
এই ফলাফলের ভিত্তিতে ১৯৬৯ সালেই অক্টোবরের ১৮ তারিখে এফ.ডি.এ আমেরিকার বাজারে সাইক্লামেটের বাজারজাত নিষিদ্ধ ঘোষনা করে এবং তার পরের বছরে যুক্তরাজ্যের বাজারে। Abbott Laboratories তাদের পন্যের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে ১৯৭৩, ১৯৮০ এবং পরিশেষে ১৯৮২ সালে আমেরিকার একটি প্রভাবশালি লবিং এজেন্টদের সাথে নিয়ে এফ.ডি.এ -কে চাপ দিলেও এফ.ডি.এ তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। এফ.ডি.এ সাইক্লামেট নিয়ে গবেষনার ফলাফল রিভিও করার পরেও দেখে এটি আসলেই ক্যান্সার হতে সহয়তা করে, তখন তাদের সাইক্লামেটের উপর জারি কৃত নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে। কিন্তু তার পরেও সাইক্লামেট ৫৫টিরোও বেশি দেশে বাজারজাত হচ্ছে খাবারের উপাদান হিসাবে। এমনকি যুক্তরাজ্যও তাদের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। তাহলে দেখা যাচ্ছে শুধুমাত্র আমেরিকা ছাড়া মোটামুটি বিশ্বের সব দেশেই ঘনচিনির বাজারজাত হচ্ছে এবং সাবি গিলছে (কেও জেনে আর কেউ না জেনে)।
যেখানে তাদের গবেষনায় উল্ল্যেখ করেছে সাইক্লামেটে ক্যান্সারের উপাদান আছে এবং এটি পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, তার পরেও এই ক্ষতিকারক রাসায়নিক বস্তুটি বিনা বাধাই বাজারে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। অসচেতন ক্রেতারা কিনছে, ভোগ করছে, আর তারা তাদের অজান্তেই জড়িয়ে পরছে অজানা কত রোগে। দিনকে দিন বাড়ছে ক্যান্সারের রোগী, দিনকে দিন কমছে মানুষের প্রজনন ক্ষমতা। এর জন্য দ্বায়ী কে/কারা?
এর পরেও সাইক্লামেট নিয়ে আরো বেশ কিছু গবেষনা হয়েছে তার সবগুলোতেই দেখা গেছে সাইক্লামেট ক্যান্সার হতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে আর কোন পুরুষ মানুষ এটি নিয়মিত খেতে থাকলে তার প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাবে ব্যাপক হারে। আমেরিকার আরো একটি গবেষনায় তারা উল্ল্যেখ করে যে সাইক্লামেট ক্যান্সার হতে সহায়তা, পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসের পাশাপশি মূত্যনালীর ক্যান্সার হতে খুব বেশি ভূমিকা রাখে। এ সম্পর্কে আরোও বেশি জানতে ১৯৭০সালের ফেব্রুয়ারিতে সাইন্সে প্রকাশিত আর্টিকেলটি দেখুন ।

ইউরোপ আমেরিকার ব্যাপার-স্যাপার আলাদা। তাদের মতি-গতি বোঝা দ্বায়। কিন্তু আমরা গরীব মানুষ নুন আনতে পান্তা ফুরানোর যোগার এখন। জ্বর-সর্দি-কাশির ঔষুধ কিনতেও হিমশিম খেতে হয়। আমরা শুধু শুধু কেন
এতটা বিপদজনক জেনেও এই বিষ শেবন করছি? বাংলাদেশে সোডিয়াম সাইক্লামেট আমদানি, বাজারজাত, কোন ধরনের খাবের ব্যাবহার করা নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয় ১৯৮২ সালে। মজার ব্যাপার হচ্ছে সরকার নিষিদ্ধ ঘোষনা করেই খালাস, উনাদের আর কোন দায়িত্ব আছে বলে মনে হয় না। যে পদার্থটি বাংলাদেশে উৎপাদন হয় না, আমদানি নিষেধ তার পরেও সেই পদার্থ দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে কি করে? আবার কিছু দিন থেকে নাকি টিভিতেও এর ব্যবহারকে উৎসাহ প্রদানের জন্য কোন একটা আমদানি কারক কোম্পানি বিজ্ঞাপন দিচ্ছে!!!! লোকজনকে জানানো হচ্ছে, এটি চিনির চেয়ে ৩০-৫০গুন বেশি মিষ্টি, তুলনা মূলক কম খরচেই বাসার চিনির চাহিদা মেটাতে পারবেন। সুতরাং চিনি না কিনে ঘনচিনি কিনুন টাকা সেইভ করুন। ফলে হচ্ছেটা কি?
সমাজের একটি বিশাল সংখ্যক জনগন দিনে দিনে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, অনেকেই হারাচ্ছে বাবা হবার সামর্থ। লাভবান হচ্ছে কে/কারা? এই বিশাল সংখ্যক জনগোস্ঠীর দ্বায়ভার কার? তাদেরকে এই বিষ সম্পর্কে জানানোর দায়িত্ব কাদের?
পরের পর্বে থাকছে:
*বাংলাদেশের জনগন কেন ঘনচিনি খাচ্ছে?
* ঘনচিনির বিকল্প কি?
* বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা?
* বাংলাদেশের মিডিয়ার ভূমিকা?
*আমাদের করনীয়?আগের

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



