মুক্তি সকাল সাত টা বাজে ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছেছে। শারমিন কে দেখেই জানতে চাইল, দিপ্ত কোথায় রে?
-আমি জানি না। এখনো আসে সি মে বি... কেন?
-একটু কাজ আছে ওর সাথে।
মুক্তি অনেক খোজা খুজি করে দিপ্ত পেল না। মনে মনে দিপ্তকে গালি দিছে আর বলছে শয়তান টা মোবাইল যে কেন ইউজ করে না।
দুপরে ক্লাস শেষ করে বাড়ি ফিরে যাবার সময় পুকুর পারে দিপ্ত কে বসে থাকতে দেখল। কিছু কথা শোনাবে এই ভেবে কাছে গেলো।
-কিরে এখানে বসে আছিস কেন?
দিপ্ত ভাব নিয়ে কানের উপর থেকে একটা গোল্ডলিফ সিগারেট বের করলো। তারপর ম্যাচ খুলে ম্যাচের মধ্যে থাকা শেষ কাঠিটি বের করে জ্বালাতে গেলো। কাঠিটি ভেঙ্গে যাওয়ায় সেটির দিকে বিরক্ত নিয়ে তাকিয়ে থাকলো কিছুক্ষন।
-যাহ্ শালা। মেজাজ টা পুরাই খারাপ কইরা দিলি।
-আমি কেমনে তোর মেজাজ খারাপ করলাম?
-এইযে তুই আসলি আর আমার শেষ কাঠিটা ভাইঙ্গা গেলো।
-এতে আমার দোষ কোথায়?
-তুই কুফা।
-আমার কাছে লাইটার আছে।
-তাইলে ধরায় দে।
-আমার কাছে দে। আমি জালাইতেছি।
মুক্তি একটান দেয় আবার দিপ্ত একটান দেয়। এভাবে সিগারেটটা শেষ করার পর মুক্তি জানতে চাইল,
-কালকে ভার্সিটি শেষ। এর পর কি আমার সাথে দেখা করবি?
-আমি কালকে ফ্লাই করবো।
-ফ্লাই করবি মানে?
-কালকে আমি ইউএস যাচ্ছি। ভাইয়া পেপারস করে দিয়েছে কয়েকদিন আগে।
-আর তুই আমাকে আজকে বলছিস?
-শুধু শুধু আগে থেকে তোর মন খারাপ করে দিতে ইচ্ছে করে নাই।
-তুই ইউএস যাবি এতে আমার মন খারাপ করার কি আছে?
-সত্যি তোর মন খারাপ হয় নি?
-না।
আর কিছুক্ষন গল্প করে মুক্তি হেটে হেটে বাসায় যাচ্ছে। আশেপাশের সব কিছুই ঘোলা লাগছে ওর কাছে। কেন সবকিছু ঘোলা হয়ে যাচ্ছে বারবার বুঝতে পাড়ছে না...

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


