অনেকক্ষণ ধরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। অর্পার খুব বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছা করছে রাফির সাথে। কিন্তু পাগল টা বৃষ্টিতে ভেজায় আনন্দ বুঝে না। অর্পা ফোন হাতে নিয়ে রাফিকে কল দিতে দিতে বারান্দায় চলে আসলো...
-হ্যালো, রাফি...
-হু, বল
-কি করিস?
-গাঞ্জা টানি।
-গাঞ্জা টানিস? কোথায় পেলি? আর কবে থেকে টানিস?
-কোথায় পেয়েছি সেটা বলা যাবে না। তবে যেদিন থেকে টানা শুরু করেছি, সেদিন থেকে টানি।
-অ... এখন আছিস কোথায় বল। আমিও গাঞ্জা টানবো...
-নাহ... মেয়েরা গাঞ্জা টানে না। গাঞ্জা অনেক সস্তা জিনিস। মেয়েরা দামি জিনিস টানে...
-তাহলে কি টানে মেয়েরা ?
-মেয়েরা সীসা টানে। সীসা চিনিস?
-ওটা আবার কি?
-তুই সীসা চিনিস না !!?
-না চিনি না।
-থাক চেনা লাগবে। আমিও চিনি না...
-তুই গাঞ্জা টানছিস কেন?
-আমার অনেক কষ্ট। কষ্ট ভুলে থাকার জন্য।
-তোর আবার কিসের কষ্ট?
-আপাতত শীতের কষ্ট। অনেক্ষন ধরে বৃষ্টিতে ভিজতেছি। এখন শীত করছে। শীতে কাপছি। এই কাপাকাপি বন্ধ করার জন্য গাঞ্জা মানে সিগারেট টানছি।
-তা শুধু শুধু ভিজতে গেলি কেন?
-তোর জন্য।
-আমার জন্য মানে?
-সহজ হিসেব। আমি তোকে লাইক করি, তুই বৃষ্টি লাইক করিস। তারমানে আমি বৃষ্টি লাইক করি... তোকে অনেক সুন্দর লাগছে রে...
-আমাকে তুই কোথায় পেলি?
-এইযে তুই বারান্দায় দারিয়ে আছিস। আমি তোদের বারির পাশের টং দোকানে দারিয়ে আছি।
-এই তুই এখানে কি করিস?
-তোর সাথে বৃষ্টিতে ভিজবো তাই এসেছি। ভিজবি আমার সাথে?
-নাহ... তোর শখ থাকলে তুই ভিজ। আমি এখন বাসা থেকে বের হলে আম্মু বকবে।
-আমি দাঁড়ালাম। তুই আয়...
-আসবো না। ফোন রাখলাম।
কিছুক্ষন পর রাফির সামনে একটি হুট ওঠানো রিক্সা এসে থামল। ভেতরে অর্পা বসে আছে। রাফি একটু হেসে অর্পার পাশে বসে পড়লো।
-হুট নামিয়ে দেই?
-না।
-না কেন? তুই ভিজবি না?
-না।
-কেন?
-মেয়েরা রাস্তা ঘাঁটে বৃষ্টিতে ভিজতে পারে না।
-ছেলেরা ভিজতে পারলে মেয়েরা পারবে না কেন?
-সেটা তোর না বুঝলেও চলবে। আপাতত চুপ থাক। আমার হাতটা একটু ধর...
রাফি চুপ হয়ে গেলো। অর্পার হাতটা ধরে আছে আলতো করে। অর্পা চোখ বন্ধ করে কি জেনো ভাবছে।
রাফি জানলো না অর্পা মনে মনে ওকে বলছে, আমি তোকে ভালবাসি রাফি...

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


