somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধরো কলকি মারো টান!!!!!!!!!!!!

১২ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


দের পরদিন পদ্মা সেতু হয়ে আমার মফস্বল শহরে গমন। তখনো উৎসবের আমাজে কাটেনি। ছোট বড় সব ঔষদের দোকানে গ্যাসের,পেট খারাপের আর প্রেসারের ঔষধ বিক্রি হচ্ছে দেদারসে! দারুন উৎসাহে এইসকল ঔষধ গলঃধকরন করে ফের সবাই দ্বীগুন উদ্যোমে মাংস-পোলাও খাবার জন্য ছুটছে।
কয়েকটা মোড়ে দেখলাম চ্যাংড়া পোলাপান ঢাউস সাইজের ব্লুটুথ স্পিকার লাগিয়ে বেদম জোড়ে গান শুনছে আর ফুর্তি করছে( ফুর্তি বলতে চিৎকার চেঁচামেচি খিস্তি খেউর আর পাতানো মারপিট)। সন্ধ্যের পরে এদের প্রত্যেক গ্রুপ হে বাবা লে বাবা গান শুনতে শুনতে অন্য এক ঝোঁকের দুনিয়ায় চলে গেল! যেই গানটা বাজিয়ে সর্বাধিক হৈ হুল্লোড় করছে সেটা হোল;
ধরো কলকি মারো টান!!
বাবার ডাকে পাগল লোকে
কোনো কথায় শোনে না
বাবা সবাই রে পাগল বানায়ছে।
বাবা একটান গাঁজা খাওয়াইয়া
দিনে তারা দেখাইয়া
কাইরা নিলো বাবা আশেকের প্রাণ। ( একেবারে পার্ফেক্ট গান এই জেনারেশোনের জন্য)

আমিও বাবার নাম লয়ে কলকে'তে জোরে একখানা দম দিয়ে গুরু মুজতবা আলীর গল্প দিয়ে শুরু করছি;
~দেশভাগের পর নিয়মের গ্যাড়াকলে পড়ে তৎকালীন পূর্ববঙ্গ থেকে ভারতে গাঁজা রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। গাঁজার রপ্তানি বন্ধ হতে হতে গুদামে জমে আছে সব গাঁজা। এদিকে থেমে নেই নতুন গাঁজা উৎপাদনও। বাধ্য হয়ে পুরাতন গাঁজা নষ্ট করে ফেলতে হবে। যেখানে গাঁজা পোড়ানো হবে সেখানকার দায়িত্বরত অফিসারের আত্মীয় ছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী। অফিসার আলী সাহেবকে বললেন, 'চল দেখবি।' যথাস্থানে গিয়ে দেখলেন গাঁজা পোড়ানোর জন্য হাজির হয়েছেন পুরো গ্রামবাসী। যেন কোনো উৎসব লেগেছে। আগুন লাগানোর পর বাতাস যেদিকে যায়, গ্রামবাসী (বৃদ্ধ, যুবক, শিশু) সে দিকে দৌড়ায়! মজার ব্যাপার হলো, মুজতবা আলীও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না৷ পরদিন আর মনেই করতে পারেননি সেদিন রাতে কিভাবে তিনি বাড়ি ফিরেছেন, জিপে করে নাকি হাতির পিঠে করে..
------------
নিষিদ্ধ গাছ -(হুমায়ূন আহমেদ)
ধ্রুব এষের কাছ থেকে শোনা একটি লোকগল্প দিয়ে রচনা শুরু করা যাক।
মহাদেব স্বর্গে নন্দি ভূঙ্গিদের নিয়ে আছেন। মহাদেবের মনে সুখ নেই, কারণ কোনো নেশা করেই আনন্দ পাচ্ছেন না। তিনি পৃথিবীতে নেমে এলেন নেশার বস্তুর সন্ধানে। দেখা করলেন লোকমান হেকিমের সঙ্গে। যদি লোকমান হেকিম কিছু করতে পারেন। ইনিই একমাত্র মানুষ যার সঙ্গে গাছপালারা কথা বলে। মহাদেব ও লোকমান হেকিম বনেজঙ্গলে ঘুরছেন, হঠাৎ একটা গাছ কথা বলে উঠল। গাছ বলল, লোকমান হেকিম, আমি গাঁজাগাছ। আমাকে মহাদেবের হাতে দিন। মহাদেবের নেশার বাসনা তৃপ্ত হবে। মহাদেব গাঁজাগাছ নিয়ে স্বর্গে চলে গেলেন। গাঁজাগাছই একমাত্র গাছ যা পৃথিবী থেকে স্বর্গে গেল।
এই গাঁজাগাছ আমি প্রথম দেখি বৃক্ষমেলায় বন বিভাগের স্টলে। নুহাশপল্লীর ঔষধি বাগানে এই গাছ নেই। আমি কিনতে গেলাম। আমাকে জানানো হলো, এই গাছ নিষিদ্ধ। আনা হয়েছে শুধুমাত্র প্রদর্শনীর জন্যে। অনেক দেনদরবার করেও কোনো লাভ হলো না।
আমি গাঁজাগাছ খুঁজে বেড়াচ্ছি, এই খবর ছড়িয়ে পড়ল। কেউ কেউ তাদের দলে ভিড়েছি বলে বিমল আনন্দ পেলেন, আবার কেউ কেউ আমার দিকে বক্ৰচোখে তাকাতে লাগলেন। ‘Thou too Brutus’ টাইপ চাউনি।
জনৈক অভিনেতা (নাম বলা যাচ্ছে না, ধরা যাক তার নাম পরাধীন) আমাকে ক্ষুব্ধ গলায় বললেন, হুমায়ূন ভাই, আপনি গাঁজাগাছ খুঁজে পাচ্ছেন না এটা কেমন কথা! আমাকে বলবেন না? আমি তো গাঁজার চাষ করছি।
আমি বিস্মিত গলায় বললাম, কোথায় চাষ করছ?
আমার ফ্ল্যাটবাড়ির ছাদে। আমার অনেক টব আছে। ফ্রেশ জিনিস পাই। ফ্রেশ জিনিসের মজাই আলাদা।
আমি বললাম, তুমি গাঁজার চাষ করছ, তোমার স্ত্রী জানে?
না। তাকে বলেছি, এগুলি পাহাড়ি ফুলের গাছ। টবে পানি আমার স্ত্রী দেয়।
পরাধীনের সৌজন্যে দুটা গাঁজাগাছের টব চলে এল। যেদিন গাছ লাগানো হলো তার পরদিনই চুরি হয়ে গেল। বুঝলাম, যে নিয়েছে তার প্রয়োজন আমার চেয়েও বেশি।
গাঁজার চাষ বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। গাঁজা খাওয়ার ব্যাপারেও নিশ্চয়ই নিষেধাজ্ঞা আছে। বাংলাদেশ পুলিশ হ্যান্ডবুকে (গাজী শামসুর রহমান) প্রকাশ্যে সিগারেট খেলে ১০০ টাকা শাস্তির কথা বলা হয়েছে। গাঁজা বিষয়ে কিছু পেলাম না। প্রকাশ্যে থুথু ফেললেও ১০০ টাকা জরিমানা। রমজান মাসে মুসল্লিদের থুথু ফেলায় কি আইন শিথিল হবে?

