somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ ‘একটা সেচ্ছা নির্বাসন ও কিছু প্রশ্ন’

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটা টেবিলের লাগোয়া একটা চেয়ারে বসে আছি আমি। বসে আছি কিনা সে নিয়ে আমি কিছুটা দ্বিধান্বিত। আমার দৈহিক অবস্থান ব্যাখ্যা করতে হলে বলতে হয়- আমি মাথাটা টেবিলের উপরে কাত করে রেখে চেয়ারের উপরে বসে আছি, যেন একটা কান টেবিলের উপরের তলে উপুর হয়ে আছে আর আরেকটা কান সোজা তাকিয়ে আছে সিলিং এর দিকে। হাত দুটো গোল করে ঘিরে রেখেছে আমার মাথাটাকে।

সময়টা সন্ধ্যা হবে হয়ত। এই ঘরটাতে সূর্যের আলো কিংবা তারা গুনে সময় নির্ণয় করতে যাওয়াটা বোকামির পর্যায়ে পড়ে যায়। কারণ সব সময়েই এই ঘরটা একই রকম থাকে। বাহিরের আলো ঘরে ঢোকে না- নাকি ঘরের অন্ধকারটা বাইরে যেতে পারেনা। যাই হোক হবে হয়ত দুটোর যে কোনো একটা, সে নিয়ে ভেবে দেখার জন্য উদগ্রীব না হলেও চলবে।

ঘরে একটা ঘড়ি ও একটা বাতি আছে ঠিকই এবং তারা যে সচল সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। বাতিটা ঝুলে আছে, বাতির মাথায় একটা গোলাকার ক্যাপ। সিলিং থেকে বেয়ে নিচের দিকে নেমে যাওয়া একটা তারের মাথায় সে দুলছে। সাথে গোলাকার ক্যাপের যে ছায়াটা সেও দুলছে। আপেক্ষিকতার নীতি ধরে এগুলে আমার বাতিটাকে স্থির প্রসঙ্গ ধরতেই সাচ্ছন্দ হয়। এমনটা হলে বলা যায়, ছায়াটা ধুলছে না। পুরো ঘরটাই তার কাঠামো সমেত দুলছে। ঘড়ির ঘণ্টাটা ঢং ঢং শব্দ করে বেজে ওঠে, তবে সে কবার ঢং ঢং করে বেজে গেল সেটা গুনে সময় নির্ণয়ের ধৈর্য নেই।


আমার যে কানটা টেবিলের সাথে লেগে আছে, সেটাতে কিছুতা ব্যাথা অনুভব হচ্ছে তাই একটু নড়েচড়ে নিলাম। তবে কানটা এখন লাগোয়া অবস্থাতেই আছে। অদ্ভুত রকমের সব শব্দ আমি শুনতে পাচ্ছি কানটা দিয়ে। কখনো ঝড়ের শব্দ, কখনোবা গুড়গুড় মেঘের শব্দ। ঘরটা গ্রাউন্ডফ্লোরে তাই নিচের ফ্ল্যাটের টুকটাক শব্দের কোনও আভাষ নেই তবে ভূতলের নিচ থেকে একটা ঘড়ঘড় শব্দ বিরতিহীন কানের পর্দায় খটখট করে যাচ্ছে যেভাবে একটা নকিং ইঞ্জিনের পিস্টন করে থাকে তার ইঞ্জিনের গায়ে। এই বিরামহীন শ্রবণ কার্যক্রম একঘেয়েমি মনেহচ্ছে। তাই চোখ মেলে তাকালাম। হাত দুটো একটু একসাথে করে মাথাটা তার উপরে রাখলাম আগের মতো কাত করেই।


