আমরা কখন বলি যে 'মানুষটি মারা গেছে'?
-যখন মানুষটির দেহ আর আত্মা পৃথক হয়ে যায়।
আচ্ছা, এ আত্মা'র অস্তিত্ব কি বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে নাকি বিজ্ঞান অগত্যা স্বীকৃতি দিয়েছে?
https://blogs.scientificamerican.com/guest-blog/physics-and-the-immortality-of-the-soul/
এটা বলছি বিজ্ঞানের দুর্বলতা বা অসারতা প্রমাণের জন্য নয়, বরং আর দশটা বিষয়ের মত বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা দেখানোর জন্য।
বিজ্ঞান মূলত মানবজীবনের ছোট একটা দিক মাত্র, যেটা সময়ের সাথে মহীরুহ ধারণ করেছে। এটা দুনিয়ার নিয়ম। একেক সময় একেকটা বিষয় মহীরুহ আকারে এসে অন্য সবগুলোকে তুচ্ছ করে দেখায়। অনেকের জন্য বিজ্ঞান ধর্মের স্থান দখল করেছে। তারা বিজ্ঞানের মূল বা গোড়ার দিকে তাকায় না বরং সম্মুখের আকারটাই দেখে। একে অপরাজেয় চিরস্থায়ী মনে করে।
বিজ্ঞান ধর্মের স্থান দখল করার বিষয়ে দুটো বিষয় মাথায় এল
১। বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের বিশেষত ইসলামের কোন দ্বন্দের প্রশ্নই আসে না। তবুও বিজ্ঞানকে ধর্মের স্থলাভিষিক্তকারীদের স্বার্থে এরূপ একটা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি ও প্রতিষ্ঠিত করা এবং জিইয়ে রাখা জরুরি।
২। Matthew Arnold ১৯শতাব্দীতে আশা ও ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল শীঘ্রই সাহিত্য (বিশেষত কবিতা) ধর্মের স্থান দখল করবে। কারণ আপাতদৃষ্টিতে সাহিত্য ছিল তৎকালে তথাকার মহীরুহ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:১৩