গাঁজা খাওয়ার ব্যাপারে আমাদের সরকার মনে হয় নমনীয়। মাজার মানেই গোল হয়ে গাঁজা খাওয়া। লালনের গান শুনতে কুষ্টিয়ায় লালন শাহর মাজারে গিয়েছিলাম। গাঁজার উৎকট গন্ধে প্রাণ বেরিয়ে আসার উপক্রম হলো। এর মধ্যে একজন এসে পরম বিনয়ের সঙ্গে আমার হাতে দিয়ে বলল, স্যার, খেয়ে দেখেন। আসল জিনিস। ভেজাল নাই। সিগারেটে তামাক ফেলে গাঁজা ভরে এই আসল জিনিস বানানো হয়েছে।
গাঁজাগাছ সম্পর্কে কিছু তথ্য। আমার লেখা বৃক্ষকথা নামের বইয়ে বিস্তারিত আছে। এই বইটি অন্যপ্রকাশ থেকে বের হয়েছে। প্রথম দিনের বিক্রি দেখে ‘অন্যপ্রকাশ’-এর স্বত্ত্বাধিকারী মাজহার অবাক। দ্বিতীয় দিনে অদ্ভুত কাণ্ড। যারা বই কিনেছে, তারা সবাই বই ফেরত দিয়ে টাকা নিয়ে গেছে। তারা হুমায়ূন আহমেদের কাছে গল্প চায়। বৃক্ষবিষয়ক জ্ঞান চায় না। হা হা হা।
গাঁজাগাছের স্ত্রী-পুরুষ আছে। দুটিতেই ফুল হয়। তবে পুরুষ-গাছের মাদকক্ষমতা নেই।
গাঁজা-গাছের পুষ্পমঞ্জরি শুকিয়ে গাঁজা তৈরি হয়। এই গাছের কাণ্ড থেকে যে আঠালো রস বের হয় তা শুকালে হয় চরস। চরস নাকি দুর্গন্ধময় নোংরা কাঁথা গায়ে জড়িয়ে খেতে হয়।
স্ত্রী-গাঁজাগাছের পাতাকে বলে ভাং। এই পাতা দুধে জ্বাল দিয়ে তৈরি হয় ভাঙের শরবত, অন্য নাম সিদ্ধির শরবত। এই শরবত ভয়ঙ্কর এক হেলুসিনেটিং ড্রাগ।
আমার বন্ধু আর্কিটেক্ট করিম ভাঙের শরবত খেয়ে কলকাতার এক হোটেলে চব্বিশ ঘণ্টা প্রায় অচেতন হয়ে পড়ে ছিল। তার কাছে মনে হচ্ছিল, তার দুটা হাত ক্রমাগত লম্বা হচ্ছে। হোটেলের জানালা দিয়ে সেই হাত বের হয়ে আকাশের দিকে চলে যাচ্ছে।
গাঁজাগাছের ফুল, ফল, পাতা এবং গা থেকে বের হওয়া নির্যাসে আছে সত্তরের বেশি ক্যানাবিনয়েড। এগুলোর মধ্যে প্রধান হলো ক্যানাবিনল, ক্যানাবিডিওল, ক্যানাবিডিন। নাইট্রোজেনঘটিত যৌগ (Alkaloids)ও প্রচুর আছে।
এইসব জটিল যৌগের কারণেই মাদকতা ও দৃষ্টিবিভ্রম!

