
এই কথিত ইন্টেরিম যে একপ্রকার জামাত-ব্যাকড সরকার সেটা অনেকেই জানে। আর যদি সেইফ এক্সিটের কথা বলা হয়, তবে নীতিহীন জামাতই এই সরকারের কথিত কিছু লোক ও তাদের কিছু সমর্থক দলের লোকদের শতভাগ সেফ এক্সিট দিতে পারে সবচেয়ে বেশি, যা বিএনপি ক্ষমতায় আসলেও সেভাবে হয়তো সম্ভব হবে না। কাজেই, ২০১৮-এর আওয়ামী লীগের ভ*য়ানক ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর আদলে এক ইলেকশন কইরা যদি জামাতরে সরকারি দল বানানো হয়, এনসিপিকে করে বিরোধী দল, আর বিএনপিরে ২০-৩০ টা আসন দিয়া যদি কয়, যা ভাগ, তাইলে কি সেটা ঠেকানোর উপায় দেশের প্রধানতম রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির আছে? সেরকম কিছু হয়ে গেলেও বিএনপির মতো নতজানু, বুদ্ধি-কৌশলের ভ*য়ানক ঘাটতিহীন দল তখন কী করতে পারবে? কী তারা করতে পেরেছিল ২০১৮ সালে?
সেরকম কিছু হইলেও তখন জামাতি সরকার ও প্রশাসন এবং জামাত উদাহরণ হিসেবে দেখিয়ে দিবে বিভিন্ন ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জামাতের ভূমিধ্বস বিজয়ের কথা! তারা বলবে, দেখেন ভাই, দেশের মানুষ এখন আমাদেরই চায়, সেটা তো ডাকসু-জাকসু-চাকসুতেই প্রমাণিত হয়ে গেছে। এমনটা বিদেশিদের কাছেও তুলে ধরবে।
এসব ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সেন্ট্রালে ছাত্রদল ২-১ টা পদ ছাড়া আর কিছুই পায়নি। এটা কি পাগলেও বিশ্বাস করবে? সন্দেহ নেই, এসব ছাত্র সংসদ ইলেকশনেও মেটিকুলাস মেকানিজম হয়েছে।
নিশ্চিত থাকেন, সামনের জাতীয় ইলেকশনে এমনটা ঘটার সম্ভাবনা খুবই বেশি। কিন্তু হায়, বিএনপির মাথামোটা নেতৃত্বেরই এসব নিয়ে মাথাব্যথা নেই। তাদের বলদামির জন্য যদি দেশবিরোধী, মৌ*লবাদী শক্তির হাতে দেশ চলে যায়, তবে শুধু বিএনপিই নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হবে পুরো বাংলাদেশ!
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


