somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঘনচিনি: ক্যান্সার: সচেতনতা: বাংলাদেশ (৩য় পর্ব)

১৬ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ঘনচিনি খেলে কি কি সমস্যা হতে পারে?

১. সাইক্লামেট খেলে ব্লাডার ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেড়ে যায় বহুল অংশে। ইদুরের শরীরে সোডিয়াম সাইক্লামেট প্রবেশ কারানোর পরে দেখা যায় ২৪০টির মধ্যে ৮টি ব্লাডার ক্যান্সারে আক্রান্ত। রেফারেন্স

২.মূত্রণালীর কান্সার হতে সোডিয়াম সাইক্লামেটের ভূমিকা আছে। রেফারেন্স

৩. পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দেয় সোডিয়াম সাইক্লামেট। রেফারেন্স, আরোও রেফারেন্স

৪. ঘনচিনি দীর্ঘ দিন ব্যাবহারের ফলে কিডনি নষ্ট হয়ে যাবে। রেফারেন্স

৫. ঘনচিনি প্লাসেন্টা মেমব্রেন খুব সহজেই ভেদ করে ফলে তা ভ্রুনের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগাতে বাধা দেয়। রেফারেন্স

৬. গর্ভাবস্থায় কোন মা ঘনচিনি খেলে বিকলাঙ্গ সন্তান প্রশব করবে, তবে দীর্ঘদিন ধরে শেবনের ফলে ভ্রুন ( embry০) মারা যেতে পারে। রেফারেন্স

৭. ঘনচিনি এবং স্যাকারিন একসাথে খেলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেড়ে যায় বহুলাংশে। রেফারেন্স

৮. ঘনচিনি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে বলেছে, এটি একাধারে ক্যান্সার, প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস এবং গর্ভবতী মায়েদের উপর প্রভাব ফেলে। রেফারেন্স

এখানে একটি মজার ব্যাপার না বল্লেই না। যখন নামীদামী, বিখ্যাত বিজ্ঞানীরা প্রমান করলেন যে ঘনচিনি এবং সয়াকারিন বিষাক্ত এবং ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি তখন কোথেকে একজন প্রমান সেই সব গবেষনাকে মিথ্যা প্রমান করতে উঠে পরে লাগলেন। পরিশেষে তিনি ভূগোল বোঝালেন এইভাবে, যে সব সয়াকারিন দিয়ে গবেষনা করা হয়েছিল সেগুলো আপরিশোধিত ছিল

এই ঘনচিনির এত ক্ষতিকারক প্রভাব থাকা সত্ব্যেও আমরা কেন দিনের পর দিন এই বিষ খেয়ে যাচ্ছি? আমি এক কথায় বলব শুধুমাত্র সচেতনতার অভাব। এই অসচেতনতায় আমাদেরকে ঠেলে দিচ্ছে হাজারো মূতয়র দিকে। আমরা জরিয়ে পরছি কঠিন সব রোগে। "জানতে হলে বাচতে হবে" এই স্লোগান শুধুমাত্র এইডসের জন্য নয়, এটি জীবনের সব ধাপের জন্য। এইডস হচ্ছে হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি কারনে, কিন্তু হাজার হাজার জানা-অজানা কারনে আমরা প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছি ক্যান্সারে। আমরা নিজেরাও জানিতে পারছিনা আমাদের শরিরে ক্যান্সার প্রবেশ করছে। টাই আমি বলতে চাই বাচতে হলে জানতে হবে, আর সাবিকে জানতে হবে। নিজে জানুন অন্যকেও জানান। আজ আমরা জানছি, জানার সুযোগ পেয়েছি বলে, যারা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত তাদেরকে জানানোর দায়িত্বটুকো আমাদের।

অসচেতনতা ছাড়াও আরো যে কারনটি প্রাধান্য পায় সেটি হচ্ছে সরাকারের অব্যবস্থাপনা, গুরুত্বহীনতা। ১৯৮২ সালে গনচিনি/সোডিয়াম সাইক্লামেট আমদানি নিষিদ্ধ করা হলেও বাজারে গনচিনির সরবরাহ থাকে কি করে? ২০০৬-২০০৯ সাল পর্যন্ত সরকার যে আমদানি নীতি প্রকাশ করেন সেখানেও টারা উল্ল্যেখ করেছেন গনচিনি বাংলাদেশে ব্যান সুতরাং ঘনচিনি আমদানি করা যাবে না। আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে জিনিষ আমডানি করা যাবে না সে জিনিষ বাজারে আসে কি করে। টার কারন হচ্ছে বাংলাদেশের কোন কোম্পানি সোডিয়াম সাইক্লামেট উৎপাদন করে না। তার অর্থ দাড়াচ্ছে, চোরাই পথে আমদানি করছে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী। এটা খুবই স্বাভাবিক, চোরের কাজ চুরি করবে, কিন্তু যাদের কাজ এই চুরিকে রোধ করা টা কেন সেই কাজ করছে না। গাফিলতি কি সরকারের নয়? চোরেরা শুধু চুরি করেই ক্ষান্ত নয়, তারা প্রকাশ্য দিবালোকে
খোলা বাজারে বিক্রি করছে। সবচেয়ে অবাককর ব্যাপার হলো, ইদানিং বিভিন্ন মিডাতে গনচিনির বিজ্ঞাপনও দেখা যাচ্ছে। এটি কি সরকারের প্রতি চোরদের চালেন্জ নাকি জনগনের পর্তি চোরদের?

প্রথমত জনগনকে এ ব্যপারে সচেতন করার দায়িত্ব ছিল সরকারের, সেটা না করে তারা দোষী, দ্বিতীয়ত লোকদেখানো একটি আইন পাস করে চোরদের চুরি করার পথ বাতলে দিয়ে বিশাল জনগোষ্টির সাথে ছিনিমিনি খেলার সামিল। কেউ কি কোনদিন দেখেছেন সরকার বা কোন মিডিয়া বা কোন সেবা সংগঠন বা কোন এনজিও ঘনচিনি না খেতে বা ঘনচিনির ক্ষতিকারক প্রভাব জানি্যে মিডিয়াতে প্রচারনা চালিয়েছে? ২০০৬ সালের নভেম্বরে প্রথম আলোতে প্রকাশিত ঢাকা বিশ্ববিদয়ালয়ের ফার্মেসি অনুষদের প্রফেসার, আমার শ্রদ্ধাভাজন আ.ব.ম ফারুক স্যারের একটি লেখা আমাদের নজর কারে। আর সেই দিন বিকালে উনার আহবানে জাতীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানব বন্ধন করা হয়। সেই থেকে সারা পরে ঘন চিনির কুফল সম্পর আর এই কাজটির জন্য উনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা।

পরের পোস্ট গুলোতে:

*ঘনচিনির বিকল্প কি?
*মিডিয়া এ ব্যাপারে নিশ্চুপ কেন?
*আমাদের করনীয়?
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×