টেবিলের সামনের ডানদিকের কোনায় একটা পেরেক তার মাথাটা বের করে দাঁড়িয়ে আছে। ঠিক তার গলা পর্যন্ত উপরে, বাকিটুকু গেঁথে আছে কাঠের ভেতরে। বেচারাকে হাত পা বাঁধা এক নিরীহ দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর মতো মনে হচ্ছে। পেরেকের মাথার দিকটায় কালশিটে ধুলোবালির চুল। হঠাত বোঁবোঁ শব্দে শুনতে পাচ্ছি উপরের দিকে থাকা কানে। মনেহচ্ছে আশেপাশে উড়ছে একটা বিমান। এবার আমি কানটা টেবিল থেকে উঠিয়ে মাথাটা সোজা করে রেখে থুঁতনির উপরে ভর দিয়ে তাকালাম। দুই পাখার বিমানটা চড়ে বসেছের পেরেকের মাথাটায়। পেরেকের মাথায় জমে থাকা সময়ের কালশিটে চুলে মুখ লাগিয়ে চেটেপুটে নিচ্ছে। হাত-পা আঁটকে থাকা পেরেকটাও দ্ব্যার্থহীন নির্বিকার দাড়িয়ে আছে। অথচ মুক্ত অবস্থায় পেরেকটার সুচাগ্র পা মাথায় ভার চাপিয়ে ভেদ করতে সক্ষম অমন গোটা দশেক বিমান।


এমন সময়ে কে যেন কথা বলে ওঠে-
- “কী করছো?”
- “কিছুনা”

আবারো একই প্রশ্ন,
- “কী করছো”
- “কিছুনা”


প্রশ্নটা আমাকে ঠিক ক’বার করা হয়েছে আমি ঠাওরাতে পারিনা। হয়ত একবার , হয়তবা দুবার নতুবা অনেকবার। যতবারই করা হোক আমি ধরে নিচ্ছি একই প্রশ্ন বার বার আমার অবচেতন মন শুনেছে প্রথম বারের প্রতিধ্বনিরূপে। এবং ক্রমে ক্রমে প্রতিধ্বনিটা ম্রিয়মাণ হয়ে গিয়েছে। এক সময়ে সম্পূর্ণ মিলিয়ে গিয়েছে। তবে মিলিয়ে যাওয়ার আগে যতবারই আমার কান প্রশ্ন শুনেছে, ততবারই মুখ উত্তর দিয়েছে “কিছুনা”। তবে ভেবে দেখি- অবচেতন মনে নয়, সচেতন মনেই ভেবে দেখি উত্তরটা কী আমার মুখ দিয়েছে? আমি তো মুখ খুলিনি। আমার দাঁতগুলো ছুঁয়ে দেখেনি আমার জিহ্বা। তবে উত্তরটা যে আমিই দিয়েছি সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ধরে নিলাম মুখ না খুলে মনে মনেই উত্তর দিয়েছি। মন যখন কথা বলে তখন মুখ লাগেনা, মনের বলা কথা শুনতেও লাগেনা কান।


অর্থাৎ বারংবার একই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে একই উত্তর দেয়াতে এটা পরিষ্কার যে আমি যে কাজটা করি সেটা হচ্ছে ‘কিছুনা’ করা। এমন অনেক ‘কিছুনা’ করে করে আমার দিনাতিপাত ঘটে। যদিও পূর্বে বলা হয়েছে দিন বা রাতের কোনটাই খেয়াল রাখার মত প্রয়োজন বোধ করিনা। বলা যায় এমন অনেকগুলো ‘কিছুনা’ করে করে আমার সময়ে কেটে যায়। পেরেকের মাথার উপরে বসে থাকা দুই পাখার, পেট মোটা গোলগোল চোখঅলা বিমানটাও কিছুনা কিছু করে- ভাল মন্দ পাচার করে। ঘড়ির পেন্ডুলামটাও কিছু না কিছু করে- সরল দোলকের সূত্র মেনে চলে। তার বেয়ে ঝুলে থাকা বাতিটা আলো দেয়। সামনের দেয়ালটায় ঝুলে থাকা মাকড়শাটা অদৃশ্য দড়ি বেয়ে একবার উপরে উঠেছে আবার নিচে নামছে। কখনো স্থির হয়ে আছে।