-------------৬ আগষ্ট,২০২২
নারী কূটনীতিকের গাঁজা কেলেঙ্কারি:
মানবজমিনের কূটনৈতিক রিপোর্টার মিজানুর রহমান প্রথম বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন। সাংবাদিকতার ভাষায় যাকে বলে স্কুপ নিউজ। জাকার্তায় বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রদূত কাজী আনারকলির বাসায় অভিযান চালায় সেখানকার মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। ওই বাসায় নাইজেরিয়ান এক তরুণের সঙ্গে বসবাস করতেন তিনি। মারিজুয়ানা বা গাঁজা পাওয়ার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। কূটনীতিক হওয়ার কারণে বাংলাদেশ দূতাবাসের জিম্মায় মুক্তি দেওয়া হয় আনারকলিকে।
-----------------
এবার একটু কানাডার হাল হকিকত শুনে আসি;
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোরও নাকি গাজাঁসেবনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে যখন এমপি ছিলেন তখনও তিনি গাজাঁ সেবন করেছেন। তার ছোট ভাই মিশেল ট্রুডো একবার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন গাজাঁ রাখার দায়ে। প্রায় ২০ বছর আগের ঘটনা। তখন তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছিল। পরে অবশ্য তার বাবা সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়ের ট্রুডো নামিদামী উকিল ধরে মিশেলের বিরুদ্ধে ঐ ক্রিমিনাল রেকর্ড মুছে ফেলতে সক্ষম হন। মিশেল তার মাস ছয়েক পর ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় এক এ্যভালেন্স (তুষার ধ্বস) দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মারা যান।
গাজাঁ নিয়ে কানাডায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আলোচনা সমালোচনা বেশ জমে উঠেছে। গত জাতীয় নির্বাচনে গাজাঁ প্রথম সারির একটি ইস্যু হয়ে দাড়িয়েছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অঙ্গীকার করেছিলন, তিনি ক্ষমতায় এলে কানাডায় গাজাঁ সেবনকে বৈধতা দানের ব্যবস্থা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী তার অঙ্গীকার রক্ষা করার জন্য কদিন আগে অনুষ্ঠানিক পদক্ষেপও নিয়েছেন। অর্থাৎ তার সরকারের পক্ষ থেকে গত ১৩ এপ্রিল পার্লামেন্টে প্রস্তাব উঠানো হয়েছে আগামী ২০১৮ সালের জুলাই মাসের মধ্যে এই গাজাঁ সেবনকে বৈধতা দানের জন্য। যদি এই প্রস্তাব পার্লামেন্টে পাশ হয় তবে কানাডায় একজন প্রাপ্তবয়স্ক (১৮+) ব্যক্তি গাজাঁ ক্রয় ও সেবন করার আইনী অধিকার পাবেন। নিজের কাছে ৩০ গ্রাম পর্যন্ত গাজাঁ রাখতে পারবেন এবং বাড়িতে ৪টি পর্যন্ত গাজাঁর গাছ লাগাতে পারবেন।

