somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভাষা সাম্রাজ্যে দুই পক্ষই ভাষা সৈনিক

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটা পরিবেষ্টিত চত্বরে আপনারা কি করবেন বা করবেন না সেইটার একটা ভাষা আছে। সেই ভাষা সবসময় আইন হিসেবে লেখা থাকবে বিষয়টা তেমন না। ভাষা আইন নি‍র্ভর না। আইন ভাষা নির্ভর। পরিবেষ্টন নিজে একটা ভাষা। মানে আপনাদের জন্য বিশেষ সময় প‍র্যন্ত একটা খোপ দেয়া হইছে, সেই খোপে পারফ‍‍র্ম করেন, মানে এইটা আসলে একটা মঞ ।

এই যে বিভিন্ন নিয়ম জারি হয় (নিরাপত্তার জন্য ব্যাগ খুলে দেখাতে হবে, কখন ঢুকবেন কখন বের হতে হবে) নিদর্েশনা থাকে (কোন ধরণের ব্যাগ আনা যাবে বা যাবে না) বিভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে (দেশের নিরাপত্তা, নৃশংস আক্রমণ) এই সবগুলা নিজেই একটা ভাষা। এই যে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি হয় (ওয়াচ টাওয়ার, বুথ), বিশেষ জায়গায় জড়ো হয় (মেলা), বিশেষভাবে ঘিরা থাকে (কর্ডন কইরা) সেইটাও একটা ভাষা, সেই ভাষা যে কোন লিখিত নিয়মের চাইতে অনেক ভালোভাবে আপানারে বুঝাইয়া দেয় কে বা কারা এইখানে পাওয়ারফুল। এইখানে কে কতদূর কেরদানী করবে?

বাংলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজু ভাষ্ক‍র্য, টিএসসি, শাহবাগ এলাকাও একটা পরিবেষ্টিত মঞ। এখানে কারো কারো যে কেমন যেন "মুক্ত মুক্ত" লাগে, কেমন যেন এমপাওয়ারিং লাগে এই ফিলিংটা আপনার ভাষাদলের সৃষ্টি। আবার যার বন্দী বন্দী লাগে অশালিন লাগে সেইটাও আপনার ভাষাদলের সৃষ্টি। এসব নিয়া বিস্তারিত আলাপ হইবো নে পরে।

তো যেই পরিবেষ্টিত চত্বরে যেই যেই জিনিস করা যাইবো বা যাইবো না (মনে করেন সিগারেট খাওয়া, বিরিয়ানির স্টল দেয়া, বইয়ের স্টল দেয়া) সেইটার গাইড/নিয়ন্ত্রণের জন্য ভাষা সৈনিক মোতায়েন থাকে। মোতায়নের মাধ্যমে একটা ভাষা প্রবলভাবে বহমান থাকে যারে বলা যাইতে পারে “আন্ডার কন্ট্রল” ভাষা। সেই ভাষা নিয়ত উৎপাদন করা দরকার, রিমাইন্ডার দেয়া দরকার। তো এই রকম রিমাইন্ডার কেবল যাদের উপর প্রয়োগ করা হয় তাদের জন্যই না; যারা প্রয়োগ করেন তাদের জন্যও। এইটা হল ভাষা রেজিম মেনটেইনের পদ্ধতি।

যাদের উপর প্রয়োগ করা হয় তারা হয়ত মনে করেন যে এইটাতো তাদের স্পেস। এই স্পেসতো তার। এই স্পেসের জন্য সারাজীবন কত কষ্টই না করছি, নিজের জন্য আবার বিশেষ স্পেস বানাইতাছি। মোটামুটি স্পেস বানানির বা বাড়ানির কামটা করছি বইলাই তো বাকীদের জন্য স্পেস বাড়ছে। “আন্ডার কন্ট্রল” ভাষা কি এইটা চায় না? সে এলাও করে না? করে বইলাইতো একটা পরিবেষ্টিত চত্বরে আপনারে স্পেস বাড়াইতে দেয়। আবার আপনারে দিয়ে অন্যর স্পেস কমায়াও নেয়, আপনি কননা এই স্পেসে এর থাকা যাবে না? আবার সে আপনারে ভাষা সদস্য-র অনুভূতি দিয়া বলে না আমি থাকলে অনেক অনেক স্পেস পাবা কিন্তু, ওরা থাকলে কিন্তু পারবা না। যদিও আপনি জন্মানোর পর থেইক্কাই কিন্তু বিভিন্ন ভাষাদলের টানাটানিতে থাকেন, তাও আনকনশাসলি অধিকাংশ সময়।

একটা বিশেষ পরিবেষ্টিত চত্বরে আপনার নিজের স্পেস অনুভুতি ঘন হয় বইলা সেইটা দেয়। কিন্তু স্পেসটারে ছোট কইরা রাখে। ভাষা রেজিমের দারুণ একটা ডিল। সে পরস্পর গুতাগুতি করণের ছোট ছোট খোপ বানায়া ভাষা সৈন্যদের বিজি রাখে, হায়ারা‍র্কি বানায় এনগেজ রাখে। এইটা একটা চলমান ইনোভেটিভ প্রসেস, এবং “আন্ডার কন্ট্রল” ভাষার জন্য চলমান পূঁজি উৎপাদক। মানে “আন্ডার কন্ট্রল” ভাষায় দুই পক্ষই ভাষা সৈনিক! খুব তীব্র জোড়ালো প্রতিভাবান হয়ত, কিন্তু ছোট ছোট খোপের ছোট হায়ারাকর্ির ভাষা সৈনিক।

তাই আমি বলি ভাষা সাম্রাজ্যর রিক্রটমেন্ট শুরু হয় আপনার জন্ম-র আগে থেইক্কা, একটা খুবই এডভান্স টেকনোলজি। জন্মের পরে আবার নতুন নতুন লেয়ার আর সেইটার সাথে স্পেস নিয়া দরকষাকষি। ভাষা সৈনিক হইতে না চাইলে ভাষারে আনলাণর্ করা শুরু করতে হবে বেইব!

ভাষার মাসে ভাষা রেজিম আনলাণর্ করা হোক আপনাদের প্রচেষ্টা
এই কামনায়
শরৎ চৌধুরী
হিগাশি হিরোশিমা
জাপান
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০০
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×