ইসলামে কোন মাস শোক জারির মাস নয়। এরকম কোন হাদিস আজ পর্যন্ত শুনিও নাই এবং পড়িও নাই। এমন কি কোন নির্দিষ্ট দিন, মাস, সময়কে শোক পালন করার জন্য নির্দিষ্ট করা হয় নাই। বরং এমন করা কঠিন নিষেধ করা হয়েছে। না কোন সাহাবী মহররম মাসে শোক পালন করেছেন না কোন তাবেয়ী না কোন তাবে তাবেয়ী। অতএব এই ধরণের বিভ্রান্তিমূলক এবং গোমরাহী কাজ সবসময়েই পরিত্যাজ্য।
ইমাম হোসাইন (রাদিয়াল্লাহু আনহু) একমাত্র সাহাবী ছিলেন না যে তিনি নিজের প্রাণ উৎসর্গ না করলে হক জিন্দা হত না। এরকম সাহাবীদের এক জামাত রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুনিয়াবাসীর জন্য উপহার দিয়েছেন যারা হক জিন্দা করার জন্য মৃত্যুকে এমনভাবে ভালবাসতো যেমন শরাব পানকারীরা শরাবপূর্ণ পেয়ালা ভালবাসে।
ইমাম হোসাইন (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এমনিতেই একজন মর্যাদাশীল সাহাবী। জান্নাতে যুবকদের সর্দার। কারবালার ঘটনা তাঁর জীবনের একটা স্মরণীয় এবং তাৎপর্যপুর্ণ ঘটনা। এ জন্য শোক পালন করার কোন অনুমতি শরীয়াত কাউকে দেয় নাই।
আমাদের দেশে দেখা যায়, এক শ্রেণীর মানুষ আশুরার দিনে তাজিয়া মিছিল, শোক মাতম, চাবুক দ্বারা আঘাত করা, শরীরে তরবারি চালনা ও মর্ছিয়া করে থাকেন, এই সমস্ত কাজগুলি সম্পুর্ণ শরীয়াতবিরোধী। তাই এগুলি থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য।
আল্লাহ সবাইকে পরহেয করার তৌফিক দান করেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