পার্লামেন্টে যেহেতু বর্তমান ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে তাই এই প্রস্তাব পাশে কোন সমস্যাই হবে না তাদের পক্ষে। আর জনমত? গাজাঁ সংস্কৃতির একটি ওয়েবসাইট ‘সিভিলাইজড’ এবং যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিএসবি কর্তৃক পরিচালিত যৌথ জরীপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে শতকরা ৮০ জনই বলেছেন, তারা কানাডায় গাজাঁসেবনকে এক প্রকার বৈধতা দানের পক্ষে। আর শতকরা ৪৪ জন বলেছেন তারা চিকিৎসা এবং বিনোদন উভয় ক্ষেত্রেই গাজাঁসেবনকে বৈধতা প্রদানের পক্ষে।

তবে কানাডার ‘ন্যানস’ নামের একটি জরীপ প্রতিষ্ঠান ও সিটিভি নিউজ কর্তৃক পরিচালিত জরীপে দেখা গেছে প্রায় ৭০% কানাডিয়ান গাজাঁ সেবনকে বৈধতা দানের পক্ষে।

আরো কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় হলো, যারা গাজাঁ সেবন করেন না তাদের তুলনায় গাজাঁসেবনকারী বা গাজাঁখোররা নাকি অধিক সংখ্যায় সামাজিক! গাজাঁখোরদের সামাজিক মেলামেশার প্রবণতাও বেশী। তারা বেশী মুভি দেখেন, মিউজিক ফেস্টিভালে যান বেশী, মিউজিয়ামেও যান বেশী। ক্লাবে বা শুঁড়িখানা যান বেশী। এপ্রিল মাসে ‘সিভিলাইজড’ এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিএসবি কর্তৃক পরিচালিত জরীপে এই তথ্য প্রকাশ পায়।

জরীপে অংশগ্রহণকারীরা আরো জানিয়েছেন, গাজাঁ সেবনের পর তারা ঝিম মেরে একা বসে থাকেন না। মুভি দেখলে সাথে কেউ না কেউ থাকেন। শতকরা ৩৬ ভাগ জানিয়েছেন তারা এই সময়টাতে ঘরের কাজে ব্যস্ত থাকেন। শতকরা ৫০ ভাগের বেশী জানিয়েছেন তারা গাজাঁ সেবনের পর বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান। শতকরা ৩৬ ভাগ জানিয়েছেন তারা এই সময়টা সৃষ্টিশীল বা উদ্ভাবনী কাজে ব্যয় করেন।

এখানেই শেষ নয়। গাজাঁখোরদের মধ্যে শিক্ষিতের হারও নাকি বেশী! ঐ একই জরীপে দেখা গেছে যারা গাজাঁ সেবন করেন না তাদের মধ্যে ব্যাচলর ডিগ্রিধারীর হার ৩০%। অন্যদিকে গাজাঁখোরদের মধ্যে ব্যাচলর ডিগ্রিধারীর হার ৩৬%! তবে এটি কানাডার চিত্র নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। কানাডায় এখনো এই বিষয়টির উপর কোন জরীপ চালানো হয়নি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জরীপ চালালে এখানেও প্রায় একই চিত্র পাওয়া যাবে।

‘ডেলোটি’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের অনুমান হলো, কানাডায় গাজাঁ বৈধ করার পর অল্প সময়ের মধ্যেই এটি ২২.৬ বিলিয়ন ডলারের শিল্পে পরিণত হবে। সেই সাথে সৃষ্টি হবে বিপুল সংখ্যক চাকরী।
বর্তমানে কানাডায় ৭৫ হাজার রোগী নিবন্ধিত আছেন চিকিৎসার প্রয়োজনে গাজাঁ ব্যবহার করার জন্য। হেলথ কানাডার অনুমান হলো ২০২৪ সালের মধ্যে এই সংখ্যা সাড়ে চার লাখে পৌঁছাতে পারে।

গাজাঁ সেবনে নাকি অনেক উপকারিতাও আছে! অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন গাঁজা এক ধরনের ওষুধ। কানাডাসহ অনেক দেশে চিকিৎসার কাজে গাঁজার ব্যবহার চলছে। গাজাঁ সেবন করলে নাকি মনে ও মস্তিষ্কে অনেক কিছু ঘটে। এটা এমন এক উদ্ভিদ যা মনের ওপর প্রভাব ফেলে। অন্যান্য মাদক দ্রব্যের ব্যবহার থেকে বাঁচতে বা মানসিক রোগের চিকিৎসাতেও গাঁজার ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে বলে জানা যায়। ‘এমএসএন’ এর সূত্রের বরাত দিয়ে কালের কণ্ঠে এ বিষয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওতে দেখা যায়:

