আমি মনে হয় একজন অনিয়মত ব্লগার হিসাবে অন্যতম। প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ব্লগে রেজিঃ করেছি। প্রায়ই আসি ব্লগে। আমি এখন পর্যন্ত একটা লেখা ছাড়া আর কোন লেখা প্রথম পাতায় দেয়নি। এইটা আমার নিতান্তই ব্যক্তিগত।
কি না দেখলাম এই বাংলা ব্লগে? রাজাকারের উচ্চস্বরে মানুষ হবার প্রাণান্ত ম্যাৎকার, রাজাকারী একটা ভাল কাজ ছিল সেই নির্মম মিথ্যা কথাটি বলার এক ভয়ংকার চেষ্টা। আর কিছু শীর্ষস্থানীয় লোকের নির্লজ্জভাবে তাদেরকে সমর্থন করে যাচ্ছে।
আরও দেখলাম, অতি প্রগতিশীল মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষের লোকের ভোদরের মত গালিগালাজ, বকাবকি।
জ্ঞানীজন বলেন, মানুষ রেগে গেলে যে চেহারা দেখা যায় সেইটাই কারও প্রকৃত চেহারা। সাধারন ভাবে আমরা যে অবয়ব দেখি সেইটা একটা খোলসই মাত্র। আমি এইকথা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। আমরা বাংলাদেশীরা যে মানসিক ভাবে কতটা দরিদ্র তা এই ব্লগে কেউ একবেলা থাকলে খুব ভালমত বুঝবে। আর অন্যকিছুর দরকার নাই। বাস্তবিক জীবনে আমরা সবার সামনে কতটাই না ভদ্র হয়ে থাকি। কিন্তু একটু আড়ালের সুযোগ পেলেই আমাদের এই ভয়ংকর দরি্দ্রতা প্রকাশ যায়। যার সবচেয়ে বড় প্রমান এই বাংলা ব্লগ।
মানুষ কত ছোট বা নিচু হলে এইসব করতে পারে? মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা সবাই মনে হয় মানসিক রোগী। তা না হলে আমরা এত বাজে আচরন করতে পারি কেমনে?
সবচাইতে মজার বিষয় হল কিছু লোক আছে এই ব্লগে তারা মনে হয় (আমার কাছে) সবচাইতে বোকা। মানুষ চলে জীবনে দুইটা নিয়মে। এক. ভুল করার পরে নিজেকে শুধরে নেয়। যখন সে বুঝতে পারে আগের কাজটি তার ভুল ছিল । দুই. ভুলটাকে ভুল জেনেও সেই ভুলটা ঢাকার জন্য সারা জীবন মিথ্যা বলা।
১৯৭১ সালে যে পশুগুলো নিজের মা বোনের ইজ্জত দিতে পারেনি, যারা কিনা নিজের মা বোনকে নিজেরাই ধর্ষন করেছিল জানোয়ারের মত তারা এখনও তাদের সেই ধর্ষনকে গর্তে বসে মনে মনে ভাবে আসলে আমরা ঠিকই ছিলাম। আর সেই মনের অতৃপ্ত কথাগুলো এই ভার্চুয়াল জগতে এসে বমি করে যাচ্ছে। কারন বাস্তবে তারা তো এগুলো বলতে পারে না। আর সেকারনেই এরা ২য় শ্রেনীর ।
শেষে একটা কথাই বলব, আমরা শুধু টাকা পয়সাই গরিব না, মনের দিক দিয়ে আরও বেশি গরিব। কারন ভুল কে ভুল বলে স্বীকার করে, ক্ষমা চাওয়ার মত মানসিকতা আমাদের এখনও হয়নি।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০০৭ ভোর ৫:৩৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




