অধরগঞ্জ মাঠে প্যান্ডেল টানিয়ে ওয়াজ হচ্ছে, রাত হবার কারণে চারদিকে আলো; স্টেজ সরগরম!
ভক্তি, উত্তেজনা, ঘাম আর আলো আঁধারিতে মনে হচ্ছে
লাখো জনতার সমাবেশ।
হুজুর মাইকে আওয়াজ দিলেন,
"কীইইইই কথা বলে না কেন"
উত্তেজিত জনতা বলে উঠলেন,
"আছি আছি আছি"...
হুজুর জানেন ভালো; এই জনতা এক-একটা ঢেউয়ের মত।
সমুদ্রের মত তারে ডাকতে হবে, বারবার। যত ডাক তত ঢেউ, তত ফেনা।
হুজুর আবার মাইকে আওয়াজ দিলেন,
"কীইইইই কথা বলে..."
উনার কথাগুলো মাইক থেকে অর্ধেক বেরিয়েই, দম ত্যাগ করলো। দূরের দর্শকরা অবশ্য অনুমান করে নিলেন, হুজুর কি বলতে চেয়েছেন।
অকস্মাৎ অন্ধকারে ছেয়ে গেল পুরো প্যান্ডেল। গুঞ্জন শুরু হবে হবে করছে।
তখনি ভীড় থেকে কে যেন বলে উঠলো,
"হুজুরের ভাসুরের নাম কি গো?"
মোবাইলের স্ক্রীণের আলোর পেছন থেকে কে যেন উত্তর দিল,
"বিদ্যুৎ কুমার হবিনে।"
উত্তর শুনে একটা হালকা হাসির স্রোত যেন বয়ে গেল জনতার মাঝে।
স্টেজের কাছাকাছি কিছু মোবাইল অচিরেই জ্বলে উঠল। সেই প্রশ্নকর্তা আর উত্তরদাতাকে খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।
এসবের মাঝেই;
অবিকল হুজুরের ভঙ্গিতে কে যেন বলে উঠল,
"কীইইইই কথা বলে না কেন"।
কিছু মোবাইল সেদিকেও ছুটে গেল।
শরৎ চৌধুরী, l দশে দশ, ২০২২।