১. গাঁজায় আছে টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনোল (টিএইচসি)। এটা মস্তিষ্কে এমন এক অংশে কাজ করে যে অংশটি সুখকর অনুভূতির সৃষ্টি করে। কাজেই পেটপুরে খাওয়া বা সেক্সের মতোই সুখ দেয় গাঁজা।
২. গাঁজায় আরো আছে ক্যানাবিডিওল (সিবিডি)। এটি থেরাপির কাজ করে। বিশেষ ধরনের ব্যথানাশক হিসাবে দারুণ কাজের এটি। শিশুকালে কারো মৃগীরোগ থাকলে উপকার মেলে।
৩. বেশ কিছু ক্ষুদ্র গবেষণায় দেখা গেছে, বেশ কিছু অস্বাস্থ্যকর বিষয় থেকে মুক্তি দেয় গাঁজা। দেহের প্রদাহ বিনাশ করে। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের মতো যন্ত্রণাদায়ক রোগ উপশমে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
৪. গাঁজা দেহের রক্তনালীকে প্রসারিত করে। এর লক্ষণ প্রকাশ পায় চোখে। এ সময় চোখ দুটো লাল হয়ে যায়।
৫. যারা মাঝে মাঝে বা সব সময় গাঁজা সেবন করে থাকেন, তাদের ক্ষুধা বেড়ে যায়। গাঁজা মস্তিষ্কের এমন একটি অংশকে প্রভাবিত করে যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে। সম্প্রতি ইঁদুরের ওপর পরিচালিত এক গবেষণা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
৬. মস্তিষ্কে যে প্রক্রিয়ায় স্মৃতিশক্তি সঞ্চয় করে, তাতে বাধ সাধে গাঁজা। বেশ কিছু গবেষণায় বলা হয়, স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দেয় গাঁজা। তবে অনেকের মতে, এর সঙ্গে গাঁজার কোনো সম্পর্ক নেই।
উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে দেখা যায় “গাঁজা শরীরের বিষ-ব্যথা সারায়। এ কথার বর্ণনা রয়েছে ভারতবর্ষের প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় চিকিৎসাশাস্ত্রে। তবে এ কথাও সুবিদিত যে, গাঁজা, ভাং ও মারিজুয়ানা গ্রহণ মানুষের স্মরণশক্তি হ্রাস করে এবং দীর্ঘ মেয়াদে মনোবৈকল্য ঘটায়। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা এখন গাঁজা, ভাং ও মারিজুয়ানার ওপর গবেষণা করে জেনেছেন, এ সব মাদকদ্রব্য থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ব্যথানাশক ওষুধ প্রস্তুত করা সম্ভব, যা মানুষের কোনো ক্ষতি করবে না। গবেষণাটি করেছে ফ্রান্সের বায়োমেডিকেল ইনস্টিটিউট। এর নেতৃত্ব দিয়েছে আইএনএসইআরএম।

