সূর্যাস্ত কভু দেখিনি আমি
শুনেছি- পলাশ রাঙা রংঙে
রক্তিম হয় আকাশটা
মাগো-
আমি সূর্যাস্ত দেখতে চাই।
অরুণ রাঙা প্রভাতে যার জন্ম,
কেন থেমে যাবে সে
এই যৌবনা দুপুরে?
মাগো-
ক্লান্ত হ'য়ে যাওয়া ঐ সূর্যটাকে দেখতে চাই।
তুমি মা জানোই সবই
তবে মিছে কেনো আমায় রুদ্ধ কর?
তোমার সমাজে আমি কূলটা,
গায়ের লোকের কাছে আমি কলঙ্কিনী;
কিন্তু তুমি তো জানো মা
এ সবই তোমার জন্য।
তোমাকে প্রাপ্য আসন দিতে ভাইয়া প্রান দিলো
আর সম্ভ্রম হারালাম আমি।
মাগো-
দুপুরের রোদ বৃষ্টি নামায়,
সূর্যকে তো নামায় না।
তবে কেনো আমি লুটিয়ে যাবো
ঝরে যাওয়া পাপিয়ার মতো?
তোমার পা-চাটা কুকুরটা সফেদ টুপি পরে
আমায় বলে কলঙ্কিনী,
বলো মা, কি আশায় তুমি তাকে কাছে রাখো?
মাগো-
স্রোতস্বিনী নদী যেমন বয়ে যায়
আমিও তেমনি চলতে চাই।
দুপুরের মেঘে লুকাতে চাইনা,
নীল আকাশটাকে ছুঁতে চাই।
সূর্যাস্ত দেখতে চাই মা, সূর্যাস্ত দেখতে চাই।
রক্তিম সূর্য ও তারই অস্ত।