
আমরা কি গুঁতোগুঁতি করতে করতেই জীবন কাটাবো? মধ্যপ্রাচ্য সব সময়ই অস্থিতিশীল একটা অঞ্চল। সেখানকার দেশগুলো কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না। মুসলিম ভ্রাতৃত্বের ফাকা বুলি যতই প্রচার করা হোক আড়ালে একজন অন্যের পেছনে লেগে থাকে। সাধারণভাবে মনে হয় যেন মুসলমানদের কমন শত্রুদেশ হল ইসরাইল। কিন্তু যদি তাই সবাই মনে করত, তবে এভাবে মাজা শক্ত করে ইসরাইল আরব ভূমিতে বিষফোঁড়ার মত টিকে থাকতে পারত না।
মুসলমানদের মধ্যে কোনও ঐক্য নেই। শিয়া, সুন্নি, কাদিয়ানী, ওহাবী, সালাফি, খেলাফি, খারেজি, সুফি... কত যে বিভক্তি! এভাবে বাছাই করতে গেলে কম্বল হারানোর যোগাড় হবে। এক জন আরেক জনকে মুসলমান বলে স্বীকার করে না, তার দম্ভোক্তি সেই খাঁটি মুসলমান। এসবের পেছনের সমস্যাটা হল আসলে শিক্ষাহীনতা! অশিক্ষিত মানুষ নিজেদের বিভক্ত করে নিজেকে শ্রেষ্ঠ ঘোষণা করে মজা পায়।
সৌদি আরব কাতারের বিরুদ্ধে জঙ্গি লালন-পালনের অভিযোগ তুলে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। কিন্তু সৌদি নিজে কি এই অভিযোগ থেকে মুক্ত? আমি যেটা করি সেটা হলি সন্ত্রাস আর অন্যেরা করলে পাপ! সৌদি তার দেশে আল জাজিরা নিষিদ্ধ করেছে। কোনও হোটেল এই নির্দেশনা অমান্য করলে এক লাখ রিয়াল জরিমানা, লাইসেন্স বাতিল বা উভয় দণ্ড দিতে হবে। কাতারও এসব গায়ে না মাখার কথা ঘোষণা করেছে। এই ইগো সমস্যার কি শেষ হবে না, আমারা কি শিশুদের নাগরদোলায় ঘুরপাক খেকেই থাকব! শিশু থেকে বড় হব না কোনও দিন?
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



