ধান্ত নিলাম এবার বেরুতে হবে, যেতে হবে এই শহর থেকে দূরে। পঙ্খীরাজ তৈরি ছিল। তাই ভোর সাড়ে ছ'টায় ওডোমিটারে ট্রিপ-এ; শূণ্য করে, কাঁধে ব্যাগ এবং ক্যামেরা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। ভোরের সূর্যের সাথে সাথে জেগে উঠছিল আশুলিয়া, গায়ে হিমহিম বাতাস তখনো। প্রতিটি কিলোমিটার হারিয়ে যাচ্ছিল নিমিষেই, আরপিএম এর উপর জোর না দিলেও সত্তুরের নীচে বাইককে রাখাই মুশকিল হচ্ছিল।

আশুলিয়া মোড় থেকে ডানে টার্ন নিয়ে সোজা যেতে না যেতেই কেমন যেন দুম করে পৌছে গেলাম বিশ্ব ইজতেমার ব্রীজের কাছে, ব্রীজ পার করে বা দিক চোখে পড়ল বিশাল এক প্রাসাদ, ছাদে হেলিকপ্টার নামার ব্যবস্থা, পুরো এলাহী কারবার। (এটা নিয়ে অনুসন্ধানের আগ্রহ রইল)। সেই প্রাসাদকে বামে ফেলে সোজা নাক বরাবর ছুটতেই দেখি এসে পড়েছি ঢাকা-গাজীপুর সড়কে। পিছনের এক লরিকে ট্রাফিক পুলিশ থামাতে বললে, লরির চালক থামি থামি করে সেই যে টান দিল, রাগে ক্রোধে ট্রাফিক পুলিশ তার ছড়িটা নিয়ে সমস্ত লরির উপর ঝাপিয়ে পড়ল। যদিও লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ছড়িটা ভেঙ্গেই গেল। রিয়ার ভিউ মিররে তখনো ট্রাফিক পুলিশের আক্রোশ উজ্জ্বল সূর্যের মতই স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল।

শুরুতো হল, এবার কোনদিক?

টঙ্গী এলাকা পেরিয়ে আমি ছুটে চললাম গাজীপুরের দিকে। ডান দিকে উদীয়মান সূর্য্য আর রাস্তা জুড়ে ছোটখাট জ্যামের আভাস। রিকশা এবং মানুষ হুটহাট করে সামনে এসে পড়ছে। আর আমি নিজেকে বারবার বলছি, “শরৎ, এই দেশে দক্ষ চালক হল সেই ব্যক্তি, যে অন্যান্যদের কাছ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে। তার নিজের বোকা হবার তো কোন সুযোগই নেই, বরং অন্যান্য নির্বোধদের জন্য এক্সট্রা সতর্ক থাকতে হয়।“

এই আপ্তবাক্য আউড়ে সামনে চলেছি। গন্তব্য নিয়ে মাথা ব্যাথা করছি না তখনো। সকাল সকাল বেরিয়ে যাওয়াও পেটে একগ্লাস পানি ছাড়া আর কিছু পড়েনি। পেট জানান দিচ্ছে। এরপরও এক দারুণ উত্তেজনায় ছুটে চলা। পাশে অনেকক্ষণ ধরেই একটা বলট-গ্রীণ রংয়ের নিশান জীপ। দুজন দুজনাকে সঙ্গ দিতে দিতে চলেছি। গাজীপুর চৌরাস্তায় এসে বিচ্ছেদ ঘটল। উনি চলে গেলেন জয়দেবপুরে। আমি, সোজা সামনে। ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি, অনেকদিন বনের সবুজ দেখা হয় না, তবে যাওয়া যাক জাতীয় উদ্যানে।

প্রকৃতি কখনো নিরাশ করেনা


প্রায় পোনে আটটায় মূল গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকলাম। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী সম্মান করেই গেট খুলে দিলেন। আমি ইট-বিছানো রাস্তায় সামনে এগিয়ে গেলাম। সকাল সকাল বনের শব্দ আর আলো যে কি দারুণ হয় তা বলে বোঝানো কঠিন। সামনে আঁকা বাঁকা পথ। মনে পড়ল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ডিপার্টমেন্ট পিকনিক এখানেই হয়েছিল। সেইসব পুরোনো বন্ধুদের কথাও মনে পড়ল খুব। এই স্মৃতি কাতরতা চারাপাশ থেকে সম্পূর্ণ ঘিরে ধরতেই কানে এল সম্মিলিত ঝাড়ু দেবার শব্দ।