এবার আমি মাথা তুলি। দুহাত তুলে কনুই দুটোর উপরে ভর রেখে হাতের তালু দিয়ে দুইগাল ধরে বসি। আমি হাই তুলে ‘কিছুনা’ করতে করতে ক্লান্ত হবার ভান করি। আবার ধ্যানমগ্ন হয়ে মাকড়শাটার কসরত দেখতে থাকি। হঠাত অনুভব করি আমার পা বেয়ে কিছু একটা উপরের দিকে উঠে আসছে। আমি মনোযোগ ফিরিয়ে নিয়ে যাই আমার পায়ের দিকে। ত্বক ইন্দ্রিয় ও ষষ্ঠইন্দ্রিয় কে একযোগে কাজে লাগিয়ে আমি অনুমান করতে চেষ্টা করি আমার পা বেয়ে যা উঠে আসছে সেটা কী! বোধশক্তির চূড়ান্ত ব্যাবহার করে আমি আবিষ্কার করি আটপেয়ে কয়েকটা মালবাহী যানবাহন আমার পায়ের উপরে যাতায়াত করছে। কিন্তু সে কি খুঁজে বেড়াচ্ছে সে তা নিয়ে আমি সন্দিহান। আসন্ন বর্ষার সঞ্চয় খুঁজতেই বোধহয় তাদের এই নিরবিচ্ছন্ন ভ্রমণ। তাদের!- হ্যাঁ। এই মালবাহী যানগুলো একটা আরেকটার পেছন পেছন ছুটে চলে। তবে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে এই দফায় তারা পথ ভুলে চলে এসেছে অন্ধকার কোনও রাস্তায়। এখানে তাদের প্রাপ্তি বলে কিছু নেই বরং দুর্ঘটনাবশত মৃত্যু ঘটার সম্ভবনা প্রবল।

এমন সময়ে আমি আবার একটা কণ্ঠ শুনতে পাই-

- “কে তুমি?”
- “কেউনা”

একবার উত্তর দিয়ে আমি এবার চুপ করে থাকি। এবার আমি মুখ খুলেছি। আড়ষ্ট মুখ খুলে মৃদু শব্দ করে। ডানেবামে মাথা ঝাঁকিয়ে। আমি বলেছি “কেউনা”। তারপর কিছুটা সময় কেটে গেল শব্দহীন। হয়ত আমি অপেক্ষা করছিলাম, অপেক্ষা করছিলাম আরো একটা প্রশ্ন শোনার জন্য। অথবা এই প্রশ্নটাই আবার শোনার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। নীরবতা ভাঙ্গে প্রশ্নের কণ্ঠস্বর-

- “কে আছে তোমার?”
- “কেউনা”
- “কোনো প্রিয়তমা?”
- “না, কেউনা”
- “বন্ধু?”
- “বললাম তো, কেউনা। না না না, কেউনা”


এবার উত্তর দিতে গিয়ে একটু চেঁচিয়ে উঠলাম। এই চেঁচিয়ে ওঠাটা আমাকে ফেলে দিয়েছে এক অনুশোচনায়। একে তো অস্তিত্বহীন কোনো কণ্ঠস্বরের উত্তর দিয়ে যাচ্ছি। যদিও এক্ষেত্রে আমি দায়বদ্ধও নই। তার উপরে আমি নীরবতার পিঠে চাকু মেরেছি। যেখানে আমার আপন বলতে “কেউ নেই” সেখানে ‘কাছের’ বলতে থাকে ‘হয়ত’ একরাশ নীরবতা। যদি সুনসান নীরবতা না-ও থাকে, কিন্তু কোলাহল থাকেনা। কোলাহল আমার একেবারেই অপছন্দ। এই কোলাহল এক ধরণের সামুদ্রিক ঢেউ। যা তীরে এসে সব তলিয়ে দেয়। কখনো কখনো ঠেউয়ের তোড়ে সাথে করে টেনে নিয়ে যায় সব। কোলাহলের ঢেউকে তাই আমার ভয়। আমার অতীতের যারা আমার ‘কেউ’ ছিলো তারা ভেসে গেছে কোলাহলের ঢেউয়ে। আর আমি পড়ে আছি অসংখ্য ‘কেউনা’ এর ভিড়ে।


