গত কাল নাকি ছিল বিশ্ব চা দিবস! আমার তো আসলে চায়ের জন্য কোনো দিবস লাগে না। চায়ের কথা ভাবলেই আমার চা দিবস হয়ে যায়।
"চা-কে ভালোবাসার পর,
জীবনের আশেপাশে দুঃখ নামের কেউ ভিড়তে পারেনি..."
কথাটা সত্যিই! দুঃখ পেলেই চায়ের সাথে দুঃখ মিশিয়ে চুমুক দিয়ে গিলে ফেলি।
ফেসবুকে, ফেসবুকের বাইরে ভাই-বোন,বন্ধু-বান্ধব,আত্মীয় স্বজন যারা আমাকে চা-খোর হিসেবে চিনে-জানে কিংবা চায়ে চুমুক দিয়েই যাদের আমার কথা মনে পড়ে তাদের প্রতি আমার অন্য রকম একটা ভালোবাসা কাজ করে। কী করে যেন তাদেরকে বড় আপন মনে হয়। তবে, চায়ের প্রসঙ্গ এলেই আমি নস্টালজিক হয়ে উঠি, ফিরে যাই সেইই অতীতের স্মৃতিগুলোতে।
চা মানেই আমার কাছে আনন্দ-বেদনার এক মহাকাব্য! নস্টালজিক হয়ে উঠি কতশত বলা, না-বলা ঘটনা বা স্মৃতিতে। কখনো হাসি তো কখনো চোখ ভিজে উঠে!
চা আসলেই একটা অনুভূতি!
চা প্রসঙ্গ নিয়ে লিখতে গেলে কথা শেষ হবে না, তাই আপাতত এখানেই ক্ষ্যান্ত দিই...
চা-প্রিয় প্রতিটি মানুষের প্রতি অফুরান ভালোবাসা!
কোনো এক পড়ন্ত বেলায়, অবাক করে দিয়ে জিজ্ঞেস করো আমায়— " আচ্ছা বলোতো চায়ের সাথে তোমার এত ভাব কেন ? আমার চেয়ে মনে হয় চা এই তোমার জীবনে সব কিছু !!
কি প্রবল এক আকাঙ্খায় চা , আমি সে কবে দাদা জানের কুলে বসে চা পান করা শিখেছি । চা হলো সতেজতার প্রতীক। আনন্দে চা ,বেদনায় চা , রাগেও চা, অভিমানে চা ,নিঃসঙ্গতায় চা। এক কথায় চা ই এক অন্য রকম প্রেমের সঙ্গী। । এই চায়ের জন্যই তোমাকে ছোঁবার অপেক্ষায় সুত্র খুঁজে পাই ! তুমি কি জানো এই চায়ের সাথে আমার কত দিনের প্রেম ? তুমি কি জানো, এই এলোমেলো বিষণ্ণ তুমিটার আবরনে এক বাঙাল চা কি ভীষণ ভালবাসে ? তুমি বলে যাও সেই চা আর তোমার শরীরের বন্য ফুলের তীক্ষ্ণ তীব্র স্নিগ্ধতায় আমি শুধু মাতাল হই ।