মা ইলিশ বনাম মানব শিশু
সন্দেহ নেই, এ মাসের গোড়ায় উপকূলীয় এলাকার সাত হাজার বর্গকিলোমিটার জলসীমায় পূর্ণিমার আগে-পরের ১০ দিন ইলিশ ধরার ক্ষেত্রে সরকার যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, এসব শিশু তা স্পষ্টতই ভঙ্গ করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে শিশুদের শাস্তি দেওয়া কি আইনসম্মত? এ বিধান কোথায় আছে যে, শিশুকে এমন অবমাননাকর শাস্তি দেওয়া যাবে? তার মানে, শাস্তিদাতা কর্তারাও তো আইন ভঙ্গ করছেন। তাদেরকে আইন ভঙ্গের জন্য কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখলে কেমন হয়?
মা ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, যাতে ইলিশের উৎপাদন বাড়ে। আরও ভেঙে বললে, যাতে ইলিশের সন্তান রক্ষা পায়। ইলিশের উৎপাদন বাড়িয়ে এদেশের মানব সন্তানদের খাদ্য ও পুষ্টির নিশ্চয়তা বিধানই লক্ষ্য। কিন্তু আলোচ্য ছবিটির ক্ষেত্রে ইলিশশিশুর সুবিধার জন্য সেই মানবশিশুকেই শাস্তি দেওয়া হচ্ছে!
চরমপন্থী পরিবেশবাদীদের কেউ কেউ মানুষের চেয়ে প্রকৃতির মূল্য বেশি দেন। এই কর্তারা তেমন পরিবেশপ্রেমী হলেও না হয় মানা যেত। এরাই তো আবার নদী কিংবা মৎস্য সম্পদের বারোটা বাজাচ্ছেন! আমাদের নদীগুলোতে ইলিশ কমে যাওয়ার পেছনে বড় কারণ অতি আহরণ নয়; শিল্প দূষণ। ইলিশের জীবনচক্র যারা জানেন, তারা বিষয়টি ভালোভাবে বুঝবেন। এখন, অভিযানে নামা হামবড়া কর্মকর্তারা কি পারবেন নদী দূষণকারী শিল্পপতিদের কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখতে?
প্রশ্ন আরও আছে, মা ইলিশ ধরা বন্ধ রাখতে যতটা তোড়জোড় করে অভিযান চালানো হচ্ছে, নিষেধাজ্ঞা জারি করার সময় কি ততটা উৎসাহ ছিল? ডিম্ববতী ইলিশ রক্ষায় ২০০৬ সাল থেকে অক্টোবরের শেষার্ধে কাগজে-কলমে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতো। কিন্তু ইতিমধ্যে তিথি পরিবর্তন হয়ে যাওয়ায় তা কাজে আসছিল না। ফলে নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করা হয় অক্টোবরের ৬ থেকে ১৬ তারিখ। অক্টোবরের এক তারিখ মৎস্য অধিদফতর এ সিদ্ধান্ত নেয়। মাত্র পাঁচ দিন আগে সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বাস্তবায়ন কতটা যৌক্তিক? উচিত ছিল মা ইলিশ রক্ষার কর্মসূচি বাস্তবায়নে বেশ আগে থেকে যথেষ্ট প্রচার চালানো।
এ ধরনের কর্মসূচি মেনে চলার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যও তো জেলেদের আরও সময় দেওয়া দরকার। উপকূলীয় জেলেরা সাধারণত ১০-১৫ দিনের জন্য ইলিশ ধরতে বেরিয়ে যান। যারা ২ তারিখের আগেই জাল-নৌকা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন, তারা কীভাবে নিষেধাজ্ঞা মানবেন? এ ধরনের একেকটি ট্রিপে যাওয়ার আগে তারা মহাজনের কাছ থেকে দাদন, ঋণ বা আগাম দাম নিয়ে যান। ফিরে এসে ইলিশ বা অর্থ দিয়ে তা শোধ করেন। যেসব জেলে নিষেধাজ্ঞা জারির আগেই মাছ ধরতে গেছেন, তারা ঋণ শোধ করবেন কীভাবে? ওই দশদিন দিন এনে দিন খাওয়া জেলেদের সংসার চলবে কীভাবে, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারির আগে এটাও বিবেচনা করা উচিত নয় কি? নাকি প্রশাসন কেবল কিল মারার গোঁসাই?
ইলিশ সুরক্ষা কার্যক্রম অবশ্যই সাধুবাদযোগ্য; কিন্তু তারও আগে ভাবতে হবে জেলেদের সুরক্ষার কথা, তাদের মর্যাদার, আবেগ ও সংস্কৃতির কথা।
[লেখাটি ইষৎ সংক্ষেপে, আমার পেননেমে, বৃহষ্পতিবারের সমকালে ছাপা হয়েছে]
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।