জার্মানীর ডয়েচ ভ্যালের সূত্র উল্লেখ করে ভোরের কাগজ এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে যাতে বলা হয়:
গাজাঁ মৃগীরোগ কমায়:
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ২০১৩ সালেই জানিয়েছেন, গাঁজা একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় নিলে মৃগী বা এ ধরণের কিছু স্নায়ুরোগ থেকে দূরে থাকা যায়।
গাজাঁ গ্লুকোমা দূরে রাখতে সহায়তা করে:
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল আই ইন্সটিটিউট জানিয়েছে, মারিজুয়ানা গ্লুকোমার ঝুঁকিও কমায়। গ্লুকোমা চোখের এমন এক রোগ যা চির অন্ধত্ব ডেকে আনে।
গাজাঁ এ্যালজাইমার এর শত্রু:
দ্য জার্নাল অফ এ্যালজাইমার’স ডিজিজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজাঁ মস্তিষ্কের দ্রুত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়াও রোধ করে। আর এভাবে এ্যালজাইমার ঝুঁকিও কমাতে পারে গাজাঁ। তবে গাজাঁ ‘ওষুধ’ হলেই রোগ সারাবে, কারো নিয়ন্ত্রণহীন আসক্তির পণ্য হলে নয়।
গাজাঁ ক্যানসার প্রতিরোধ করে:
এই বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র সরকারিভাবেই স্বীকার করেছে। ২০১৫ সালে সে দেশের ক্যানসার বিষয়ক ওযেবসাইট ক্যানসার অর্গ-এ জানানো হয়, গাজাঁ অনেক ক্ষেত্রে টিউমারের ঝুঁকি কমিয়ে ক্যানসার প্রতিরোধকেরও ভূমিকা পালন করে।
গাজাঁয় কেমোথেরাপির ক্ষতি কম:
ইউএস এজেন্সি ফর ড্রাগ জানিয়েছে, গাজাঁ ক্যানসার রোগীর রোগযন্ত্রণা অন্যভাবেও কমায়। ক্যানসার রোগীকে এক পর্যায়ে কেমোথেরাপি নিতে হয়। কেমোথেরাপির অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। গাজাঁ কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াজনিত অনেক ক্ষতি লাঘব করে।
গাজাঁ স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়:
এটি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ নটিংহ্যামের গবেষকদের উদ্ভাবন। তারা গবেষণা করে দেখেছেন, গাজাঁ মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতেও সহায়তা করে। ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
গাজাঁয় ব্যথা নিরোধ:
ডায়াবেটিস চরম রূপ নিলে রোগীদের অনেক সময় হাত-পা এবং শরীরের নানা অংশে জ্বালা-যন্ত্রণা হয়। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা বলছেন, গাজাঁ সেই যন্ত্রণা লাঘব করতে সক্ষম।
গাজাঁ হেপাটাইটিস’সি-র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমায়:
হেপাটাইটিস সি-র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কমায় গাজাঁ। নির্দিষ্ট মাত্রায় ওষুধের মতো গাঁজা সেবন করিয়ে দেখা গেছে এই রোগে আক্রান্তদের শতকরা ৮৬ ভাগেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনেক কমেছে।