এখানে যেই ঘড়িটা আছে, সেটির সময় প্রদর্শন করে থাকে দুটো কাঁটা। একটা কাঁটা আরেকটা কাঁটার আজীবন সঙ্গী। একজনকে ছাড়া আরেকজনের জীবন মূল্যহীন। ঘড়ির কাঁটারও কেউ না কেউ থাকে। কিন্তু আমার কেউ নেই। ঘড়ির কাঁটা দুটো; দুলতে থাকা পেন্ডুলামটার কেউ না। আমি পেন্ডুলামের মতো নিঃস্ব , নিসঙ্গ নিরবে দুলতে থাকা কেউ।

প্রিয়তমা বলতে আমার ‘কেউ নেই’, পরিবার পরিজন বলতে যারা আছে তারাও আমার ‘কেউনা’। এই অন্ধকারে মাখামাখি ঘরে তারা বড্ড বেমানান। এক অর্থে তারাও আমার ‘কেউনা’।

আমার পা বেয়ে উঠেতে থাকা মালবাহী যানবাহনগুলো ছন্দময়তায় নিরবিচ্ছন্নতা ধরে রেখেছে। তারা একে অপরের সহযোগী। কেউ কারো প্রিয়তমা বা প্রিয়তম। কিন্তু এরা আমার কী হয়? বার বারই উত্তর আসে : ‘কেউনা’।

এমন অনেক গুলো ‘কেউনা’ কে সাথে নিয়েই আমার বসবাস। চোখ খুলে তাকালেই অনেক গুলো “কেউনা” ঘুরঘুর করে। ঘুমে যখন সপ্ন দেখি, কাদের দেখি? তারা কে? ‘কেউনা...’


এতোগুলো ‘কিছুনা’ আর ‘কেউনা’ কে দেখে আমি এবার নিজে নিজে প্রশ্ন করি। জানিনা এতে করে প্রশ্নকারী কণ্ঠস্বর কোনোরূপ বাঁধা পেলো কিনা। হয়ত পেয়ছে। আমি প্রশ্ন করি- “এতোগুলো ‘কেউনার’ সাথে সহাবস্থানে থেকে একের পর এক ‘কিছুনা করতে থাকা এই আমি কে? কে আমি?”

হয়ত প্রশ্নকর্তার হয়ে আমি নিজেই প্রশ্নটা পেড়ে ফেললাম।

এবার আমি দু’হাত উঠিয়ে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসি। দু’হাত দু’দিকে ছড়িয়ে দিয়ে তাকিয়ে থাকি সামনের দেয়ালে। আমার কৃত কর্ম- যা ‘কিছুনা’ ; এবং আমার পারিপার্শ্বিকতা – যা ‘কেউনা’ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে- এসব নিয়ে আজ আমার অস্তিত্ব প্রকাশ পাচ্ছে। এই অস্তিত্বের কী নামকরণ করা যেতে পারে?


ইতোমধ্যে আমি একটা ‘কিছুনা’ করে ফেললাম। পা বেয়ে উঠে আসা মালবাহী যানগুলো বেশ অস্বস্তিতে ফেলে দিচ্ছিলো। কর্ম দোষে তারা এখন দুর্ঘটনা কবলিত। যাই হোক বিচ্ছন্ন ঘটনা একটা। আমি ফিরে আসি আবার- আমার দৃষ্টি যেখানে ছিল- সামনের দেয়ালে।

দেয়ালে চোখ পড়তেই আমি দেখি একটা ক্রুশে একজন যীশু। দু’হাত দুদিকে এবং দু’পা এক করে যীশু ক্রুশবিদ্ধ। আমি আরো গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করলাম। মহান যীশু মাথা নিচু করে নিচের দিকে তাকিয়ে আছেন, একদিকে একটু বাঁকা হয়ে। যেন তিনি উপর থেকে নিচের সবকিছুই দেখে যাচ্ছেন। তার মাথায় একটা মুকুট, কাঁটার মুকুট। হাত-পা-মাথায় কাঁটা নিয়ে তিনি দাঁড়িয়ে আছেন। যেন মনেহয় সেচ্ছায় নির্বাসন। এবং তাতে তিনি খুব একটা অসুখি নয়।

