মঝে মাঝে নিজেকে একটি জীবন্ত ডাষ্টবিন মনে হয় ।
মানব মনের ময়লা, আপন বক্ষে ধরি, তাকে দোষ মুক্ত করি ।
যা কিছু ছুঁড়ে দাও আমার কাছে,
রাগ, ক্ষোভ, ঘৃনা, আর যত যা আছে ;
ক্ষতি নেই তাতে,
তুমি তো মুক্তি পেলে ; আমাতেই সঁপে ।
মঝে মাঝে নিজেকে একটি কাঁচের ফুলদানী মনে হয় ।
বাগানের সব ফুল, নিজে ধারণ করি, ঘরেরই শোভা করি।
মাটির তাজা ফুল, শেকড় ছিঁড়ে এলে
চঞ্চল হই, বাঁচাই ক্যামন করে?
ঝরে যাওয়া ফুল, তা-ও কেড়ে নিলে
শুধু তোমারই অধিকারে ।
মঝে মাঝে নিজেকে একটি জ্বলন্ত মোমবাতি মনে হয় ।
নিজ শিখা জ্বেলে তোমায় আলো দেই, তোমার আধার ঘোচাই।
তুমি রাখো মোরে, ঘরের এক কোণে ;
ভাবি বসে মনে, সর্ন্তপনে
দীপ নিভে গেলে, চকিত সে ক্ষণে
আধার কি করে বলো ঘোচাবে?
যা হই না কেনো আমি, ডাষ্টবিন, ফুলদানী বা মোমবাতি
সবাই আমাকে চেনে, সবাই আমাকে জানে
আমি সবারই পাশে থাকি ;
চাইলেই পাও মোরে, সময়ে অ-সময়ে
আমি তোমাতে পাই ফাঁকি ।।