সবুজ বেষ্টনীর কৃষ্ণ স্বজন
কিছু মানুষের লোভ ও অতিমুনাফার মাসুল দিতে গিয়ে দিনে দিনে ধূসর হতে থাকা এই সবুজ পৃথিবীকে নতুন করে সাজানোর স্বপ্ন দেখতেন ওয়ানগারি মাথাই। তার একটি বই রয়েছে- রিপ্লেনশিং দ্য আর্থ। নতুন পৃথিবী গড়ার জন্য তার ভাবনা-চিন্তার সংকলন।
কেবল চিন্তা নয়, তৎপরতায় তিনি ছিলেন অনন্য। কেনিয়ার মতো সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন সূচকে পিছিয়ে থাকা একটি দেশে ওয়ানগারি এক কার্যকর বৃক্ষরোপণ আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। ৩০ হাজার গ্রামীণ নারীকে, যাদের কাজ ছিল মূলত প্রাকৃতিক বন থেকে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করা, তিনি গাছ লাগানোর প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। কেনিয়ায় বন উজাড়িকরণের অন্যতম দায়ী হিসেবে যাদের চিহ্নিত করা হয়, তাদেরকেই লাগিয়েছিলেন বন সৃজনের কাছে। সত্তরের দশকে তিনি যখন এই আন্দোলন শুরু করেন, কেনিয়ায় তাকে 'পাগলী' বলা লোকের সংখ্যা নেহাত কম ছিল না। কিন্তু নব্বইয়ের দশকে এসে স্পষ্ট হয়ে যায় যে তিনি অসাধ্য সাধনের পথে অনেক দূর এগিয়েছেন। এরপর দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে স্বীকৃতি আসতে থাকে। আর ২০০৪ সালে মূলত সবুজীকরণে অবদানের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কারই তার হাতে এসে ধরা দেয়।
পরিবেশ আন্দোলনের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী একটি অসুবিধা হচ্ছে তারা যে জনগোষ্ঠীর জন্য প্রাণপাত করেন, তাদের দিক থেকে রাজনৈতিকভাবে সমর্থন সামান্যই পান। এর মূলে রয়েছে এই ভ্রান্তি- পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিত্বরা রাজনৈতিকভাবে 'নিরপেক্ষ' থাকবেন। জার্মানির গ্রিন পার্টি ছাড়া পরিবেশবাদীরা বিশ্বের আর কোথাও রাজনৈতিকভাবে সুবিধা লাভ করতে পারেননি। অথচ পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি গুরুতরভাবে রাজনৈতিক ইস্যু। বাংলাদেশের কথাই ধরা যাক, রাজনৈতিক শক্তিকে তত্ত্বে ও ময়দানে মোকাবেলা না করে কি বন কিংবা নদী সুরক্ষা সম্ভব? ওয়ানগারি মাথাইয়ের সাফল্য হচ্ছে, তিনি রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় থেকেই পরিবেশ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরিবেশ আন্দোলনের আরেকটি সাধারণ প্রবণতা হচ্ছে, গয়রহ বিরোধিতার পথে হাঁটা। ওয়ানগারি মাথাই সরকারের মন্ত্রিত্ব রেখেই পরিবেশ আন্দোলন করেছেন, নোবেলও জিতেছেন। ব্যক্তিগত বিভিন্ন বাধা ও বিপর্যয় মেনে নিয়েও তিনি যেভাবে প্রকৃতি সুরক্ষার প্রশ্নে অনড় থেকেছেন, তাও যথেষ্ট শিক্ষণীয়।
বলা বাহুল্য, বাংলাদেশের সঙ্গে ওয়ানগারি মাথাইয়ের যোগসূত্র খুবই ক্ষীণ। বন উজাড়িকরণ কিংবা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে লেখালেখি বা বক্তৃতার সময় প্রাসঙ্গিকভাবে আরও কিছু দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের নাম উচ্চারণ করা ছাড়া আলাদা কিছু চিহ্নিত করা কঠিন। আমাদের দেশের নোবেল লরিয়েট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো কয়েকজনের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত জানাশোনা ছিল, এর বেশি কিছু নয়। মিসেস মাথাই বরং ভারতের সঙ্গে নানাভাবে ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ২০০৭ সালে ইন্দিরা গান্ধী প্রাইজও পেয়েছেন।
তারপরও ওয়ানগারি মাথাইয়ের মৃত্যু সংবাদ পরিবেশহানিজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপন্ন বাংলাদেশের জন্য স্বজন হারানোর বেদনাই সৃষ্টি করে।
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।