বনের পাতা কুড়ানো আর ঝাড়ু দেয়া ধুলো সকালের রোদে একটা সিম্ফোনী তৈরি করেছে যেন, শব্দ আলো আর ধূলো, একটা সম্মিলিত কোরাসে জানান দিচ্ছে জেগে ওঠার। তাদেরকে বাঁ-পাশে রেখে কিছুদূর সামনে যেতেই দুমাথা মোড়। যার বামদিকের প্রবেশমুখে সাইনবোর্ড, আর সেখানে লেখা, “সামনে বিপদজনক এলাকা”। আমার খুব কৌতুহল হল, তবে শেষ পর্যন্ত সেটা দমন করে ডান দিকে কিছুদূর যেতেই ছোট একটা ঘর এবং সেই ঘরের সামনে উঠোন; ঝাড়ু দিচ্ছে ছোট্ট একটা ছেলে। এই বয়সটাকে সম্ভবত মক্তবে যাবার বয়স বলে। ও কিছুক্ষণ আমাকে অবাক হয়ে দেখলো এরপর আবার ঝাড়ু দেয়া চালিয়ে যেতে থাকলো। ছোট্ট ঘর থেকে একজন মহিলা বেরিয়ে আসলেই আমি হাত তুলে দেখিয়ে বললাম, “খালা ঐ দিকে যাওয়া নিষেধ কেন?” খালা বললেন, “ঐ দিকে ছিনতাই হয়, যাইয়েন না ঐদিকে”, তার কন্ঠে এমন এক আন্তরিকতার আভাস, নির্দ্বিধায় তার কথা মেনে নিলাম। জাতীয় ভ্রমণ স্থানগুলোকে ঘিরে এমন হতাশাজনক পরিস্থিতি তো নতুন কিছু নয়।


বাইকটা ঘুরিয়ে ডানদিকে আরো কিছুদূরে যেতেই চমৎকার লেক। মাছধরা শিকারীরা সকালেই সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে বসেছেন। সেইসাথে ঠোঁট জ্বলছে সিগারেট আর চলছে খুনসুটি। কিছুক্ষণ পরপর সবকিছু বাঁদিকের শান্ত কোণা দিয়ে আলো এসে পড়ছে লেকের পানিতে।


বিবশ করা সৌন্দর্য, কত সহজেই প্রকৃতি দুহাত উজাড় করে দিয়ে যাচ্ছেন। ক্যামেরা বের করে ক্লিক ক্লিক, ফ্রেম আর কম্পোজিশন সবই যেন অপ্রতুল এই অপরূপ রূপকে ধারণ করার জন্য। মনটা ভ’রে গেল আনন্দে।



ক্ষুধা, সকালের নাস্তা দিনের প্রধান খাবার

ক্ষুধায় পেট আইটাই করছে। তাই জাতীয় উদ্যান থেকে বেরিয়ে বাইক নিয়ে ছুটলাম আরো সামনে। রাজেন্দ্রপুর মোড়ে এসে বাম দিকে চোখে পড়ল বেশ ব্যস্ত একটা হোটেল। পরোটা আর গরুর মাংস অর্ডার দিয়ে হাত ধুয়ে বসতেই মালিকের সিটের পাশেই চোখে পড়ল এক মধ্য-বয়স্ক ভদ্রলোককে। হংকং এর কাছে বাংলাদেশের হেরে যাওয়া নিয়ে একপশলা বাক্য বিনিময়ের পরেই, তার কাছ থেকে জানতে পারলাম, বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কের ঠিক বিপরীত দিকেই এক বিশাল এলাকা জুড়ে গড়ে উঠছে রিসোর্ট। সম্ভাব্য রিসোর্টের সংখ্যাও কম নয়, তিনি পুরো প্রকল্পের একজন অংশীদার, সাথে রয়েছে পারটেক্স গ্রুপ, গাজীপুর পুলিশ সুপার আরো অনেকে। তার ভাষ্যমতে এটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ রিসোর্ট হতে যাচ্ছে, সাথে সর্বাধুনিক পর্যটন সুযোগ-সুবিধাতো আছেই, যা নিঃসন্দেহে ব্যয়বহুল। এই সমস্ত অঞ্চল জুড়ে এমন রিসোর্টের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়, পরিচিতগুলোর বাইরেও রয়েছে নানান স্থাপনা, শুটিং স্পট, পিকনিক, বিনোদন, নৈশযাপণ, বিনোদন। ঢাকার উচ্চবিত্তের বিনিয়োগের একটা বড় কেন্দ্র হয়ে উঠেছে এই অঞ্চল। সেটা পর্যটনকে আদৌ কতটা এগিয়ে নেবে? কারা এদের টার্গেট কাষ্টোমার, কোন শ্রেণীর নাগালের মধ্যে থাকবে? কাদের কালো টাকা সাদা করবে? এই প্রশ্নগুলো মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকলো। হোটেলে বিল দিয়ে বিদায় জানিয়ে বেরিয়ে পড়লাম, এবারের গন্তব্য বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক।


সাফারী পার্ক, তুমি কোথায়?


ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক একটানা পথ কিছুদূর ঠিকঠাক থাকলেও কিছুদূর পরপর রাস্তা নির্মাণ চলছে। ধুলো আর এবড়োখেবড়ো পথে বাইক চালানো আগের মত আরামদায়ক আর রইলো না। এদিকে পথ চলতে চলতে কখন যে সাফারী পার্কে ঢোকার ছোট রাস্তা পেরিয়ে এসেছি সেটা আর খেয়ার করিনি। বাইক ঘুরিয়ে পেছনে ফিরে যেতে হল আরো দুই কিলো। ফিরে এসে এবারে ডান দিকে ঢুকে আরো তিন/চার কিলো এগুতেই চোখে পড়ল বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কের মূল গেট। এখানে আসার পুরো পথটা সরু। মূল গেটের বেশ কিছুটা আগে বাঁয়ে টিকেট কাউন্টার। তারও আগে পার্কিং এর চেক পোষ্ট। সেখানে ২০টাকায় টিকিট কেটে গেলাম মূল পার্কের টিকিট কিনতে। সেটার মূল্য ৫০টাকা, কিন্তু ১০০টাকার ভাংতির জন্য অপেক্ষা করতে হল অনেকক্ষণ। সেটা ভালৈ হল। কিছুদিন আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে ঘটে যাওয়া ন্যাক্যারজনক ঘটনার কারণ বুঝতে চাইলাম এই্ সুযোগে। কয়েকটা বিষয় পরিষ্কার যে স্থানীয় রাজনীতির হর্তাকর্তা এবং তাদের পান্ডারা টোল-টিকেট-ইজারার সাথে ভালো ভাবেই যুক্ত রয়েছেন। আরেকটা বিষয় হল যদিও স্থানীয় মানুষজনকে এখানকার নানান পেশায় যুক্ত করা হয়েছে, সেটা ভালো একটা উদ্যোগ। তবু্ও তাদের পেশাদারী করে তুলতে সিকিভাগ মনোযোগ দেয়া হয়নি বলেই মনে হল। ফলে একদিকে নানামুখী ক্ষমতা কাঠামো এবং স্বার্থ-গোষ্ঠী যাদের লক্ষ্য আয় করা, এবং সেটা জনগণের কাছ থেকে। কিন্তু সেটা করার বিষয়েও তারা নানামুখী চাপের মধ্যে রয়েছেন। অন্যদিকে সামগ্রিক অদক্ষতা। এই দুইয়ের মিশেলে এক সর্বদা বিরাজমান, “হাইপার অবস্থা”। ভূ-গৌলিকভাবেও অবস্থানটা “ভেতরে” হওয়াতে বিষয়টা অনেকটা একটা গ্রামের ভেতরে “চিড়িয়াখানার” মত বিষয় এখনো। যদিও বিদেশী পর্যটক আকর্ষণ করতে এবং সেটা বহাল রাখতে কেবল, নিজস্ব সিস্টেম দিয়ে চালালে হবে না, নতুন পেশাজীবী গোষ্ঠীকে তৈরি করতে হবে; কেবল ফরিয়া বানালে চলবে না। যাই হোক অপেক্ষা এবং বিনয় কাজে আসলো, একজন মানুষ যিনি ঠিক “অফিসিয়ালী যুক্ত নন” কিন্তু হয়তো কাউন্টারের কারো আত্মীয় বা পরিচিত তিনি টাকা স্ব-উদ্যোগে টাকা ভাঙ্গিয়ে এনে দিলেন। আমি বাইক রেখে, হেলমেট না হারানোর আশ্বাসে “বিল্লাল” নামক গার্ডকে আরো বকশিশ দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসলাম। এই প্রক্রিয়া নাগরিক কেবলি? উহু। কিন্তু “বিল্লাল” এবং তার গ্রাম ততটা পেশাদার কি হয়ে উঠতে পেরেছেন? এমন জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক দর্শনীয় স্থান কেন ফরিয়া শ্রেণী তৈরি করে তা আমার অনেক দিনের প্রশ্ন।



পথেই পথের বন্ধু

সুর্যটা ইতিমধ্যে বেশ তেতে উঠেছিল। গেটে টিকিট দেখিয়ে ভেতরে ঢুকেই দেখি নানানরকম আয়োজন করা হয়েছে সাফারী পার্ককে ঘিরে।