আমরা জানি, বৈধ না হলেও বহুকাল আগে থেকেই কানাডায় ব্যবহার হয়ে আসছে গাজাঁ। সমাজে নারী – পুরুষ, ধনী-গরীব সব শ্রেণীর মানুষই আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে সেবন করে আসছেন এই গাজাঁ। আর এখন যেহেতু এটি বৈধ হতে যাচ্ছে তখন নিশ্চিতভাবেই গাজাঁ সেবনকারীদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে সন্দেহ নেই। ফোরাম রিসার্সের এক জরীপেও এরকমই আভাষ পাওয়া গেছে। জরীপ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, জরীপে অংশগ্রহণকারী শতকরা ৩০ জন বলেছেন, বৈধতা পেলে তারা গাজাঁ সেবন করবেন। কানাডায় যারা গাঁজা সেবন করছেন তাদের মধ্যে যুবক-যুবতীর সংখ্যাই বেশী। শতকরা ৩৪ ভাগ। পুরুষদের সংখ্যা শতকরা ২৩ ভাগ।
গাজাঁর উপর সাম্প্রতিক কালে ভেষজ বা ঔষধি গুণ আরোপিত করার চেষ্টা করা হলেও মূলত এটি একটি মাদক দ্রব্য। গোটা বিশ্বে বহু কাল ধরেই এটি মাদক হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কানাডায়ও তাই। জাতিসংঘ গাজাঁকে বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত অবৈধ ড্রাগ হিসাবে বিবেচনা করে।
সাম্প্রতিক কালের কিছু গবেষণায় যেহেতু দেখা গেছে গাজাঁর কিছু ভেষজ গুণও রয়েছে তখন এর বৈধ ব্যবহার হয়তো আর ঠেকানো যাবে না। অন্তত ঔষধ হিসাবে হলেও এটি ব্যবহারের অনুমতি দিতে হবে। কানাডাও সেই পথেই এগুচ্ছে। ঔষধ হিসাবে ব্যবহারের পাশাপাশি বিনোদনের উপাদান হিসাবেও এটি ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হবে কানাডায়। তবে কিছু বিধিনিষেধও আরোপ করা হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, যখন এর অপব্যবহার হবে তখন তা কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে সরকার?~খুরশিদ আলম-সম্পাদক প্রবাসী কণ্ঠ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
এবার গাঁজার শহর আমস্টারডামের গল্প শুনি ( আহা কি সোনার দেশ -রে!!!);
আমস্টারডাম শহরে প্রথমদিন ভোরবেলা বের হয়েছি। আমাদের সঙ্গে আমার ছেলে। ঝলমলে একটা শহরে হাসি-খুশি-সুখী মানুষের ভিড়। তার মাঝে হাঁটতে হাঁটতে আমার ছেলে আমাকে খুব মূল্যবান একটা তথ্য দিল। বলল, 'যখন কফি খাবার ইচ্ছা করবে খবরদার কফি শপে ঢুকবে না।' আমি এবং আমার স্ত্রী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, 'কেন?' আমার ছেলে বলল, 'কারণ কফি শপ হচ্ছে গাঁজা খাওয়ার দোকান। কফি খেতে হলে যাবে কাফেতে।' আমার ছেলে তার পুরনো মডেলের বাবা-মাকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে কিনা সেটা সঙ্গে সঙ্গেই পরীক্ষা করে দেখার সুযোগ হলো। শহরের ব্যস্ত রাস্তায় একটু পরে পরেই কফি শপ। সেই কফি শপে কেউ কফি খাচ্ছে না। ঢুলুঢুলু চোখে গাঁজা টানছে। অতি বিচিত্র একটি দৃশ্য।
আমস্টারডামে অবশ্য এটি মোটেও বিচিত্র নয়। এখানে গাঁজা খাওয়া আইনসম্মত ব্যাপার। যারাই দেশ-বিদেশ বিশেষ করে ইউরোপের খোঁজখবর রাখেন, তারা সবাই জানেন হল্যান্ডে টিউলিপ ফুলের ছড়াছড়ি। ইউরোপের বড় বড় শিল্পী প্রায় সবাই উইন্ডমিলের সামনে বিশাল বিশাল টিউলিপ বাগানের ছবি এঁকেছেন। কাজেই আমস্টারডামে ফুলের বিশাল নার্সারি থাকবে, সেটি মোটেও অবাক হওয়ার কিছু নয়। কিন্তু সেই অপূর্ব নার্সারির অসংখ্য ফুলের গাছ, গাছের চারা, ফুলের বীজের মাঝে বড় একটা জায়গা দখল করে আছে গাঁজার গাছ! সেখানে নানা ধরনের গাঁজার চারা বিক্রি হচ্ছে এবং মানুষজন আগ্রহ নিয়ে সেগুলো কিনছে।
আমস্টারডামের মতো এত সুন্দর একটা শহরের বর্ণনা দেওয়ার সময় প্রথমেই গাঁজার গল্প দিয়ে শুরু করা মনে হয় ঠিক হলো না;
কিন্তু কেউ যেন মনে না করে, এই পুরো শহরটিতে অসংখ্য গাঁজাখোর মানুষ সারাক্ষণ ঢুলুঢুলু লাল চোখে বিড়বিড় করে কথা বলছে, ইতস্তত হাঁটাহাঁটি করছে। এটি খুবই আনন্দমুখর নিরাপদ একটি শহর। আমি এবং আমার স্ত্রী আমাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে সিনেমা দেখে গভীর রাতে নিশাচর শিল্পীর সুমধুর ট্রাম্পেট শুনতে শুনতে বাসায় ফিরে এসেছি। একবারও মনে হয়নি পথঘাটে কোথাও নিরাপত্তার কোনো অভাব আছে। আমস্টারডামে শুধু যে প্রকাশ্যে গাঁজা বিক্রি হয় তা নয়, গাঁজা ছাড়াও আরও নানা ধরনের নেশার জিনিসপত্র খোলা দোকানে কেনা যায়। খরিদ্দার অবশ্য বেশিরভাগই পৃথিবীর নানা দেশ থেকে আসা ট্যুরিস্ট। আমস্টারডামের দেখাদেখি আমেরিকার অনেক শহরেও আজকাল গাঁজা বিক্রি করা আইনসিদ্ধ করা হয়েছে। আমি যে শহরে আমার পিএইচডি করেছি সেই সিয়াটল শহরটি এ রকম একটি শহর। -জাফর ইকবাল
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আরে গুরু যাচ্ছেন কোথায়? আমার কথাটা শুনুন;

