
অংসান সুচির ঠিকানা হয়ে যেতে পারে আবার জেল। চারদিকে গুজব যখন-তখন গ্রেফতার হতে পারে সে। আবার ইয়াঙ্গুনের ক্ষমতায় দেখে যেতে পারে পরিচিত সেই সেনা শাসকদের। যেখানে সত্তর বছরের মধ্যে পঞ্চান্ন বছরই কেটেছে বুটের তলে। তারা হয়ত বুটের নিচে থাকতেই আরাম পায় নয়ত এমন মানবতা বিরোধী নৃশংসতা চালানোর পরেও কেন সেখানে কোনও প্রতিবাদ হল না! একবার ভাবুন তো এমন ঘটনা যদি পৃথিবীর অন্য কোথাও হত, তবে দেশের অপর অংশ কি চুপচাপ থাকত—একটা হুলুস্থুল পড়ে যেত।
গত ২৫ অগাস্টে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার পর সেনা বাহিনীকে ক্লিয়ারেন্স অপারেশন্স-এর অনুমতি দেয় সুচি। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে সুচিকে সেনাবাহিনী ফাঁদে ফেলেছে। বিশ্বমত এখন সুচির অনুকূলে নয়। সেনাবাহিনী হয়ত এমন ছক কষেই অগ্রসর হয়েছে। সুচি শান্তিতে নোবেল পেয়েছিল, শাখারভ পুরষ্কারসহ নানা পদক, প্রশংসা জুটেছে কপালে। সারা বিশ্বের নির্যাতিতের প্রতিনিধি আজ সব ভুলে ক্ষমতা আঁকড়ে পড়ে আছে। ক্ষমতার এমনই মোহ, জীবনের সমস্ত অর্জন জলাঞ্জলি দিতে একটুও দ্বিধা লাগে না। কী এমন হত যদি সেনাদের এই হত্যা-কাণ্ডে সায়া না দিয়ে প্রয়োজনে পদত্যাগ করত? বয়স তো আর কম হল না—না হয় জীবনি লিখে, বই পড়ে বাকি সময়টা পাড় করত। পৃথিবীর ইতিহাসে তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকতে পারত।
এখন গণেশ উল্টে যেতে সময়ের ব্যাপার মাত্র। সুচির অবস্থান ক্রমের নড়বড়ে হয়ে উঠছে, বিশ্ব-রাজনীতি বিপক্ষে চলে গিয়েছে। চীন বলা শুরু করেছে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ উভয়েই তাদের বন্ধুরাষ্ট্র। এক সময় বন্ধুরাষ্ট্রকে রক্ষায় চীন সুচির জেলবাসের জন্য শুকরিয়া আদায় করবে!
ছবিঃ বাংলা ট্রিবিউন
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



