জাতিসংঘ জলপ্রবাহ সনদে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করছে না কোন দুঃখে?
জাতিসংঘের কোনো কনভেনশন কার্যকর করতে অন্তত ৩৫টি সদস্য দেশের অনুস্বাক্ষর বা রেটিফিকেশন প্রয়োজন হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত ২২টি দেশ এতে স্বাক্ষর করেছে। অনুস্বাক্ষর করেছে প্রয়োজনের অর্ধেকেরও কম, ১৬। অথচ নথিপত্রে দেখা যাচ্ছে, এর প্রস্তাবকারী দেশের সংখ্যাই ছিল ৩৮টি। প্রস্তাবকারী দেশগুলোই যদি অনুস্বাক্ষর করত, এটি কার্যকর হতো আরও ১০ বছর আগে।
প্রস্তুতি ও পাশ পর্বে কনভেনশনটিকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পানিসম্পদ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে দেখা হচ্ছিল। দেখা হচ্ছিল আন্তর্জাতিক পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় অতীব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে। বস্তুত নৌ চলাচলের বাইরে পানিসম্পদ ব্যবহার ও বণ্টনের ক্ষেত্রে গত দুই শতকে যেসব ইতিবাচক তত্ত্ব ও তদারকি ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল, কনভেনশনটিতে তার সবকিছুর সন্নিবেশ ঘটেছিল। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটি কার্যকর হলে পানি বণ্টন, প্লাবন ও দূষণ নিয়ে দুনিয়াজুড়ে যে জটিলতা তৈরি হচ্ছে, তার আন্তর্জাতিক সমাধানসূত্র মিলত। এমনকি বঞ্চিত রাষ্ট্রের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার ব্যবস্থাও ছিল। তারপরও কনভেনশনটি থেকে হঠাৎ সবাই মুখ ফিরিয়ে নিল কেন?
বিরোধিতার তর্জনী তোলা হচ্ছে ওয়াটারকোর্সেস কনভেনশনের সাত নম্বর ধারার দিকে। সেখানে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক প্রবাহের ক্ষেত্রে একটি দেশ এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না, যা আরেকটি দেশের জন্য "ধর্তব্য ক্ষতির" কারণ হয়। ফলে প্রভাবশালী যেসব দেশ গায়ের জোরে আন্তর্জাতিক প্রবাহের মর্জিমাফিক ব্যবহার করছে, তারা বেঁকে বসেছে। কেবল নিজেরা বিরোধিতা করছে না, তাদের প্রভাববলয়ে থাকা দেশগুলোকেও নিরুৎসাহিত করছে। আবার কিছু কিছু দেশ, বিশেষ করে ইউরোপে, ইতিমধ্যেই নিজেদের মধ্যে যেসব দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় চুক্তি সম্পন্ন করেছে, সেগুলো ইউএন ওয়াটারকোর্সেস কনভেনশনের চেয়ে অনেক বেশি অগ্রসর। ফলে তারা বলছে যে ইউএন কনভেনশনটি স্বাক্ষর-অনুস্বাক্ষরের প্রশ্ন তাদের কাছে অবান্তর। কিন্তু একটি ভালো উদ্যোগের অচলাবস্থা থেকে মুক্তির ক্ষেত্রে তারা কেন হাত-পা গুটিয়ে বসে আছে, সেটি একটি প্রশ্ন। না-কি প্রভাবশালী দেশগুলোর খাতিরে গজর দেখাচ্ছে না।
এসব বড়দের ব্যাপার; বাংলাদেশ কনভেনশনটিতে স্বাক্ষর করছে না কোন দুঃখে? অথচ আমরা গোড়া থেকেই কনভেনশনটির পক্ষে ছিলাম। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এর প্রস্তাবকারী ২৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ছিল তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। যদিও সেটা বর্ণানুক্রমে, এর প্রতীকী মূল্য নিশ্চয়ই রয়েছে। ৫৭টি অভিন্ন নদী তথা ভূ-উপরিস্থ পানিসম্পদের সব উৎসের ভাটিতে থাকা একটি দেশের জন্য ইউএন ওয়াটারকোর্সেস কনভেনশনের ব্যবহারিক উপযোগিতা নিয়ে নতুন করে কী বলার আছে? এমনও নয় যে ইউরোপীয় দেশগুলোর মতো বাংলাদেশ তার প্রতিবেশীর সঙ্গে আরও উন্নত দ্বিপক্ষীয় রক্ষাকবচ নিয়ে বসে আছে। বরং গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তির নবম অনুচ্ছেদে অভিন্ন প্রবাহে "অপরের জন্য ক্ষতিকর কিছু" না করার যে অঙ্গীকার রয়েছে, ভারত তা সকাল-বিকেল লঙ্ঘন করছে।
এখানেই পরিহাসের পরিসমাপ্তি নয়; একবার বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তখন মেজর (অব.) এম হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম তখন পানিসম্পদ মন্ত্রী। এ ব্যাপারে মত নেওয়ার জন্য দেশীয় যেসব বিশেষজ্ঞকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তারা সবাই প্রায় একবাক্যে সায় দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, বাংলাদেশের উচিত অবিলম্বে চুক্তিটি স্বাক্ষর করা। অন্যান্য দেশও যাতে এতে স্বাক্ষর করে, সেজন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টাও অব্যাহত রাখতে হবে। তারপর কী এক অদৃশ্য ইশারায় বিষয়টি অগ্রসর হয়নি। সে ইশারা নিশ্চয়ই হাফিজউদ্দীন আহমেদেরও উপরমহল থেকে এসেছিল।
কে তিনি? পাঠক অনুমান করতে পারেন। আর যারা বিএনপির ভারতবিরোধীতার জোশে মুগ্ধ, তাদের জন্য এই ঘটনা অন্যতম শিক্ষণীয় হতে পারে।
এখন যখন আবার তিস্তা, টিপাইমুখ ও তিতাস নদী রক্ষার প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে, কাদা ছোড়াছুড়ি বাদ দিয়ে জাতিসংঘ জলপ্রবাহ সনদ স্বাক্ষরের দাবিটি আরেকবার উঠুক না!
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।