গাঁজার কলকিতে ভীষন জোরে দম দিয়ে চক্কর দিয়ে উঠল মাথাটা, তারপরে ঝিম ম ম ম! নেশায় আচ্ছন্ন আমি। মগজের কু-বুদ্ধির নিউরনে ঢুকে গেল মনটা। কি সব ফালতু ভাবনা আসে!! এইটা হইল? আমার সোনার দেশে এইরকম প্লান কি হতে পারে?? নাঃ কক্ষনোই না। ঠিক আছে আপনারাই দেখুন এক গাঁজা খোরের গাঞ্জুট্ট্যা ভাবনা;
তেলের মুল্য বাড়ানোর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তেল চালিত( ফার্নেস অয়েল, ডিজেল সহ অন্যান্য) সব বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উতপাদন বন্ধ করে দিল। লোড -শেডিং এর মাত্রা বেড়ে গেল! ফ্যাক্টরি বাসা অফিসে জেনারেটরের ব্যাবহার বেড়ে গেল। ধরুন আপনার ৩৫ কেভি জেনারেটর কিন্তু ফ্যাক্টরি অফিস কিংবা বাসায় লোড নেয় সর্বোচ্চ ২০ কেভি- সেখানে তেল খরচ কিন্তু সমান লাগবে। সাথে আই পি এস ও চার্জার ব্যাবহার বেড়ে গেল- বিদ্যুতের চাহিদা আরো বাড়ল। ফলে লোড শেডিং আরো বেড়ে গেল।
জেনারেটরের জন্য ডিজেলের চাহিদা বাড়ছে সাথে কিছু বুদ্ধিমান মানুষ ভবিষ্যত আগাম বুঝে তেল স্টক করা শুরু করল। বিপিসি ও তেল খনিজ মন্ত্রনালয় সাথে জড়িত মানুষগুলো কানে কানে ডিপো ও পাম্প মালিকদের বলে দিল সুখের দিন আসছে। তেনারা সবাই নিজের টাকা, ব্যাঙ্কের লোন সহ ধার দেনা করে ধারন ক্ষমতার অধিক (পারলে পেটের মধ্যে খানিকটা রেখে দেয়) স্টক করল। ওদিলে কুইক রেন্টালের মালিকেরা প্রমোদ ভ্রমনে কিংবা বউ-বাচ্চা নিয়ে বিভিন্ন রিসোর্টে বসে মদের গেলাসে টস করে প্রতিদিনের ফাও লাভ গুনছে! (এমন একটা ডিসিসান নেবার জন্য তাদের পেয়ার ভালবাসার অর্থ তো ~তেলের মুল্য বিশ্ব বাজারে বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই টপ বসদের একাউন্টে চলে গেছে) সাথে একটা ফাউ সতর্ক বার্তা ম্যাঙ্গো পিউপল পাইলো; এদেশের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে কুইক রেন্টাল কতটা জরুরী। ডিজেলের চাহিদা আরো বাড়ল।
বিপিসির লোকসানের( তথাকতিথ) পরিমান আরো বাড়ল। দেন দরবার চলছে আরো অধিক লস কেমনে দেখানো যায়!! টাকা চলে যাচ্ছে রথী, মহিরথীদের নামে বেনামে দেশে বিদেশের বিভিন্ন একাউন্টে।
এরপরে আসল মহেন্দ্রক্ষন( যেটা শুরু হয় রাত্রির প্রথম প্রহরে)। ডিপো মালিক, পাম্প মালিক সহ এবং -এর সাথে জড়িত সমস্ত কর্মকর্তার উতসবের রাত্রি। উন্নত বিশ্বের সাথে এক কাতারে দাড়াতে দেশের ইতিহাসে সম্ভবত প্রথমবার একবারে উলম্ফন ৫০% ! চারিদিকে আনন্দের বন্যা! ( অবশ্য গাঞ্জাখোর দু-য়েকজন বলেছিল গুরু তেলের দামতো এখন কমতেছে- ক্যাম্নে কি? গুরু কইল রাখ ব্যাটা জনগন কিস্যু বুঝব না! দুই-চারদিন ফাউ ফালাফালি করব তারপর সব ঠিক। তুই বইসা বইসা গাঞ্জা খা!)
বাঘা সিদ্দিকীর কথায় সুর মিলিয়ে বলতে হয়, যিনি সত্যিকারে এই দেশকে ভালবাসেন সেই প্রধানমন্ত্রী সহ দেশের জনগনরে টুপি পড়ানো গেছে।
৮০০০ কোটি টাকা হালাল উপায়ে হাপিস হয়ে গেল!!

আপনারা নিশ্চয়ই বলছেন; যত সব আজগুবি কথা। শালা গাঁজা খোর! এর থেকে তুই বসে বসে কলকি টান-

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গাঁজা খাইলে আমার আর দোষ কি গুরু...

~ভবের প্রেমে যেই মইজাছো
গাঁজার কল্কি ছুয়ো না
গাঁজায় যদি ধরে তোমায়
পলাইয়া পাড় পাইবা না


# এটা প্রথম পর্ব হতে পারে! ( গাঁজা খেয়ে বলছি মাইরি)
ওহ হো একটা অনুরোধ; গঞ্জিকা সেবন নিয়ে কোন বিরুপ আলোচনা থেকে বিরত থাকুন।
* ছবিটা ভারতীয় এক সাধুর- নেট থেকে নেয়া।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১৮
২৯টি মন্তব্য ৩০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×