স্বল্প গভীরতার লেক এবং সেখানে সিমেন্টের পশু পাখী। ডানে বামে সবদিকে ফুলের বাগান বড় হবার অপেক্ষায়। গাছগুলো এখনো বড় হয়ে উঠেনি। তাই সুর্য থেকে রক্ষা করার আপাতত কেউ নেই। সামনেই পার্কের অফিস। তার বায়ে কোর সাফারী পার্ক। শুনেছি লম্বা লাইন হয় এখানে যদিও সকাল সকাল এসে পড়াতে লাইনে দাঁড়ানো এড়ানো গেলো।


কিন্তু এবারের সমস্যা কম লোক সংখ্যা। বেশ হলতো, গাড়ীতো আর ছাড়ে না।


এদিকে দেখলাম লম্বা একটা ছেলে গার্ড মামাকে বেশ কনভিন্স করার চেষ্টা করছে, “মামা আমরা এতদূর ময়মনসিংহ থেকে এসেছি আমাদের একটা গাড়ীর ব্যবস্থা করেন”। কথা শুনে আমিও তাদের সাথে যুক্ত হলাম, মামা প্রথম দফায় আমাদের ছ’জনাকে টিকিট দিলেন। আমরা পুরো ফাঁকা চত্তরে বাঁশের লাইন ধরে বাসের দিকে এগিয়ে গেলাম। সাথে যুক্ত হলেন আরো কয়েকটি পরিবার। ভরা রোদ্দুরে বাসে উঠে বসাই সমীচীন মনে করে সবাই মিলে বাসে উঠে বসলাম। কিন্তু বাস তো আর ছাড়েনা। এর মধ্যে কথায় কথায় পরিচয় হল, রাজু, সাজু, সোহাগ, রানা, বাপ্পীর সাথে। সবাই গাজীপুর বোর্ড বাজার থেকেই এসেছে। পুরো টিমই আসলে, “লাইনের লোক”।


টিমের উদ্যোগেই পুরোনো নন-এসি বাস থেকে আমরা শিফট করলাম এসি বাসে। সেই সাথে বাকীরাও। কই বাসের এসি ছাড়লেও বাস তো আর ছাড়েনা।
ইতিমধ্যে রাজু বেশ জমিয়ে ফেলেছে। এক কর্মচারী এসে জানালেন, একটা বাঘ সকালে মনমরা হয়ে খাবার খেতে না চাওয়ায়, সাফারী আর শুরু হচ্ছে না। রাজু ফট করে বলে উঠল, “মামার মনে হয় দাঁত ব্রাশ নিয়ে সমস্যা, কোন ব্যাপার না, আমরা নিজেরা যেয়ে মামার দাঁত ব্রাশ করিয়ে আসবো।“ সবাই হো হো করে হেসে উঠল। সাফারীর কর্মকর্তারা আমাদের মাঝেমধ্যে খবর দিচ্ছেন, “যে গাড়ীটা সব ঠিকঠাক করতে গেছে তা ফিরে এলেই”….রাজু কথা শেষ করতে না দিয়ে সামনের বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো এই বাঘ আসে বাঘ। বাচ্চারা তো কনফিউজড হয়ে গেছে ততক্ষণে। এরমধ্যে পরিকল্পনা করা হল কীভাবে উদীয়মান লাইনকে বিশৃঙ্খল করা হবে। সবচেয়ে ভালো বুদ্ধিটা হল, আমাদের দল কিছুটা সামনে এগিয়ে যাবে এবং তারপর বাঘ বাঘ বলে ভয়ানক চীৎকার করতে করতে গেটের দিকে এগিয়ে যাবে। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘন্টা পর বাস চলতে শুরু করল।


নোকিয়া মোবাইল দিয়ে ছবি ভালৈ তোলা যায়। বিশেষত এই আংকেলের জন্য এই ব্যবস্থা তিনি বারবার অনুযোগ করছিলেন, কেউ তার ছবি তুলে না।
যাই হোক দেরীতে শুরু হয়েও কোর সাফারী আমরা শুরু করলাম, বাঘ মামা, সিংহ, (সাদাও) হরিণ, জিরাফ, জেব্রা, বাইসন ইত্যাদি দেখে। আর বাসে তখনো রাজুর কমেন্ট্রী চলছিল, সম্মানিত সুধিমন্ডলি পরের অংশেই আমরা দেখতে পাবো ডাইনোসরদের। আর পুরো বাস হেসে উঠছিল।

সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:০২
১২টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×