গাজিয়াবাদের গোপন এক ডেরায় আপার মুখোমুখি বসে মিঠাই লাগাইন্যা শয়তান' বসে মিচকি মিচকি হাসিতেছে।
আপা তারে জিগাইল, 'হাসতে কিউ হু?' (আপার হিন্দী এই রকম, কেউ ভুল ধরিয়েন না)
মিঠাই লাগাইন্যা শয়তান কইল, 'এইসেহী- তুরান্ত... আপ ফোন উঠাইয়ে আউর এক চিঙ্গারী (স্ফুলিঙ্গ)জ্বালাইয়ে।' এরপর সগোক্তির মত করে বলল,-বাঙ্গাল কো আব সমাঝ আয়েগা 'আভিভ্যাক্তি কি সাতন্ত্রতা'( বাক স্বাধীনতা) কিয়া চিজ হ্যায়।
আপা এমনিতেই এক কানে কম শুনেন। কথা ঠিক মালুম করতে না পেরে ভ্যাবদার মত চেয়ে আর এক কান পেতে দিলেন ...
***
জ্বী আপা, হ্যাঁ আপা
হ্যাঁ শুনো। আমি কিন্তু এখনো পদত্যাগ করি নাই।
কি কন আপা? সত্যি আপা? আল্লার কিরা আপা?
আরে হ্যাঁ আমিতো এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
আল্লা আমিতো খুশী হার্টফেল কইর্যা ফ্যালব আপা। আপা আমি জানতাম আপা আপনি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে আপা- বঙ্গবন্ধুর মেয়ে কখনো পদত্যাগ করতে পারে না আপা। আপা এই কথা আমি সবাইরে কইছি আপা কিন্তু কেউ বিশ্বাস করে না আপা। সব শালা নিমকহারাম আপা।
কিন্তু 'চুপ্পু' যে কইল আপা?
- আরে রাখো তোমার চুপ্পুর কথা। শোনো আমি আমি এখন নো ম্যানস ল্যান্ড দিয়া ঘোরাফিরা করতেছি। বি এস এফ চিপাচাপি দিয়া যে কোন সময় আমারে ঢুকায় দিতে পারে। জয় বাংলা।
- সত্যি আপা? মাইরি আপা। আপা একটু ওয়েট কইরেন আপা, আমি শুধু আমেরিকা থেইক্যা আইস্যা লই আপা।
** লে ঠ্যালা সামলা এখন বাঙ্গালীর বাকস্বাধীনতার!!!
সব বাংলাদেশীই এখন হাসিনার পদত্যাগ পত্র দেখতে চাইবে। এরপর পদত্যাগ পত্রে সয়লাব হয়ে যাবে নেট দুনিয়া। তাই নিয়ে হবে ভয়ঙ্কর বাকযুদ্ধ। এটা ভুয়া -জাল বলে ছুড়ে ফেলা হবে। অঁজ গাও-গেরামের সদ্য ফটোসপের নাম শোনা চ্যাংড়া পুলাটাও বলবে এইরকম চিঠি আমি ২০ পঞ্চাশখান বানাইতে পারি। ফেসবুকজুড়ে থিক থিক করছে বুদ্ধিজীবি আর পণ্ডিত। যে এক লাইন পড়তে পারেনা সে দেখে কোন ইমোটা বেশি, তিনি সেইটা চেপে দিয়ে পণ্ডিতি দেখান।
এই যে গুঞ্জন উঠলো এইটা আর থামবে না 'মিঠাই লাগাইন্যা শয়তান' আলতো করে তার 'শয়তানির একটু মিঠাই' লাগায় দিয়া এখন মিচকি মিচকি হাসিতেছে। এরপর থেকে বাংলাদেশের একাংশ মানুষের কাছে শেখ হাসিনা আজীবন প্রধানমন্ত্রী থেকেই যাবে। যতই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পত্র দেখান,তিন বাহিনীর প্রধানদের উপস্থিতিতে চুপ্পুর 'আল্লার কিরা কসম' করে কথা শুনান, এমনকি পদত্যাগের সময়কার ভিডিও-ও দেখান না কেন সবকিছু ভুয়া সাব্যস্ত হবে।
লও ঠেলা সামলাও
*** এত ক্যাচাল প্যাচালে না গিয়ে আসুন এর থেকে '৮০ দশক থেকে ৯০ এর মাঝামাঝি পর্যন্ত আমাদের পোলাপানের ইংরেজির কি হাল ছিল তাই নিয়ে একটি ফেসবুকীয় রঙ্গ' শুনি;
একবার স্কুলে মাইকেল জ্যাকসনের গান গাচ্ছিলাম সবাই। কোরাসে এসে ঝামেলা লেগে গেলো। কারণ একদল বললো: জাস্ট পিলে, আর আরেকদল জাস্ট পিরে।
মুহূর্তেই পুরো সেকশন দুইভাগে ভাগ হয়ে গেলো। কারণ আমরা বললাম, জাস্ট পিলেই ঠিক। আর আরেকদল আমাদের শ্রবণ প্রতিবন্ধী হিসেবে সাব্যস্ত করে বললো, জাস্ট পিরেই হচ্ছে আসল লিরিক্স।
যাইহোক, কিছুক্ষণ পর লাগলো মারামারি। কানা ইরফান, মাইগ্যা মজিদ, চোষা ফুয়াদ, ল্যাওড়া ইয়ামিনসহ অনেকেই আহত হলো। কিন্তু সমাধানে আসা গেলো না।
বছরখানেক পর ক্যাসেটের সাথে আসা লিরিক্স পড়ে যখন দেখলাম আসল উচ্চারণ হচ্ছে জাস্ট বিট ইট, পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়েছিলো আমার।
এখন অনেকেই ভাবতে পারেন এই ভয়াবহ লেভেলের ইংলিশ লিসেনিং স্কিল নিয়ে আমরা তখন কিভাবে মাইকেল জ্যাকসনের গান গাইতাম?
তাদের জ্ঞাতার্থে কি গাইতাম, সেটা নিচে লিখে দিচ্ছি।
আডিস উডুস
লাডিস লুডুস
নোনা জাস ক্যান
লিডি মিডি ডিস্টিং বিট
মাচো ম্যান
দ্যা ফায়ার ইন দ্যা স্কাই
রাস্তার কুত্তা ভাই
জাস্ট পিলে
পিলেএএ পিলেএএ
পিলেএএ পিলেএএ
(অবিশ্বাস্য মনে হলেও শহরব্যাপী তখন এটাই ছিলো এই গানের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য লিরিক্স)
*মন্তব্যে একজন বলেছেন; আমরাও জানতাম এটা 'জাস্ট পিলে' কিন্তু 'জাস্ট বিট ইট' শোনার পরে আর কখনোই ওই গানের সুর মিলাইতে পারি নাই
মুল কৃতজ্ঞতাঃ SOBER
***
**( হিন্দী আউলা-ঝাউলা ঠিক করে নিয়েন)**
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৪