যীশুর মাথার কাঁটার মুকুটের উপরেই একটা প্রজাপতি উড়ে এসে বসেছে। এই বদ্ধ ঘরে প্রজাপতি কোথা থেকে এলো তা নিয়ে চিন্তিত না হলেও চলবে। কারণ এই ঘরের এক কোণে কিছু শুঁয়োপোকা বাক্সবন্দী ছিল। শুঁয়োপোকা পাখা মেলে হয়ত প্রজাপতি হয়েছে।

আমি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছি দেয়াল বেয়ে উপর নিচ কসরত করতে থাকা মাকড়শার কর্মতৎপরতা। সে একটা ফাঁদ পেতেছে ক্রুশটাকে ঘিরে। এবং সে চাইছে প্রজাপতিটা তার ফাঁদে ধরা পড়ুক। এসব দেখতে দেখতে ও ভাবতে ভাবতে আবারো শেষ প্রশ্নটা মাথায় হানা দিলো- “কে তুমি?” প্রশ্নটা আমাকে বার বার ক্রুশবিদ্ধ যীশুর দিকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিচ্ছে। আমি আর ক্রুশবিদ্ধ যীশু- আমরা দুজনই এই ঘরে আছি বহুদিন। আমি কি তাঁকে প্রশ্নটা করতে পারিনা? আমি প্রশ্ন করতে পারি- “কে আমি?’

হতে পারে এর আগের যেসব প্রশ্নের উত্তর আমি দিয়েছি সচেতন বা অবচেতন ভাবে তার সবই করেছে এই ঘরে সেচ্ছায় নির্বাসনে যাওয়া একজন যীশু। আমি আর ক্রুশবিদ্ধ যীশু- আমরা দুজনই এই ঘরে আছি বহুদিন। আমি কি তাঁকে প্রশ্নটা করতে পারিনা? আমি প্রশ্ন করতে পারি- “কে আমি?’

কেমন হয় যদি স্বয়ং প্রশ্নকর্তাকে তার প্রশ্নের মুখোমুখি করে দেই?

কী উত্তর আসতে পারে তা নিয়ে আমার উদ্বিগ্ন না হলেও চলবে। আপাতত এই নাতিদীর্ঘ উৎকট প্রশ্নোত্তর পর্বের ক্লান্তির ঘামটা মুছতে পারি।
-----------------

(c) শশী হিমু
----------------

অফ টপিকঃ দেখতে দেখতে দুইটা বছর পার হয়ে গেল ব্লগে। বেশ কিছুদিন পর আজকে ব্লগে ঢুকে দেখলাম ব্লগিং লাইফ, ২ বছর ১দিন।

দুই বছর আগের কীবোর্ডের গতি থকে এখন কীবোর্ডের গতি বেড়েছে, কিন্তু কমে গেছে ব্লগিং এর গতি।

তবে ব্লগের প্রভাব আমার জীবনে এখনো বেশহ ভাল ভাবেই আছে। ব্লগ থেকেই অনেক কিছু শিখেছি দেখেছি বুঝেছি । চিন্তা চেতনার আমুল এক ধরণের পরিবর্তন হয়েছে। পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা, সহ্য ক্ষমতাও বেড়েছে।

ব্লগে এখন খুব একটা লেখা হয়না। প্রথম বছর যেমন নিয়মিত ছিলাম, ২য় বছরটা ছিলো অনেক বেশি অনিয়মিত। দেখাযাক, কী হয় সামনে।

আর যা না বললেই না, সেটা হল- ব্লগিং এর মাদ্ধমেই অল্প সল্প ছাই-পাস যা লেখালেখি করি সেটার শুরুটা ভালোভাবে হয়েছিল। ব্লগিং এর আগেও লিখতাম, তবে ব্লগিং এর মাধ্যমে সেটা প্রকাশ ও পূর্ণতা পাওয়া শুরু করেছিল। সাথে পেয়েছি দুই তিনটা ভাল বন্ধু। যারা এখন ব্লগ এর গন্ডি পেরিয়ে বাস্তব জীবনে কাছের মানুষ।


শুভ জন্মদিন শশী হিমু'র ব্লগ।
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে দেখা - ১৩ মে

লিখেছেন জোবাইর, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:০৩

১৩ মে ২০০৬


দমননীতির অদ্ভুত কৌশল
সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের ওপর দমন নীতির আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রুত বিচার আইন ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×