চুমকি হাসছে। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে হাসছে। তাদের ঘরটা পুরানো ধরণের। ব্যালকনির আকৃতি বিশাল। উপজেলা কমপ্লেক্সের ভেতরে তাদের বাসা। সামনে দিয়ে রাস্তা বয়ে গেছে। ভারী গাড়ি চলে না এ রাস্তায়। তবে প্রতিদিন ইউ এন ও আঙ্কেলের বিকট শব্দে চলা পুরান দিনের সরকারি জিপ গাড়িটা যখন যায় তখন পুরা কমপ্লেক্সে খবর হয়ে যায়।
একটা ছেলে সাইকেল চালিয়ে সামনে এগিয়ে যায় আবার পেছনে আসে। আবার যায় আবার আসে।
সেটা দেখেই চুমকি হাসছে। ছেলেটাকে দেখে মনে হবে সে খুব মনযোগ দিয়ে সাইকেল চালাচ্ছে। কিন্তু ছেলেটা যে তার দৃষ্টি পেতেই এভাবে যাওয়া আসা করছে তা বুঝতে পারে। মেয়েদের একটা আলাদা দৃষ্টি থাকে। ওই দৃষ্টি দিয়ে তারা বুঝে যায় কে তাদের ফলো করছে।
তবে এ ছেলেটা যথেষ্ট ভীতু টাইপের। একবার ওপরের দিকে পর্যন্ত তাকাচ্ছে না। আরো কয়েকদিন এ ব্যাপারটা হয়েছে।
চুমকি সিদ্ধান্ত নেয় একদিন সে নিচে নেমে এসে ওই ছেলের সাইকেলের সামনে গিয়ে দাঁড়াবে। ছেলেটি নিশ্চয় অনেক অবাক হবে, ভয়ও পেতে পারে।
চুমকি গিয়ে বলবে, আপনি কি এ রাস্তায় পাহারাদারের চাকরি নিয়েছেন, প্রতিদিন এভাবে সহস্রবার যাওয়া আসা করেন কেন?
আচ্ছা ছেলেটি কি বলবে! ভয়ে পালিয়ে যাবে নাতো!!
কথাগুলো ভাবতে গিয়ে হাসি বিস্তৃত হয় চুমকির। নিজের ভাবনায় নিজের হাসি আসছে এটা ভেবে নিজেকে বোকা মনে হয়।
যে ভীতু টাইপের ছেলে ওর জন্য বোকা মেয়েই ভাল। এটা ভাবতেই লজ্জা পায় চুমকি। এ ভাবনাটা ওর মাথায় কেন আসলো!